বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে (১১তম শেষ পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৮ জুন, ২০১৪, ০৮:২৯:৪৫ সকাল
১ম পর্ব
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6753/soter/45670 (plz click & read)
কিছু তথ্যঃ-
এ বিশৃঙ্খল অবস্হা সম্পর্কে ১৬ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে এক প্রেস রিলিজে ৫৭টি দেশ নিয়ে গঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্হা (ও.আই.সি) এর মান্যবর মহাসচিব একমেলেদ্দীন ইহসানোগলু বলেন,’’
এ বছর (২০০৬) ঈদুল ফিতর ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময়ের পার্থক্য ৩ দিন পৌছেছে । আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষত: জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির যুগে এই অবস্হা দু:খজনক ।
ইসলামী উৎসবগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে । এসব উৎসব বিশ্বের সব মুসলিমের হৃদয়ে ঐক্যের বার্তা পৌছে দেয় । এই ঐক্য এসব উৎসবের নির্যাস হিসেবে প্রকাশ পায় । কিন্তু এসব উৎসব বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য ও বিভেদের উপলক্ষ্য হিসেবে উপস্হিত হয়েছে । এতে মুসলিমদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে না । এটি একটি বড় ধরনের ভুল । কারণ এসব ধর্মীয় উৎসব ধর্মের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যেয়ে একঘেয়েমি ও কুপমন্ডুকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে ইসলামী সম্বেলন সংস্হা (ও.আই.সি) ১৯৮০ -র দশক হতে লিখিতভাবে এবিষয় নিয়ে সোচ্চার । ও.আই.সি এবিষয়ের উপর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন সম্বেলনে এবিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছে । মুসলিম দেশগুলোতে একটি একক ক্যালেন্ডার অবলম্বন করার জন্য হিজরী ক্যালেন্ডারকে ধর্মীয় ও বিজ্ঞানের মুলনীতি প্রয়োগ করে পরিমার্জিত করতে হবে ।
এব্যাপারে ব্যবস্হা নিতে ইসলামী আইনবিদ্যা কেন্দ্রকে অনুরোদ করছি । পরিমার্জিত এ হিজরী ক্যালেন্ডার বিশ্বের সব মুসলিমকে রোজা ও অন্যান্য উৎসবগুলোতে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করবে । এবিষয়ে বিভক্তি ও অনৈক্য দুর করতে মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও নেতৃস্হানীয় কর্তাব্যক্তিদের এক সাথে কাজ করতে আহবান জানাচ্ছি । জেদ্দা: ২৮ অক্টোবর ২০০৬ দেখুন:
http://www.oci.org/oicold/press/english/2006/october%202006/hilal.htm )
বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ এবং সকল মুসলিমের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ব মুসলিম সংগঠন ও, আই, সি-এর ফিকহ একাডেমী ১৯৮৬ সনের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে শতাধিক শরীয়াহ্ বিশেষজ্ঞের সর্ব সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে,
“বিশ্বের কোন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে সকল মুসলিমকে ঐ দেখার ভিত্তিতেই আমল করতে হবে”
(দেখুনঃ http://www.newmoonbd.com/oic_decision.php
বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ হওয়া ও.আই.সি -র সিদ্ধান্ত বিরোধী । আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে । এজন্য জনমত গঠন করতে হবে ।
সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার বিষয়ে ও.আই.সি এর বিভিন্ন প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে । দেখুন
http://www.oic-oci.org/home.asp
1. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/11/11%20icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION No. 14/11-C)
2. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/12/12%20icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION NO. 8/12-C)
3. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/13/13%20icfm-cultural-en.htm (RESOLUTION NO. 11/13-C)
4. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/14/14%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 19/14-C)
5. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/15/15%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO.17/15-C)
6. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/16/16%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO.13/16-C)
7. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/17/17%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 16/17-C)
8. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/18/18%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION 18/18-C)
9. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/19/19%20icfm-cult-en.htm (RESOLUTION NO. 24/19-C)
10. ISTANBUL, REPUBLIC OF TURKEY 24-28 MUHARRAM 1412H, 4-8 AUGUST 1991
11. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/21/21-4th%20resolution.htm
আল-কুরআন- তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি কর না (আশ শুরা আয়াত ১৫)
তোমাদের নিকট যে জ্ঞান পৌঁছেছে তারপরও যদি তোমরা তাদের (কুরআন-হাদিস বহির্ভূত কারো কথা) মনের ইচ্ছা ও বাসনার (দলিল বিহীন মতবাদ) অনুসরণ কর তাহলে নিশ্চিত রুপে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে (বাক্বারা আয়াত ১৪৫)
বিষয়: বিবিধ
১৮০৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ হওয়া ও.আই.সি -র সিদ্ধান্ত বিরোধী। আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য জনমত গঠন করতে হবে।
আমনি একটা বেকার প্রতিষ্ঠানের উদাহরন দিলেন। ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ, হানাহানি বন্ধ করতে পারে না। মুসলিম নিধনে বিবৃতি দিতে পারে না। হে কিভাবে এক দিনে দুনিয়ার মানুষকে ঈদ করাইয়া ছাড়িবে। সৌদি আরব কখনও রাত দশ টায় চাদ দেখা যাবার ঘোষনা দেয়। তখন তো বাংলাদেশ রাত ১২ টা! তাইলে বেবাক মানুষকে কেডা ঘুম থেইকা তুইলা ঘোষনা করবে, সকালে ঈদ এখনও সেমাই চিনি জোগাড় কর। মালেশিয়ার মানুষ সেহেরী খাইয়া ফজরের নামাজ পড়তে যাইয়া শুনতে পাইব আধা ঘন্টা পরে ঈদ। যারা নামাজ পড়ে না, তারা জানতেই পারবে না ঈদ তো শুরু হইয়া গ্যাছে গা!
আল্লাহর কোন সিদ্ধান্ত অ-বৈজ্ঞানিক ও সমস্যা সৃষ্টিকারী নহে। আমি বে-আক্কেল মানুষ এই কথাগুলো মনে আইল তাই বলিলাম। ভুল হইলে মাপ চাইতেছি।
আপনি ১ম পর্ব থেকে শেষ ১১ তম পর্ব ধারাবাহিকভাবে মনযোগ সহ সম্পূর্ণ পড়ুন আপনার কমেন্টের সমাধান পাবেন । ইন-শাহ-আল্লাহ !
প্রতি পর্বে মতামত জানানোর অনুরোধ করছি ।
বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে করুন ।
সকল পর্ব ধারাবাহিকভাবে মনযোগ সহ পড়ে দেখুন একটাই হবে।
না হলে ভুল ত্রুটি উল্লেখ করে কমেন্ট করুন। ধন্যবান।
আমরা বাস্তবে কি তা করি???!!!
আপনি সকল পর্ব ধারাবাহিক পড়ে কুরআন ও সহিহ হাদিসের দলিল সহ প্রশ্নের জবান দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন