হজ্জে যাচ্ছি এবং হাজী বা আলহাজ্জ টাইটেল বলা/দেওয়া যায়েজ কি!!!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৭ জুলাই, ২০১৫, ০৬:২০:২০ সন্ধ্যা
আত্মশুদ্ধীঃ
হজ্জে যাওয়ার পূর্বে ইচ্ছা করে লোকজনকে বলে বেড়ানো, আমি হজ্জে যাচ্ছি বা ১,২,৩,...এত বার হজ্জ করেছি এবারও যাচ্ছি । অথবা
সমাজের ইমাম দ্বারা দো’আর ব্যবস্থা করা যাতে ইমাম সাব মুনাজাতে অমুক সাব, অমুক সাব বার বার নাম ধরে বলে সমাজের লোকদের জানান । এতে রিয়া হ’তে পারে ।
কেউ জিজ্ঞাসা করলে হজ্জে যাচ্ছেন কি বা কত বার করেছেন তখন বলতে পারেন । এছাড়া না বলাই ভাল । হজ্জ হবে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে, মানুষকে জানানোর জন্য নয় ।
আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন কর (বাক্বারাহ ২/১৯৬)
ছালাত, ছিয়াম, যাকাতের মত হজ্জও ফরজ । হজ্জ পালন করে নামের আগে হাজী বা আলহাজ্জ টাইটেল দেই কিন্তু ছালাতী, ছিয়ামী, যাকাতী দেই না কেন !!!
রাসুল (সাঃ) বা তাঁর কোন সাহাবী, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন, আইয়ামে মুজতাহীদিন কেউ কি এরকম টাইটেল দিয়েছেন । প্রমাণ না থাকলে আাপনি কেন দিবেন ??? !!!
রাসুল (সাঃ) আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করে বলেছেন-
আল্লাহুম্মা হাজ্জাতুন লা রিয়ায়া ফিহা ওয়ালা সুমআতু (হে আল্লাহ! এমন হজ্জের তাওফিক দাও যা হবে রিয়া ও সুনাম কুড়ানোর মানসিকতা হতে মুক্ত-ইবনে মাজাহ ২৮৯০)
Plz share & comment
বিষয়: বিবিধ
১৪৩০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাজী আবু বকর সিদ্দীক,
হাজী ওমর ফারুক,
হাজী আবু হোরায়রা ইত্যাদি, অথচ তাঁরাও হ্জ করেছিলেন।
হজ হল ফরজ কাজের অন্তভূক্ত। ফরজ কাজ করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। বান্দা হিসেবে প্রতিটি মানুষ ফরজ কাজ করতে বাধ্য। ফরজ পরিপূর্ন হলে, আল্লাহর বিচারে তিনি জান্নাতে চলে যেতে পারবেন ব্যাপার টা এমন নয়। ফরজ কাজ পূর্ন হলে হিসাবের জন্য সে নিয়মিত মুমীন হিসেবে পরিচিত পেল।
যেমন একজন ব্যক্তি দৈনিক ৮ ঘন্টা ডিউটি করলে সে মাসের বেতন পাবার যোগ্য হল। সে এটার জন্য কোম্পানীর কাছে কোন সম্মানী, অতিরিক্ত ওভার টাইম দাবী করতে পারেনা। ওভার টাইম কিংবা কোম্পানীর স্পেশাল সম্মানী দাবী করতে হলে স্পেশাল কাজ করতে হবে। মুমীনের জন্য এই স্পেশাল কাজটি হল কোম্পানীকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় দেওয়া ইত্যাদি।
কোন ব্যক্তি হজ করে নফল ও তাহাজ্জুদ গুজারের মর্যাদা দাবী করতে পারেনা। তাই হ্জ কে কৃতিত্ব কিংবা গৌরবের অংশ মনে না করে, সেটাকে দায়িত্ব মনে করা উত্তম। দায়িত্ব পালনে যেমন কেউ বাহাদুরী করেনা, হজ্জ পালনেও কোন বাহাদুরী নাই। বরং ছোট মনে আল্লাহর কাছে কামনা করা উচিত যাতে হজ্ কবুল হয়।
হাজি বা আলহাজ লেখাটা অবশ্যই রিয়া। তবে হজ্জে যাওয়ার আগে আত্মিয় স্বজন এর কাছে এই খবর দেওয়া ও দোওয়া চাওয়ার মধ্যে সম্ভবত সমস্যা নাই।
আচ্ছা আমি হজ্জ করলাম কিন্তু আমি আমার নামের সামনে হাজী লাগালাম না তবে এলাকার লোকজন সম্মানদিয়ে আমাকে হাজী সাহবে বলে ডাকে ও চেনে। এক্ষেত্রে কি হবে?
অনেকে সালাত পড়ি, সালাতি সাব বলেন না কেন!!
আল্লাহ,র বান্দা হতে কোন উপাধি লাগে না।
ধন্যবাদ
দেখা হলেই বলবে '' হাজী সাব ''
আল্লাহ,র বান্দা হতে কোন উপাধি লাগে না
জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন