ইখতিলাফ ভুলে এক হওয়া সময়ের দাবী
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৫৫:৩৮ রাত
মুসলিমদের আক্বীদা, আমলে মত পার্থক্য আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত।
তাই এক দল অন্য দলের বিপদ, আপদে, যালিমের নির্যাতন প্রকাশ্য ভাবে দেখেও সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে না।
যে কারনে কাফের গোষ্টির আঘাতে মুসলিমদের কোন কোন দল অসহায়, দুর্বল হয়ে পড়ছে।
আমরা যে সকল দল মুহাম্মদ সা: কে শেষ নবী মেনে তার উম্মত দাবী করি বাস্তবে কি তার পূর্ণ অনুসরণ করি?
রাসুল সা: বলেছেন, সকল মুসলিম একটি দেহের মত।
তিনি সা: আর বলেছেন, মুসলিমরা পরস্পরের ভাই।
কই আমাদের কোন ভাই আক্রান্ত হলে আমরা ত ব্যাথা অনুভব করি না। প্রতিবাদ প্রতিরোদ তো দুরের কথা সহানুভুতি, সান্তনার কোন কথাও তো বলি না।
ইখতিলাফ থাকার কারনে কি এক নবীর উম্মতের কোন দল প্রকাশ্য যুলুম, নির্যাতন, অন্যায়ের স্বীকার হলে তাকে সাহায্য করা যাবে না।
এটা কি নবীর শিক্ষা? কক্ষনও নয়।
এটা আমাদের দলিও রিপু যা ত্যাগ না করলে জান্নাতে যাওয়া স্বম্ভব হবে না।
একটু ইহকালের বস্তবতা চিন্তা করুন........
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য হয় কিভাবে? প্রত্যেকটা ধর্মে তো আকাশ পাতাল ব্যবধান আছে।
ওদের সাথে কিছু জন্মগত মুসলিম নামধারী ফেইক নাস্তিকও এক।
এত ব্যবধানের পরেও এক।
অথচ মুসলিমদের মধ্যে সামান্য কিছু ইখতিলাফের কারনে মনের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ পোষন করে প্রকাশ্য যুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন দেখেও চুপ করে থাকি কি করে!!!!????
এখন থেকেই যদি আমরা মুসলিমরা ইখতিলাফের কথা ভুলে প্রকাশ্য যুলুম অত্যাচার, নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে এক হয়ে সোচ্চার না হই কাল কিয়ামতে আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিব?
মুহাম্মদ সা: এর উম্মত বলে কি পরিচয় দিব।
মনে রাখবেন......
যালিম, অত্যাচারী, নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রাণ গেলেও শহীদ হয়ে বিনা হিসাবে জান্নাতী।
বি:দ্র: বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বুঝের কারনে ইখতিলাফ থাকতেই পারে, এটাকে মুখ্য না করে যারা মুহাম্মদ সা: কে শেষ নবী মানে তাদের উপর প্রকাশ্য যুলুম অত্যাচার, নির্যাতন হলে সকলে এক হয়ে সোচ্চার হোন।
সতর্কতা: যারা মুহাম্মদ সা: কে শেষ নবী মানে না তাদের সাথে কোন একতা নাই। মুনাফেক থেকেও সাবধান।
বিষয়: বিবিধ
৯৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন