তামাত্তু হজ্জের ধারাবাহিক কিছু নিয়ম কানুন (১ম)

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ১২:১৭:১৯ দুপুর



সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য ৷ সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ৷ তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক ৷

﴿وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ ﴾ [ال عمران: ٩٧]

আর আল্লাহ্‌র জন্য লোকদের উপর বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ ফরজ করা হ’ল, যারা সে পর্যন্ত যাবার সার্মথ্য রাখে (আলে ইমরান ৩/৯৭)

আর তোমরা আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে হজ্জ ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন কর (বাক্বারাহ ২/১৯৬)

সংজ্ঞাঃ ওমরাহঃ আল্লাহ্‌র নৈকট্য হাছিলের উদ্দেশ্যে বছরের যেকোন সময়ে শরী’আত নির্ধারিত ক্রিয়া-পদ্ধতি সহকারে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ যেয়ারত করার সংকল্প করা ।

ফযীলতঃ

«الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّة»

রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘এক ওমরাহ অপর ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের (ছগীরা গোনাহ সমূহের) কাফফারা স্বরূপ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৫০৮)

রাসুল (সাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই রমাযান মাসের ওমরাহ একটি হজ্জের সমান (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫০৯)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রমাযান মাসে ওমরা করা আমার সাথে হজ্জ করার ন্যায় (বুখারী হা/১৮৬৩; মুসলিম হা/৩০৩৯)

হজ্জঃ আল্লাহ্‌র নৈকট্য হাছিলের উদ্দেশ্যে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরী’আত নির্ধারিত ক্রিয়া-পদ্ধতি সহকারে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ যেয়ারত করার সংকল্প করা ।

ফযীলতঃ

«مَنْ أَتَى هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّه»

রাসুল (সাঃ) বলেন, যে আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে হজ্জ করেছে । যার মধ্যে অশ্লীল কথা বলেনি বা অশ্লীল কার্য করেনি, সে হজ্জ থেকে ফিরবে সেদিনের ন্যায় (নিষ্পাপ অবস্থায়) যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৫০৭)

কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয় (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৫০৮)

হজ্জ এর সময়কাল

আশহুরে হজ্জ মানে শাওয়াল, যুলক্বা’দাহ ও যুলহিজ্জাহ মাসের যেকোন সময়ে মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হয় এবং ৯ই যিলহাজ্জে আরাফাতে অবস্থান করতে হয় । আরাফাতে অবস্থান না করলে হজ্জ হবে না [সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ (কায়রোঃ দারুল ফাৎহ ৫ম সংস্করণ ১৪১২/১৯৯২), পৃঃ ১/৪৬২, ৫৪০]

সফরের আদবঃ

১। বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় পড়বেন

বিসমিল্লা-হি তায়াক্কাল্‌তু ‘আলাল্লা-হি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ (অর্থঃ ‘আল্লাহ্‌র নামে ( বের হচ্ছি), তাঁর উপরে ভরসা করছি । নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত (আবুদাউদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৪৩)

২। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব থেকে বিদায়ের সময় পরস্পরের উদ্দেশ্যে পড়বেন-

আস্তাউদি‘উল্লা-হা দীনাকুম ওয়া আমা-নাতাকুম ওয়া খাওয়া-তীমা আ‘মা-লিকুম (অর্থঃ ‘আমি আপনার দ্বীন, আপনার আমানত সমূহ ও আপনাদের শেষ আমল সমূহকে আল্লাহ্‌র যিম্মায় ন্যস্ত করলাম (ছহীহ আবুদাউদ হা/২২৬৬, ২২৬৫; মিশকাত হা/২৪৩৬

পরস্পরের ডান হাত ধরে দো‘আটি পাঠ করে পরস্পরকে বিদায় দিবেন (মিশকাত হা/২৪৩৫)

নীচের দো‘আটিও পড়বেন

যাউয়াদাকাল্লা-হুত্‌ তাক্বওয়া ওয়া গাফারা যাম্বাকা ওয়া ইয়াস্‌সারা লাকাল খায়রা হায়ছু মা কুন্‌তা (অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে তাক্বওয়ার পুঁজি দান করুন ! আপনার গোনাহ মাফ করুন এবং আপনি যেখানেই থাকুন আপনার জন্য কল্যাণকে সহজ করে দিন (ছহীহ তিরমিযী হা/২৭৩৯, ২২৬৫; মিশকাত হা/২৪৩৭)

৩। অতঃপর যানবাহনে পা দিয়ে বিসমিল্লাহ, উঠার সময় আল্লাহু আকবার, সীটে বসে আলহামদুলিল্লাহ এবং নামার সময় সুবহা-নাল্লাহ বলবেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/২৭৩৪; বুখারী, মিশকাত হা/২৪৫৩)

৪। পরিবহন চলতে শুরু করলে তিনবার আল্লাহু আকবার বলে নিচের দো’আ

সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়া মা কুন্না লাহূ মুক্বরেনিনা; ওয়া ইন্না ইলা রব্‌বিনা লামুনক্বালিবূন । আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বিররা ওয়াত তাক্বওয়া ওয়া মিনাল ‘আমালে মা তারযা; আল্লা-হুম্মা হাওভিন ‘আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াত্বভে লানা বু‘দাহূ, আল্লা-হুম্মা আনতাছ ছা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালীফাতু ফিল আহ্‌লি ওয়াল মা-লি । আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ওয়া‘ছা-ইস সাফারি ওয়া কাআ-বাতিল মানযারি ওয়া সূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহ্‌লি’

(অর্থঃ আল্লাহ সবার বড় (৩ বার) । মহা পবিত্র সেই সত্তা যিনি এই বাহনকে আমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন । অথচ আমরা একে অনুগত করার ক্ষমতা রাখি না । ‘আর আমরা সবাই আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’ (যুখরুফ ৪৩/১৩-১৪) । হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকটে আমাদের এই সফরে কল্যাণ ও তাক্বওয়া এবং এমন কাজ প্রার্থনা করি, যা তুমি পসন্দ কর । হে আল্লাহ! আমাদের উপরে এই সফরকে সহজ করে দাও এবং এর দূরুত্ব কমিয়ে দাও । হে আল্লাহ! তুমি এই সফরে আমাদের একমাত্র সাথী এবং আমাদের পরিবার ও মাল-সম্পদে তুমি আমাদের একমাত্র প্রতিনিধি । হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পানাহ চাই সফরের কষ্ট ও খারাব দৃশ্য হ’তে এবং আমাদের মাল-সম্পদে ও পরিবারের নিকটে মন্দ প্রত্যাবর্তন হ’তে (মুসলি্ম, মিশকাত হা/২৪২০)

৫। অবতরণ করে পড়বেনঃ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব’ (অর্থঃ আল্লাহ্‌র সৃষ্টবস্তু সমূহের অনিষ্টকারিতা হ’তে আমি তাঁর পূর্ণ কালেমা সমূহের মাধ্যমে পানাহ চাচ্ছি (মুসলি্ম, মিশকাত হা/২৪২২)

হজ্জের প্রকারভেদঃ হজ্জ তিন প্রকারঃ তামাত্তু, ক্বিরান ও ইফরাদ ।

হজ্জে তামাত্তুঃ হজ্জের মাসে একটি ওমরাহ ও একটি হজ্জ পৃথক ভাবে সম্পন্ন করা।

প্রথমে মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ্‌র ত্বাওয়াফ, ছাফা-মারওয়ার সাঈ শেষে মাথা মুন্ডন বা চুল ছেটে হালাল হয়ে ওমরাহ সম্পন্ন করা ।

দ্বিতীয় স্বীয় অবস্থানস্থল হ’তে ইহরাম বেঁধে ৮ই যিলহজ্জ মিনা থেকে শুরু করে হজ্জ সম্পন্ন করা ।

হজ্জে ক্বিরানঃ হজ্জের মাসে মিকাত হ’তে ইহরাম বেঁধে ১টি ওমরাহ ও ১টি হজ্জ একত্রে সম্পন্ন করা ।

হজ্জে ইফরাদঃ হজ্জের মাসে মিকাত হ’তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ না করে শুধু ১টি হজ্জ সম্পন্ন করা ।

রাসুল (সাঃ) বলেন, ওমরাহ সর্বদা হজ্জের মধ্যে প্রবেশ করবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত (আবুদাউদ হা/১৭৮৪, ৮৭, ৮৮, ৯০)

রাসুল (সাঃ) স্বীয় ছাহাবীগণকে প্রথমে ওমরাহ সেরে পরে হজ্জ অর্থাৎ তামাত্তু হজ্জ করার তাগিদ দিয়েছেন এবং না করলে ক্রোধ প্রকাশ করেছেন (আবুদাউদ হা/১৭৮৫, ৮৭)

অধিকাংশ মাজহাবী ইমাম, মুজতাহিদ, মুহাদ্দীস, মুফতী গণও উপরের হাদিসের আলোকে বলেছেন, বায়তুল্লাহ্‌র দুরবর্তী লোকেরা হজ্জে তামাত্তু আর নিকটবর্তী লোকেরা হজ্জে ক্বিরান করাই উত্তম । তবে নিজ নিয়ত ইচ্ছানুযায়ী তিনটির যে কোন ১টি সম্পন্ন করলেই হজ্জ পালন হবে ।

তামাত্তু হজ্জের ওমরাহ্‌র বিবরণঃ

প্রথমে ওমরাহঃ ওযূ, গোসল করে প্রবিত্রতা অর্জন করা । যদি বিমান মিকাতের আগে কোন স্থানে যাত্রা বিরতি না করে সে ক্ষেত্রে বিমানে উঠার পূর্বে প্রবিত্রতা অর্জন করে ইহরাম বাঁধতে পারেন । মীকাতে পৌঁছার আগে নিয়ত ও তালবিয়াহ পাঠ করা যাবে না ।

তবে এ যুগে সময়ের হিসাব জানা খুবই সহজ । বিমানে ঢাকা থেকে জেদ্দায় পৌছতে সাধারণতঃ সাড়ে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে । অবতরণের আধ ঘন্টা আগে বিমানেই ওযু করে ইহরাম বেঁধে নিবেন ।

পুরুষদের জন্য ইহরাম সাদা রঙের সেলাই বিহীন লুংগী ও চাদর । দেহে সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে, ইহরামের কাপড়ে নয় । টুপি, গেঞ্জি, জাইঙ্গা, সেলাই করা মাথার রুমাল, তাবিজ ইত্যাদি কিছুই ব্যবহার করা যাবে না । ইহরাম পড়ার পরেও গোসল করতে পারবে, ইহরাম বদলানো যাবে, ময়লা হলে ধৌত করা যাবে ।

সাদা সেয়াই বিহীন ইহরামের কাপড় পড়াকে সংকল্প করুন আপনি কাফন পড়ে আত্মীয় স্বজন ছেড়ে আখেরাতের পথে রওয়ানা হচ্ছেন ।

মিকাত, ইহরাম বাঁধাঃ বাংলাদেশের হাজীদের জন্য মিকাত ইয়ালামলাম পাহাড় থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে । ইহরাম বাঁধার পর দো’আঃ لبيك عُمْرَةً লাব্বায়েক ওমরাতান (আমি ওমরাহ্‌র জন্য হাজির) অতঃপর তালবিয়াহঃ

«لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ»

‘লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বায়েক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বায়েক; ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক; লা শারীকা লাক’ (আমি হাযির হে আল্লাহ আমি হাযির । আমি হাযির । তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির । নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা, অনুগ্রহ ও সাম্রাজ্য সবই তোমার; তোমার কোন শরীক নেই)

রাসুল (সাঃ) বলেন, কোন মুসলিম যখন তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার ডাইনে-বামে, পূর্বে-পশ্চিমে তার ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত কংকর, গাছ, ও মাটির ঢেলা সবকিছু তার সাথে তালবিয়াহ পাঠ করে (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৫৫০)

অথবা আল্লা-হুম্মা লাব্বায়েক ওমরাতান ( হে আল্লাহ! আমি ওমরাহ্‌র জন্য হাযির) অথবা

লাব্বায়েক আল্লা-হুম্মা ‘ওমরাতাম মুতামাত্তি‘আন বিহা ইলাল হাজ্জি; ফাইয়াসসিরহা লী ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী’ ( হে আল্লাহ! আমি ওমরাহ্‌র জন্য হাযির, হজ্জের উদেশ্যে উপকার লভকারী হিসাবে । অতএব তুমি আমার জন্য ওমরাহকে সহজ করে দাও এবং আমার পক্ষ হ’তে তা কবুল করে নাও)

এই দো’আটিও পড়ে নিবেনঃ ‘ফাইন হাবাসানী হা-বিসুন, ফা মাহাল্লী হায়ছু হাবাসতানী’ [যদি (আমার হজ্জ বা ওমরাহ পালনে) কোন কিছু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহ’লে যেখানে তুমি আমাকে বাঁধা দিবে (হে আল্লাহ!) সেখানেই আমার হালাল হওয়ার স্থান হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৭১১)]

সবগুলো দো’আই পড়ুন আরো বেশী করে দো’আ পাঠ করুনঃ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাহ, ওয়া আ’ঊযুবিকা মিনান্না-র’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাত প্রার্থনা করছি ও জাহান্নাম থেকে পানাহ চাচ্ছি)

‘রব্বে ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাকা (হে আমার প্রতিপালক! তোমার আযাব হ’তে আমাকে বাঁচাও! যেদিন তোমার বান্দাদের তুমি পুনরুত্থান ঘটাবে)

বিমান থেকে নেমে বিমান বন্দরের যাবতীয় নিয়মাবলী শেষে যানবাহন যোগে প্রবাসের আবাস্থলে যেয়ে মাল সামান রেখে, প্রয়োজনে সামান্য বিশ্রাম, ওযু করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফে যাবেন ।

বিঃ দ্রঃ যখনই যে স্থানেই ৫ ওয়াক্ত সলাতের সময় হবে বা জামায়াত শুরু হবে সম্ভব হলে জামাতে শরীক হবেন, বিশেষ কারনে না পারলে একাকি, দাঁড়িয়ে না পারলে বসে, ক্বেবলার দিক না জানলে বা না হতে পারলে (বিমানে) যে কোন দিকেই কেবলা করে ফরজ সলাত আদায় করে নিবেন ।

কা’বা গৃহ দৃষ্টোচর হওয়া মাত্র দু’হাত উঁচু করে আল্লাহু আকবার বলে নিজ ইচ্ছানুযায়ী যেকোন দো’আ করুন অথবা

ওমর (রাঃ) পড়েছিলেনঃ আল্লা-হুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, ফাহাইয়েনা রব্বানা বিস সালাম (হে আল্লাহ! তুমি শান্তি । তোমার থেকেই আসে শান্তি । অতএব হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের শান্তির সাথে বাঁচিয়ে রাখো!)-বায়হাক্বী ৫/৭৩

হারামে ডান পা রেখে দো’আঃ পড়া:

اللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ،

আল্লা-হুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লেম; আল্লা-হুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রহমাতিকা (হে আল্লাহ! তুমি মোহাম্মাদ-এর উপর অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষণ কর । হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তোমার অনুগ্রহের দরজা সমূহ খুলে দাও (হাকেম ১/২১৮; আবুদাউদ হা/৪৬৫; ইবনু মাজাহ হা/৭৭২-৭৩; ছহীহাহ হা/ ২৪৭৮)অথবা

، أَعُوْذُ باِللهِ الْعَظِيمِ وَ وَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ»

আ‘ঊযু বিল্লা-হিল আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়া বিসুলত্বা-নিহিল ক্বাদীমি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম (আমি মহীয়ান ও গরীয়ান আল্লাহ এবং তাঁর মহান চেহারা ও চিরন্তন কর্তৃত্বের আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতারিত শয়তান হ’তে)

ত্বাওয়াফঃ আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ প্রদক্ষিণ করাকে ত্বাওয়াফ বলে ।

এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আঃ) কে দায়িত্ব দিলাম যে তোমরা আমার ঘর পবিত্র করো তাওয়াফকারী ও ইতিকাফকারীদের জন্য (বাক্বারাহ ২/১২৫)

ত্বাওয়াফে কুদূমঃ (আগমনী ত্বাওয়াফ) ওযু অবস্থায় হারামের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সোজা মাত্বাফে গিয়ে কা’বার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত হাজারে আসওয়াত (কালো পাথর) বরাবর সবুজ বাতির নীচ থেকে কাবা গৃহকে বামে রেখে ত্বাওয়াফ শুরু করবেন ।

ত্বাওয়াফ কেনঃ

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254534
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
কাহাফ লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক ভাবে হাজ্ব পালনের তাওফিক দিন, আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File