লুতফর ফরাজির স্পষ্ট কিছু কথা শুনুন ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:৩৩:২১ সকাল
আপনি অমুসলিম হবেন - ইমাম আবু হানিফার (রাহঃ) কোন কথা যদি আল্লাহ ও রাসুলের কথার বিরোধী হয় তা মানলে মুসলমান থাকবেন না ।
কুরআন-হাদিসের দলিল দিলে খুব ক্ষেপে কারা-যারা চরমনাইয়ের বয়ান ও তাবলিগের ফাযায়েল শুনালে খুব খুশি ।
তাবলিগ জামায়াতের ৬ উসুলে পূর্ণদ্বীন নাই । ৬ উসুলে সুদ ছেড়ে দেয়া, ঘুষ ছেড়ে দেয়া, ইসলামের যত বিধান আছে কোন বিধানের কথা নেই (ইবাদতের নিয়ম কানুন, বেদাত-শিরকের, অন্যায়ের প্রতিবাদের কোন কথা বয়ানেও বলে না)
ইয়া নবি সালা মালাইকা বলে জ্বিলাপী খাওয়া আর ভুরি ভোজ করে বাটপাররা, মিলাদ-কিয়ামীরা সকলেই ভন্ড বেরলভী ।
মিলাদ করে যারা আনন্দ পায়, সুরে সুরে কবিতা পড়ে, তারা আবু তালেব মত জাহান্নামী ।
মিলাদে নবী আসে, নবীকে হাজির নাজির মনে করা শির্কী ।
১২ই রবিউল আওয়াল নবী ইন্তেকাল করেছেন । এই দিনে ঈদ (খুশি) পালন করে, র্যালি করে, জসনে জুলুস করে ইবলিশের অনুসারী ।
মাজার, পীরকে সেজদা করা, আশা পুরনের মানত করা, পরকালের নাজাতের উসিলা করা মুর্তিপূজার মতই ।
ওরশ করা, ফাতেহা করা হিন্দুদের পুজা করার মতই ।
ভিডিও লিঙ্ক- https://www.facebook.com/539232086216386/videos/660839434055650/?video_source=pages_finch_main_video (প্লিজ ক্লিক এন্ড লিসেন)
শুনে শেয়ার করবেন প্লিজ ।
বিষয়: বিবিধ
২৩৫৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু ইমাম হানীফা কেন! কোরআন হাদীসের বিপক্ষে যদি কোন সাহাবী, ইমাম শাফেয়ী, মালেক, বিন হাম্বল, বিন তাইমিয়্যা, বিন কাইয়্যিম, বিন বাজ, আলবানী, গাঙ্গুহী, থানভী, মওদূদী, খোমেনীসহ পৃথিবীর যে কোন পন্ডিত কথা বলে, আর কোন অনুসারী যদি সেই কোরআন হাদিস বিরোধী কথা মেনে নেয় তবে সে মুসলমান থাকবে না।
ইসলামী শরীয়দের মূল উৎস কুরআন এবং হাদিস, অতঃপর ইজমা ও কিয়াস। এগুলো শিরোধার্য।
কথা হল রেগে যাওয়ার কিছু নেই, কিন্তু বাংলাদেশের যে এখনো ৭০% লোক অশিক্ষিত, তাদেরকে কুরআন হাদিসের অর্থ শুনালে তারা কি সব বুঝে যাবে? নাকি ব্যখ্যাসহ আমলে পরিণত করার জন্য বুঝিয়ে দিতে হবে? একজন চাষি আর জেলেকে ধরে আমি কিছু কোরআনের আয়াত ও হাদিস শুনিয়ে দিলাম, তাকে কি আমার দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে?
তালীগের কোন আলেম বা কোন মুবাল্লিগ কি কখনো বলেছেন যে, তাবলীগের ছয় উসূলই পূর্ণ দ্বীন?
নাকি তাবলীগের কোন কিতাবে তা লিখা আছে??
মূলতঃ "৬ উসূল" কথাটি বাংলা অনুবাদ, মূল উর্দু হল "ছে বাতীঁ" ছয়টি কথা। কথাটি কিতাবে ঠিক এভাবে লিখা আছে যে, সাহাবায়ে কেরাম রাঃ রাসূল সাঃ এর সোহবতে থেকে অনেক গুনে গুনান্বিত ছিলেন। তন্মধ্যে ছয়টি গুনের উপর মেহনত করিয়া চলিতে পারিলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজ হইয়া যায়।
গুণগুলো হলঃ ১। কালিমা ২। নামায ৩। একরামূল মুসলিমীন ৪। এলেম ও জিকির ৫। সহীহ নিয়্যাত ৬। দাওয়াতে তাবলীগ।
এই ছয় কথা বা ছয় পয়েন্টকে তাবলীগ জামাতের কর্মপদ্ধতিতে কাঠামো হিসেবে রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ফরজ রোজা, ফরজ হজ্জ, জাকাত কে বাদ দিয়েছেন।
ফাযায়েলে আমাল এর মধ্যে ফাজায়েলে রামাদান ও ফাজায়েলে হজ্জ ও ফাজায়েলে কুরআনের আলাদা অধ্যায় রচনা করা হয়েছে। অথচ এগুলো ছয় পয়েন্টে নেই। জাকাত ও সাদাকাতের জন্য তাবলীগী নেসাবে সম্পূর্ণ একটি বই রচনা করা আছে ফাজায়েলে সাদাকাত নামে।
তাই বিনয়ের সাথে বলবো, কারো সমালেচনা করার আগে তাদের অভ্যন্তরের খবর নিন। মুসলমানদের এই দূর্দিনে বিতর্ক সৃষ্টি না করে ঐক্য হওয়াই আজ কোরআনের আহবান।
আপনার নিচের দিকের কথা গুলোর সাথে আমিও একমত।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
পোষ্টে আমি লুতফর ফরাজির কিছু কথার সারাংশ লিখেছি যার ভিডিও লিংক দেওয়া হয়েছে ক্লিক করে শুনবেন।
কথা তো সহীহ। তবে এটা শুধুমাত্র ইমাম আবু হানিফার (রাহঃ)এর জন্য প্রযোজ্য নয়। বিশেষ ভাবে উনার নাম আসাটা আমার কাছে বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হল। কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে (অবশ্যই দলিল প্রমাণ সহ)বুঝান, ইমাম আবু হানিফার (রাহঃ) কোন্ কোন্ কথা আল্লাহ ও রাসুলের কথার বিরোধী হয়েছে?
কিছু প্রমান নিন, হানাফি মাযহাবে জায়নামাজের দুয়া, নামাজের নিয়ত পড়ার কোন দলিল খুজে পাই নাই।
আপনার জানা থাকলে দলিল জানাবেন?
ঈমাম আবু হানিফার প্রতিটি কাজ সহীহ দলিল এবং ফিকহ নির্ভর। আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম প্রমান এবং দলিল নির্ভর উদাহরণ দিতে। আমি দু:খিত আপনার উত্তরে তা পেলাম না। আপনি কি দয়া করে রেফারেন্স দিবেন আবু হানিফা কোথায় জায়নামাজের দোয়া অত্যাবশ্যক বলেছেন আর নিয়ত মুখে উচ্চারন করতে বলেছেন। অবশ্যই কোন প্রকৃত হানাফী আলেমের রেফারেন্স দিবেন। ঢালাওভাবে প্রচুর মাশয়ালা আছে যা আবু হানিফার নামে চালিয়ে দেয়া হয়। আমি কোন আলেম নই। আপনি সোর্স বলেন, আমি না জানলে কোন আলেম থেকে জানার চেষ্টা করব। আপনার সদয় আবগতির জন্য জানাই, ঈমাম আবু হানিফা হাদীস চর্চার সূতিকাগার কুফার অধিবাসী ছিলেন এবং তিনি সাহাবী যুগের খুব নিকটবর্তী ছিলেন।কোরআনে হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি তিনি লক্ষাধিক হাদীসের হাফেজ ছিলেন।তাকে কোরআন হাদীস বিরোধী বলাটা এতটা সহজ নয়।
আপনাকে সুন্দর একটা সাবজেক্ট নির্বাচন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন