গুম, খুন আর অপহরণ আর না।
লিখেছেন লিখেছেন কাঁচের বালি ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:২০:১৭ সকাল
শনিবার ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবস। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ, তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানো এবং গুমের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সারা বিশ্বের গুমের প্রকোপে উদ্বিগ্ন হয়ে জাতিসংঘ ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। ইংরেজিতে নাম—ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স। এই আন্তর্জাতিক সনদটা কার্যকর হয়েছে ২১ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে আর ২০১১ থেকে ৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৪৩টি দেশ সনদটি গ্রহণ করেছে, ৯৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। বলা বাহুল্য, যেসব রাষ্ট্র গুম করে তারা এই সনদ গ্রহণ করেনি। যেমন, বাংলাদেশ।
অধিকারের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ অপরাধটি নতুন নয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গুমের ঘটনা ঘটে, যা যুদ্ধ পরবর্তীকালেও বিভিন্ন সরকারের আমলে অব্যাহত আছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান এবং বিপ্লবী বামপন্থী নেতা সিরাজ সিকদার ও ১৯৯৬ সালে ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠীর নেত্রী কল্পনা চাকমা অন্যতম।
স্বাধীনতার পরপরই বিপ্লবী বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বহু তরুণ-যুবককে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী হত্যা বা গুম করে।
বিগত কয়েক বছর ধরে গুমের ঘটনা আবারও ঘটতে শুরু করেছে, যা বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করে গুরুতর অপরাধের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমদের পরিবারগুলোর দাবি, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাদের প্রিয়জনদের ধরে নিয়ে গেছে এবং এরপর তারা গুম হয়েছেন; তাদের কারো কারো লাশও পরে পাওয়া গেছে।
(তথ্যের সাহায্য বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘অধিকার’)
বিষয়: বিবিধ
১৩১৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন