তামাত্তু হজ্জের ধারাবাহিক কিছু নিয়ম কানুন (২য়)

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৩৩:০৪ সকাল



১ম http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6753/soter/51381#.U-5c3MWSxbE (plz click & read)

ত্বাওয়াফ কেনঃ আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের তাওয়াফ করার নির্দেশ দিয়েছেন (দেখুন সুরা হজ্জ ২২/২৯) এছাড়াও হ’তে পারে-

১) এটাই পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম গৃহ (আলে ইমরান ৩/৯৬)

২) এটি পৃথিবীর নাভিস্থল এবং ঘুর্ণায়মান লাটিমের কেন্দ্রের মত ।

৩) প্রকৃতির প্রত্যেক ছোট বস্তু বড় বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘোরে ।

বাম দিক হ’তে কেনঃ সকল কাজ ঘড়ির কাঁটার মত ডান দিক হ’তে করতে হয়। ত্বাওয়াফ বাম দিকে হওয়ার কারন হতে পারেঃ

১) প্রকৃতির সকল কিছু এমনকি দেহের রক্ত প্রবাহ বাম থেকে ডাইনে আবর্তিত হয় ।

২)হৃদপিন্ড বুকের বামে থাকে । কা’বার প্রতি অধিক আকর্ষণ অনুভূত হয় ।

ইযত্বিবা শুধু ত্বাওয়াফে কুদূমেঃ মানে ডান বগলের নীচ দিয়ে ইহরামের কাপড় বাম কাঁধের উপর উঠিয়ে ডান কাঁধ খোলা রাখা ।

ত্বাওয়াফ কত বারঃ ৭ বার । হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে এখানে আসলেই ১ ত্বাওয়াফ ।

শুরুতে হাজারে আসওয়াদ-এর দিকে হাত ইশারা করে বলবেনঃ বিসমিল্লাহি আল্লা-হু আকবার (আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি এবং আল্লাহ সবার বড়) শুধু আল্লাহু আকবার বলা যায় ।

তাওয়াফের শুরুতে আপনার জন্য নিম্নের দো‘আটি পড়া সুন্নাত :

اللّهُمَّ إِيْمَاناً بِكَ وَتَصْدِيْقاً بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَاتِّبَاعاً لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ

অর্থ : “হে আল্লাহ্! আপনার প্রতি ঈমান এনে, আপনার কিতাবকে সত্য প্রতিপন্ন করে, আপনার প্রতিশ্রুতিকে পূর্ণ করে এবং আপনার রাসূলের সুন্নাতকে অনুসরণ করে (আমি তাওয়াফ শুরু করছি)”

সুযোগ পেলে শুরু ও শেষে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করবেন । ভিরের কারনে সু্যোগ না পেলে করবেন না ।

রাসুল (সাঃ) হযরত ওমর (রাঃ) কে বলেছেন হে ওমর! তুমি শক্তিমান মানুষ । হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের জন্য ভির ঠেলে যেতে যেও না যা দুর্বলকে কষ্ট দিবে । যদি খালি পাও তবে স্পর্শ করো । অন্যথায় এর দিকে মুখ করো, তাকবির দাও ও তাহলিল পড়ো (মুসনাদে আহমদ; ১৯০)

হাজারে আসওয়াদ জান্নাত থেকে নেমে আসা একটি পাথর (নাসাঈ ৫/২২৬)

রুকনে ইয়ামেনী থেকে দক্ষিণ দেওয়াল এলাকায় পৌঁছে প্রতি ত্বাওয়াফে দো’আঃ

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [البقرة: ٢٠١]

রব্বা-না আ-তিনা ফিদ্দুন্‌ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র (হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দাও ও আখিরাতে মঙ্গল দাও এবং আমাদেরলে জাহান্নামের আযাব হ’তে রক্ষা কর (বাক্বারা ২/২০১; ছহীহ আবুদাউদ হা/১৬৬৬; মিশকাত হা/২৪৮৭, ২৫৮১; বুখারী হা/৪৫২২,৬৩৮৯)

হাজারে আসওয়াদ ১ম কোণ এবং রুকনে ইয়ামানী হবে চতুর্থ কোণ ।

সম্ভব হলে রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করে বলবেনঃ বিসমিল্লা-হি, ওয়াল্লা-হু আকবার । না হলে দো’আটি পড়তে পড়তে চলে যাবেন ।

হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে দুই রুকনে ইয়ামেনি ব্যতীত অন্য জায়গায় স্পর্ষ করতে দেখিনি (মুসলিম ২/৯২৪)

রমল শুধু ত্বাওয়াফে কুদুমেঃ মানে প্রথম ৩টি ত্বাওয়াফে একটু জোরে চলতে হবে বাকি ৪টি স্বাভাবিক গতিতে চলবেন । এভাবেই ৭ বার ত্বাওয়াফ ।

বিঃদ্রঃ তাওয়াফের সময় জামা’আতের ইকামত দিলে জামা’আতে শরীক হবেন । ছালাত শেষে তাওয়াফের বাকি অংশ পূর্ণ করবেন ।

ত্বাওয়াফ শেষের সলাতঃ তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর স্থানকে ছালাতের স্থান বানাও (বাক্বারাহ ২/১২৫)

ত্বাওয়াফ শেষ করে মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে বা ভিড়ের কারনে অস্বম্ভব হ’লে হারাম শরীফের যেকোন স্থানে দু’রাক’আত নফল সলাত আদায় করবেন।

প্রথম রাকা’আতে ফাতিহার পর সূরা কাফেরূন দ্বিতীয় রাক’আতে ইখলাছ বা অন্য সুরাও পাঠ করা যাবে।

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্‌র ৭টি ত্বাওয়াফ করবে ও শেষে দু’রাক’আত ছালাত আদায় করবে, সে যেন ১টি গোলাম আযাদ করল । এই সময় প্রতি পদক্ষেপে ১টি করে গোনাহ ঝরে পড়ে ও ১টি করে নেকী লেখা হয় (মিশকাত হা/২৫৮০)

সলাত শেষে সম্ভব হলে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করবেন ।

রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রুক্‌নে ইয়ামেনী ও হাজারে আসওয়াত স্পর্শ করবে, তার সমস্ত গোনাহ ঝরে পড়বে (ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/২৭২৯; ছহীহ নাসাঈ হা/২৭৩২)

ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদ প্রতি তাওয়াফেই স্পর্শ করতেন (আবু দাউদ হা/১৮৭৬)

মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো’আঃ প্রথমে বাম পা রেখে বলবেন-

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك»

আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লেম; আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিকা (হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ-এর উপর অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষণ কর । হে আল্লাহ! আমি তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি) অথবা

আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লেম; আল্লা-হুম্মা’ছিমানী মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম ((হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ-এর উপর অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষণ কর । হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ রাখো-ছহীহাহ হা/২৪৭৮)

সাঈঃ ওমরা ও হজ্জে ছাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানোই সাঈ । প্রথমে ছাফার নিকতবর্তী হয়ে পড়বেনঃ

﴿۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنۡ حَجَّ ٱلۡبَيۡتَ أَوِ ٱعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ ١٥٨ ﴾ [البقرة: ١٥٨]

ইন্নাছ ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা’আ-ইরিল্লা-হ । ফামান হাজ্জাল বাইতা আবি’তামারা ফালা জুনা-হা আলাইহি আই ইয়াত্ত্বাউওয়াফা বিহিমা । ওয়ামান তাত্বাউওয়া’আ খায়রান, ফাইন্নাল্লা-হা শা-কেরুন আলীম (নিশ্চয়ই ছাফা ও মারওয়া আল্লাহ্‌র নিদর্শন সমূহের অন্যতম । অতএব যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ অথবা ওমরা করবে, তার জন্য এদু’টি পাহাড় পদক্ষিণ করায় দোষ নেই । সুতরাং যে ব্যক্তি স্বেছায় সৎকর্ম করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার যথার্থ মূল্যায়নকারী ও তার সম্পর্কে সম্যক অবগত)বাক্বারাহ ২/১৫৮

অতঃপর ছাফা পাহাড়ে উঠে কা’বার দিকে তাকিয়ে-লা ইলাহা ইল্লালাহ, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল-হামদুলিল্লাহ ও ৩ বার আল্লাহু আকবার ।

তারপর কা’বার দিকে মুখ করেই দু’হাত তুলে ৩ বার নীম্নের দো’আ ও অন্যান্য দো’আ করবেন-

«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু; ইউহ্য়ী ওয়া ইউমীতু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর । লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহূ, আনজাযা ওয়াদাহূ ওয়া নাছারা আবদাহূ, ওয়া হাযামাল আহ্‌যা-বা ওয়াদাহূ (আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই । তিনি এক । তাঁর কোন শরীক নেই । তাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা । তিনিই বাঁচান ও তিনিই মারেন এবং তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী । আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই । তিনি এক । তাঁর কোন শরীক নেই । তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন ও স্বীয় বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই শত্রু দলকে ধ্বংস করেছেন । মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫; আবুদাউদ হা/১৮৭২)

দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী সবুজ দাগে একটু জোরে দৌড়াবেন । ছাফা থেকে মারওয়া গেলে এক সাঈ । মারওয়াতেও ছাফার মত দো’আ পড়বেন । মারওয়া থেকে সাফা দুই সাঈ । এভাবে ৭ সাঈ মারওয়াতে শেষ হবে ।

বিঃদ্রঃ এছাড়াও ত্বাওয়াফ ও সাঈ তে আপনার জানা, ইচ্ছানুযায়ী বেশি বেশি দো’আ করুন ।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসুউদ (রঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) এই সময় পড়েছেন-রব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আ’আযযুল আকরাম (হে প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর ও দয়া কর । আর তুমিই সর্বোচ্চ সম্মানিত ও সবচেয়ে দয়ালু) বায়হাক্বী ৫/৯৫পৃঃ

বিঃদ্রঃ সাঈর সময় জামা’আতের ইকামত দিলে জামা’আতে শরীক হবেন । ছালাত শেষে সাঈ’র বাকি অংশ পূর্ণ করবেন ।

সাঈ শেষে মারওয়া থেকে ডান দিকে সেলুনে গিয়ে মাথা মুন্ডন বা চুল ছেটে খাটো করবেন । এরপর জমজমের পানি আরোগ্যের নিয়তে পান করবেন এবং কিছুটা মাথায় দিবেন ।

রাসুল (সাঃ) বলেন, এই পানি কোন রোগ থেকে আরোগ্যে্র উদ্দেশ্যে পান করলে তোমাকে আল্লাহ আরোগ্য দান করবেন (ছহীহ তারগীব হা/ ১১৬৪)

এখানেই আপনার তামাত্তু হজ্জের ওমরাহ শেষ হবে । এখন আপনি হালাল, ইহরাম খুলে স্বাভাবিক পোশাক পড়ে ত্বাওয়াফ এবং সৌদির যে কোন স্থান ভ্রমণ, দর্শণ করতে পারেন ।

বিঃদ্রঃ ১টি হজ্জের সাথে ১টি ওমরাই করতে হবে এর বেশি করা বেদ’আত ।

মসজিদে নববীর যিয়ারতঃ এটি হজ্জ বা ওমরার কোন অংশ নয় । শুধু রাসুল (সাঃ) এর কবর যেয়াওতের উদ্দেশ্যে গমন করা জায়েয নয় ।

রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘অন্যত্র ছালাত আদায়ের চেয়ে আমার মসজিদে ছালাত আদায় করা এক হাজার গুণ উত্তম এবং...(ইরওয়া হা/১১২৯)

মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে দু’রাকা’আত তাহিইয়াতুল মাসজিদ পড়বেন । তবে জামায়াত চলতে থাকলে সরাসরি জামা’আতে যোগ দিবেন । তারপর রওযাতু জান্নাহ বা জান্নাতের বাগিচা যা কবর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান সবুজ রঙের খাম্বা দ্বারা বেষ্টিত এবং স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে, এখানে ইচ্ছামত নফল ছালাত পড়বেন ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

«مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي»

‘‘আমার ঘর ও মিম্বরের মাঝখানের স্থানটি জান্নাতের বাগিচা সমূহের একটি বাগিচা। আর আমার মিম্বর আমার হাওযের উপর অবস্থিত। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৩৫ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৪৩৬।

কবর যেয়ারতঃ রওযাতুল জান্নাহ’র বামে দক্ষিণ দিকে রাসুল (সাঃ) এর কবরে গিয়ে সালাম দিবেন এভাবে-

«السلام عليك أيها النبي و رحمة الله و بركاته،

আসসালা-মু ‘আলায়কা ইয়া রাসুলাল্লাহ ওয়া রহমাতুল্লা-হে ওয়া বারাকা-তুহু (‘হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহ্‌ররহমত ও বরকত সমূহ নাযিল হউক)

একটু এগিয়ে আবুবকর (রাঃ)কে সালাম দিবেন-এভাবে-

আসসালা-মু ‘আলায়কা ইয়া আবাবাকরিন রহমাতুল্লা-হে ওয়া বারাকা-তুহু (‘হে আবুবকর! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহ্‌র রহমত ও বরকত সমূহ নাযিল হউক)

আরো এগিয়ে অমর (রাঃ) কে সালাম দিবেন-

আসসালা-মু ‘আলায়কা ইয়া ওমারো রহমাতুল্লা-হে ওয়া বারাকা-তুহু (‘হে ওমর! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহ্‌র রহমত ও বরকত সমূহ নাযিল হউক)

বাক্বী গোরস্থান যিয়ারতঃ মসজিদে নববীর পূর্বদিকে ‘বাক্বী’উল গারক্বাদ কবরস্থান যিয়ারত করা সুন্নাত । কবরবাসীর উদ্দেশ্যে দু’হাত তুলে নিম্নোক্ত দো’আঃ আসসালা-মু ‘আলায়কুম দারা ক্বাওমিন্মু’মিনীন, ওয়া আতা-কুম মা তূ’আদূনা গাদান মুআজ্জালূনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূন; আল্লা-হুম্মাগফির লিআহলি বাক্বী’ইল গারক্বাদ (কবরবাসী মুমিনগণ!আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হউক! আগামীকাল (ক্বিয়ামতের দিন) আপনারা লাভ করবেন যা আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে । আর আমরাও আল্লাহ চাহেন তো সত্বর আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি । হে আল্লাহ! আপনি ‘বাক্বী’উল গারক্বাদ’ এর অধিবাসীদের ক্ষমা করুন-মিশকাত হা/১৭৬৬) অথবা

আসসালা-মু ‘আলা আহলিদ্দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূন; নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা (মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ!আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হউক! আর আমরাও আল্লাহ চাহেন তো অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি । আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহ্‌র নিকটে কল্যাণ প্রার্থনা করছি-মিশকাত হা/১৭৬৪)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَطَهَّرَ في بَيْتِه ثُمَّ أَتَى مَسْجِدَ قُبَاء فَصَلَّى فِيْه صَلاةً كَانَ لَه كَأَجْرِ عُمْرَةٍ»

“যে ব্যক্তি নিজ গৃহে পবিত্রতা অর্জন করে মাসজিদে কুবায় এসে নামায পড়ে, তার একটি উমরা করার সাওয়াব হবে।’

হজ্জের নিয়মাবলীঃ-

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৪২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File