বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে (৫ম)
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ১২ জুন, ২০১৫, ০১:১২:৫৪ দুপুর
ভিন্ন ভিন্ন মতবাদের ভিত্তিতে মাস শুরুর করায় মুসলিম বিশ্বে বিচ্ছিন্নতা এবং ধর্মীয় উৎসবগুলো সার্বজনীনতা ও ধর্মীয় তাৎপর্য হারাচ্ছে ।
* রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় । বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা জন্য হিজরী তারিখ একই দিনে বিশ্বে ভিন্ন হয়ে গড়মিল হয়েছে ।
* কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) ।
কোন দেশের কদরের তারিখে কুরআন নাযিল হয়েছে নাকি যার যার দেশ অনুযায়ী নাযিল হয়েছে ?
হযরত আয়েশা (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রমযানের শেষ দশ তারিখের বেজড় রাতসমুহে লাইলাতুল কদরকে তালাশ কর-সহিহ আল বুখারী ২/২৮৪ হাদিস নং ১৮৭৪
বিশ্বে ক্বদরের তারিখ একই দিনে বিভিন্ন হলে কোনটা সঠিক হবে ?
* ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাজিঃ) বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাজিঃ) এর সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ দুই দিনের রোযা রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা রোযা শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা কোরবানীর গোস্ত খাবে-সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১
*আরো দেখুন সূত্র: সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২)
একই দিনে এক দেশে ঈদ হলে, অন্য দেশে রোযা রাখে !!! কে হারাম করে ?
* আরাফা (জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ) ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আরাফার রোযা আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং ২৬১৪
একই দিনে আশুরা ও আরাফার তারিখ ভিন্ন হলে কোন দেশের আরাফ ও আশুরার তারিখ সঠিক ?
* জিলহজ্বের ১০ তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন । হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।
পৃথিবীতে কিয়ামত একই দিনে হবে, না যার যার দেশের তারিখ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দিনে হবে হবে?
উপরের বিষয়গুলোর যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় । অর্থাৎ উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩০ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায় না ।
সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।
অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠিক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে বঞ্চিত হতে হবে ।
একথা সকলেরই জানা, শবে ক্বদর, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরার......দিন তারিখ বেশ কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় । যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব ।
রমযান মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।
বিশ্বের যে কোন দেশের প্রথম চাঁদ দেখা অনুযায়ী সারা বিশ্ব একসাথে মাস শুরু করলেই উপরের সকল সমস্যার সমাধান হবে ।
যদি একগুয়েমী করে যার যার দেশের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেন, তাহলে আপনি বা আপনার জ্ঞানীর কাছে জেনে উপরের প্রশ্নের দলিল সহ জবাব দিন ??? !!!
সমস্যাঃ-ধরুন এক দেশের সাথে পৃথিবীর অন্য যে কোন স্থানের সময়ের ব্যবধান বার ঘন্টার নিচে (ধরা যাক ১০ ঘন্টা) ।
ঐ দেশে যখন সন্ধ্যা তক্ষণাৎ ১ম চাঁদের খবর প্রচার করা হলে অন্য দেশে তখন সুবহে সাদিক হবে । রমযানের তারাবী, সেহেরী, নিয়ত অন্য দেশের লোকেরা কিভাবে করব ?
সমাধানঃ-
---চলবে---
বিষয়টি ভালকরে বুঝার জন্য ১ম অংশ, ২য়..., ৩য়......এভাবে ধারাবাহিক ভাবে মনযোগ দিয়ে পড়েন । কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন । ইন-শাআ-আল্লাহ! জবাব দেওয়া হবে ।
১ম অংশে দেখুন নামাজ কিভাবে একই দিনে হয়
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/65221#.VWJ70_mqooI (pls click & read)
২য় অংশে দেখুন চাঁদের দেখার হাদিস গুল কি দেশ ভিত্তিক ?
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/65484#.VWJ-DfmqooI (pls click & read)
৩য় অংশে দেখুন যেকোন এক দেশের প্রথম চাঁদ দেখাই বিশ্বের সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/65593#.VWWgPU-qooI (pls click & read)
৪র্থ অংশে দেখুন সারা বিশ্বে একই সাথে সিয়াম-ঈদ পালনের মাযহাবী মতামত
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/65893#.VXEOGM-qooI (pls click & read)
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নামাজ পড়ার সময় ঠিক হয় সূর্য উদয় ও অস্থ যাবার হিসাবে, সুতরাং এখনই দিনে ঈদ বা অন্যান্য ইসলামী অনুষ্ঠান চাঁদ দেখা অনুসারে করাই আবশ্যক। @মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম এবং লেখক। জানার জন্য জবাব আশা করছি।
চাঁদ দেখে মাস শুরু করা শরীয়ার নির্দেশ ।
আমি বলি যে দেশে প্রথম চাঁদ দেখা যাবে সে অনুযায়ী সারা বিশ্বে হিজরি মাস শুরু হবে ।
***যার যার দেশ অনুযায়ী চাঁদ দেখে মাস শুরু করতে হবে এর কোন সহীহ দলিল দেখাতে পারবেন কি ???
আপনি ১ম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল পর্ব ধারাবাহিক ভাবে মনযোগ দিয়ে বুঝে পড়ে দেখুন শরীয়ায় একযোগে বিশ্বব্যাপী মাস শুরুর করতে হবে এটাই বলা আছে----
সময়োপযোগী দাবী এটা মেনে চলা---
মন্তব্য করতে লগইন করুন