একটি বিবাহে অর্ধ-দ্বীন পূর্ণ হলে, দুইটি বিবাহে কি.........?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ১০:২৩:৪৭ সকাল
বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে......(সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়দাতুহ ৬১৪৮ নং)
ইসলামের এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই হাসি-ঠাট্টা করে বলে, অর্ধ/অসম্পূর্ণ না করে দুইটি বিবাহ করে দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করাই ভাল ।
দ্বীন শব্দের অর্থ ঈমান, বিশ্বাস । যাই হোক দুইটি করে পূর্ণ ঈমানদার/বিশ্বাসী হওয়ায় তো ভাল ।
পাঠক, দর্শক, স্রোতা আপনারা দিন/দ্বীন যেটাই বুঝেন/বলেন একটু অন্তকরনে গভীর চিন্তা করে দেখুন
আল্লাহ তায়ালা দুইটা দিন দ্বারাই পূর্নাঙ্গ করেছেন ।
১) দুনিয়ার দিন এবং
২) আখেরাতের দিন
আমি/আপনি পিতা-মাতার বির্য ছিলাম । তাদের বিবাহর পর মিলনের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে মায়ের গর্ভে কিছু দিন করে পর্যায়ক্রমে বির্য, রক্ত, গোস্ত, অস্থি অতঃপর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হয়ে শিশু রুপে পৃথিবীতে ভুমিষ্ঠ হই ।
এরপর উভয়ের লালন-পালনে, পরিশ্রমের আয় রোজগার খেয়ে যথাক্রমে শিশু থেকে কৈশরে-যৌবনে উপনীত হয়ে বিবাহ’র বয়সে পৌঁছাই এবং পিতা-মাতা/আত্মীয়-স্বজন মিলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন । এভাবে দুনিয়ার দিন প্রতি মানুষের জীবনে চক্রাকরে আবর্তীত হচ্ছে । বিবাহের পরেই দুনিয়ার (দিন) দ্বীন (বিশ্বাস) পূর্ণ হয়ে যায় (যা আল্লাহ’র দ্বীনের অর্ধেক) ।
এখন আপনার একটি বিবাহের পর দুনিয়ার দিন-বুঝ (দ্বীন-বিশ্বাস) পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর একাধিক বিবাহ করলেও ঐ একই দুনিয়ার দিন ছাড়া মৃত্যুর পূর্বে বাকি দিন ( আখেরাতের দিন ) কখনও পূর্ন হবে না ।
এমনকি মৃত্যূর পরেও বিচার দিবসে অনেকের বাকি অর্ধেক দ্বীন (আখেরাতের দ্বীন) পূর্ণ হবে না অর্থাৎ আখেরাতে তাদের স্ত্রী থাকবে না । তাদের জন্য থাকবে শুধু আযাব আর আযাব ।
এরা ঐ সকল মানুষ-জ্বীন, যারা আল্লাহ-রাসুলের উপর বিশ্বাসী নয়, আল্লাহ’র ইবাদতে বিমুখ ।
হ্যাঁ, ভাই দুইটি বিবাহের দ্বারা দ্বীন পূর্ণাঙ্গ হয় ।
একটি দুনিয়ার দিন এতে আপনি এক বা একাধিক বিয়ে করেন না কেন ? সহজেই পূর্ণ করা যায় । কিন্তু
আখেরাতের দিন পূর্ন করবেন কি করে ?
আপনি যদি সত্যিই দ্বীন পূর্ণ করতে চান, তাহলে আজ থেকে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর অনুগত্য করুন ।
মনে রাখবেন,
***দুনিয়ার দ্বীন(অর্ধাংশ) + আখেরাতের দ্বীন (অর্ধাংশ)=পূর্ণাঙ্গ দ্বীন***
আসুন আমরা ইসলামের বিষয়ে হাসি ঠাট্টা না করে, গভিরভাবে চিন্তা করে, ঈমান নিয়ে, আমল করে, আল্লাহ’র উভয় দ্বীনের সৎ স্ত্রী কামনা করে, দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করার দৃঢ অঙ্গিকার করি ।
আল্লাহ তুমি তাওফিক দাও । আমীণ !
বিষয়: বিবিধ
১৩৬২ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ বোঝা গেল যে দুইটা বিয়েতে দ্বীন পূর্ণ হয় এবং সেটার সৌভাগ্য পুরুষদের জন্য । নারীদের ব্যাপারে ?
আর এখনকার জামানায় একটা বিয়েই দুনিয়াতে দোজখের মত পরিবেশ বানিয়ে রাখে , সেখানে ২ টা বিয়ে তো হাবিয়া দোজখ বানিয়ে দেবে !
আপনি সম মর্যাদা দিতে পারলে একাধিক বিবাহেও জান্নাতুল ফেরদাউস বানাতে পারেন।
-আপনার সুন্দর লেখাটির জন্য মোবারকবাদ..
জাযাকাল্লাহু খাইরান
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
এই কথার দলিল কি? ভিত্তি কি? ওয়াইস আল কুরুনী (রঃ) আজীবন অবিবাহিত ছিলেন এবং এভাবেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সঃ) তার ব্যাপারে বলেছিলেন, তোমরা ওয়াইসকে পেলে তার কাছে দোয়া চাইবে কেননা সে যে দোয়াই করে আল্লাহ তাই কবুল করেন। এজন্য মানুষজন ওয়াইস (রাঃ) এর কাছে ভিড় জমাতো তাই তিনি নির্জন স্হানে বেশি সময় কাটাতেন। রাবেয়া বসরী (রঃ), হাসান বসরী (রঃ) এরা ছিলেন তাবেয়ী এবং অবিবাহিত এভাবেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। হাসান বসরী হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ইমাম নববী ও ইমাম ইবনু তাইমিয়া ইসলামের ইতিহাসে যার নাম সোনার অক্ষরে আজো লেখা আছে। এরাও ছিলেন অবিবাহিত। ইমাম বুখারীর ব্যাপারটিও ধোয়াশা। তাহলে আপনার থিওরী অনুযায়ী বলতে হচ্ছে এরা পরকালে আযাব ভোগ করবে যদিও ইসলামে অবদান অসামান্য!!!!
আপনি হয়তো কথার গভীরে প্রবেশ করেন নি- যে কারণে উল্টা/বেঠিক বুঝেছেন মনে হচ্ছে!!
যারা জাহান্নামে যাবে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর অনুগত্য না করার কারণে, তাদের স্ত্রী থাকবেনা- এ কথাই বলা হয়েছে!
এই কথার দলিল কি? ভিত্তি কি? ওয়াইস আল কুরুনী (রঃ) আজীবন অবিবাহিত ছিলেন এবং এভাবেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সঃ) তার ব্যাপারে বলেছিলেন, তোমরা ওয়াইসকে পেলে তার কাছে দোয়া চাইবে কেননা সে যে দোয়াই করে আল্লাহ তাই কবুল করেন। এজন্য মানুষজন ওয়াইস (রাঃ) এর কাছে ভিড় জমাতো তাই তিনি নির্জন স্হানে বেশি সময় কাটাতেন। রাবেয়া বসরী (রঃ), হাসান বসরী (রঃ) এরা ছিলেন তাবেয়ী এবং অবিবাহিত এভাবেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। হাসান বসরী হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ইমাম নববী ও ইমাম ইবনু তাইমিয়া ইসলামের ইতিহাসে যার নাম সোনার অক্ষরে আজো লেখা আছে। এরাও ছিলেন অবিবাহিত। ইমাম বুখারীর ব্যাপারটিও ধোয়াশা। তাহলে আপনার থিওরী অনুযায়ী বলতে হচ্ছে এরা পরকালে আযাব ভোগ করবে যদিও ইসলামে অবদান অসামান্য!!!!
ভাইয়া যখন ইসলাম নিয়ে কথা বলবেন, তখন যে কথার পক্ষে দলিল নেই সেটা এড়িয়ে চলবেন। আর কোথাও বলা হয়নি ২ বিয়েতে দ্বীন পূর্ণাঙ্গ হয় তাই মনমত ব্যাখ্যা দাড় করাবেন না প্লিজ। এমনিতেই অনেক সমস্যা তার উপর এসব সৃষ্টি করার মানেই হয়না। আপনার ইচ্ছা হলে আপনি দুটো বিয়ে করেন কিন্তু তার পক্ষে এভাবে প্রচারণাটা সঠিক মনে করিনা। আপনাকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য না, দূর্বলতাটুকু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া। জাঝাক আল্লাহ।
লেখক কি লিখেছে দুনিয়ায় অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যু হলে, জান্নাতী হবে না । তাদের স্বামী স্ত্রী থাকবে না ।
আপনি কিসের উদাহরণ দেখাচ্ছেন !!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন