কর্মকর্তাদের ‘যোগসাজসে’ ভারতীয় হাইকমিশনে কোটি টাকার দুর্নীতি; কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
লিখেছেন লিখেছেন মোয়াজ্জেম হুসাইন সায়েম ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:৩১:৫৯ রাত
হরদম দুর্নীতি চলছে ভারতীয় হাই কমিশনের ভিসা সেকশনে! টুরিষ্ট ভিসার এপয়েনমেন্ট ডেট দেয়ার নাম করে টুরিষ্টদের হাত কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। খোদ হাইকমিশনের কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশন এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বেড়ানোর জন্য কেউ ভারতে যেতে হলে হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ফরম পূরণ করতে হয়। ফরম পূরণের পর ফরমের একটি পিডিএফ কপি আসে পুরণকারীর কাছে। এই পিডিএফ ফরমে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে একটি এপয়েনমেন্ট ডেট দেয়া হয় আবেদনকারীকে। বলা হয় ঐ তারিখে নিকটস্থ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্বশরীরে হাজির হয়ে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সাধারনত পাসপোর্ট ডেলিভারী দেয়া হয়ে থাকতো। কিন্তু মাস তিনেক পূর্ব থেকে ডেলিভারীর ক্ষেত্রে সময় বাড়িয়ে ১৫ (পনেরো) দিন করেছে হাই কমিশন।
গত মাস দুয়েক যাবত ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে কোন এপয়েনমেন্ট ডেট পাওয়া যাচ্ছে না। কষ্ট করে স্তরে স্তরে ফরম ফিলাপ করে সবশেষে এপয়েনমেন্ট ডেট পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। ‘নো এপয়েনমেন্ট ডেট এভেইলেবল’ লেখা একটি মেসেজ প্রত্যেকবার আসছে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এর পর থেকেই বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সীর “ইন্ডিয়ান ভিসার এপয়েনমেন্ট দেয়া হয়” টাইপের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। ট্রাভেল এজেন্সীর কাছে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেই পাওয়া যাচ্ছে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের এপয়েনমেন্ট ডেট! দ্রুততা নির্ভর করছে টাকার উপর। হাজার খানেক টাকা দিলে সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং ২ হাজার টাকা দিলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের পাইয়ে দেয়া হচ্ছে এপয়েনমেন্ট ডেট। বাংলাদেশের ৩ দিকেই ভারতের অবস্থান থাকায় পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের ভ্রমণে প্রথম পছন্দ ভারত। আর এ সুযোগেই অসাধু সিন্ডিকেটের এই রমরমা ব্যবসা। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ভারতীয় হাই কমিশন এই অসাধু চক্রের বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও অজানা কারণে তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না! সাধারণ ভ্রমণকারীদের প্রশ্ন, এভাবে আর কতোদিন চলবে? ভারতীয় দুতাবাস কি দেখছেন না এই বিষয়টি? নাকি তাদের ওয়েবসাইট তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে(!)? ওয়েবসাইটে কোন সমস্যা হলে দুতাবাস চাইলেই তা সমাধান করতে পারেন। কিন্তু কেন করছেন না? নাকি দুতাবাসের কর্মকর্তারাও এর সাথে জড়িত? এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সাধারণ ভ্রমণকারী ভারত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হবে বলে ধারণা করছে অনেকেই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাই...সাধ্যের মধ্যে ভাল থাকার চেষ্টা করতে হবে।
নিয়তি বলেও তো একটা কথা আছে।
আমার আপনার চাইতে কত লোক কষ্টে আছে, অসুস্থ, খেতৈ পায় না
মন্তব্য করতে লগইন করুন