বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে (৮ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২৫ জুন, ২০১৪, ০৯:২৩:০৫ সকাল
১ম পর্ব
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6753/soter/45670 (plz click & read)
বর্তমান সময়ের জ্ঞানীরাও এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন কিভাবে সকল ইবাদত বিশ্ব মুসলিম এক হয়ে পালন করা যায় । অনেকে আধুনিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে এ বিষয়ে লেকচার, বইয়ের মাহ্যমে প্রচারনা চালাচ্ছে।
সকলের প্রচারনায় দেখায় যায়-
সউদির চাঁদ দেখার খবরের সাথে মিলিয়ে এক করতে চান ! কেন ?
বলেন- সৌদী আরবের অবস্থান পৃথিবীর মাঝখান বরাবর । বিখ্যাত ‘গোল্ডেন রেশিও’ অনুযায়ী মক্কা পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দু ।
মক্কা ইসলামের কেন্দ্র বিন্ধু । কা’বা মুসলমানদের সর্বোচ্চ সম্মানিত তীর্থস্থান । কা’বা শরীফের ঠিক উপরে বায়তুল মামুর যার নিচ বরাবর আদম আ: কা’বা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা থেকেই আল্লাহর বাণী সমগ্র বিশ্বে প্রচার শুরু করেছেন ।
মক্কার সাথে পৃথিবীর যে কোন স্থানের সময়ের ব্যবধান বার ঘন্টার নিচে। কোন স্থানের সাথে সময়ের ব্যবধান বার ঘন্টার নিচে থাকলে ঐ স্থান অনুসারে মাস শুরু করা যায় ইত্যাদি ।
তারিখ চাঁদের উদয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত । মাসের প্রথম দিনের চাঁদ পশ্চিম আকাশে উদিত হয় । সৌদির পশ্চিমের দেশগুলতে আগে চাঁদ দেখা যাবে ।
প্রথম চাঁদ যে দেশে দেখা যাবে তাদের সাথে এক হওয়া উচিত নয় কি ? তাছাড়া শরীয়ায় সৌদিকে মনদ্বন্দ করার কোন দলিল আছে কি ?
আল্লামা শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.)
একই দিনে সারাবিশ্বে ঈদের প্রবক্তাদের কেউ কেউ মক্কা শরীফে চাঁদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ ও সাওম পালনের যে মত ব্যক্ত করেছেন । কিন্তু খোদ সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতি আল্লামা শায়খ বিন বায (রহ.) এটি নাকচ করেছেন ।
তিনি বলেন: ‘বিশেষ করে মক্কার চাঁদ দেখাকে ভিত্তি করে যারা সারা দুনিয়ায় রামাযান ও ঈদের ফায়সালা করতে বলেন, তাদের এ মতের কোন ভিত্তি ও দলীল নেই ।
আর তা হলে অবস্থা এ রূপ হবে যে, মক্কায় চাঁদ দেখা না-হলে, অন্য অঞ্চলের লোকেরা চাঁদ দেখলেও তাদের উপর সাওম ফরজ হবে না’- (আল বা’সুল ইসলামী: জিলহজ্ব ১৩৯৯, সূত্র: ইসলামী মাহ, মওলানা ইয়াক‚ব ঈসমাইল দেওবন্দী, পৃ. ১৩১)
সুতরাং যারা সৌদি সাথে এক হওয়ার কথা বলেন বিষয়টি ভেবে দেখুন । মুসলিম উম্মার কেন্দ্র মক্কার ইসলামিক চিন্তাবিদেরকে বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে ।
মক্কা ইসলামের কেন্দ্র হিসাবে আমরা
বিশ্বের মুসলিম উম্মা থেকে একজন খলিফা (যে সহিহ শরীয়া জ্ঞানের অধিকারী) মেনে তার কেন্দ্রীয় কার্যালয় সউদিতে করতে পারি ।
তার অধিনিস্থ বিভিন্ন দেশের গভর্ণর (প্রত্যেক দেশে একজন) বানাতে পারেন । বিশ্বের যে দেশে প্রথম চাঁদ দেখা যাবে ঐ দেশের গভর্ণর খলিফাকে জানাবে ।
খলিফা অধুনিক প্রচার যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম চাঁদ দেখার খবর বিশ্ব বাসীর নিকট প্রচার করবে । এভাবে মাসের শুরু সমগ্র বিশ্বে এক সাথে করা যেতে পারে । (ইনশাআল্লাহ) ।
উক্ত খলিফা শির্ক বেদাতেরও সমাধান দিবেন ।
যারা এতে লিপ্ত তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রমাণ নিয়ে সহিহ শরীয়া মতে জানাবেন এটা করা যায়েজ, এটা নাযায়েজ ।
শুধু চাঁদ দেখার খবর হলে দেশের রাষ্ট্র প্রধানও করতে পারবে ।
মক্কার সাথে পৃথিবীর যে কোন স্থানের সময়ের ব্যবধান বার ঘন্টার নিচে (ধরা যাক ১০ ঘন্টা) ।
প্রশ্নঃ- মক্কায় যখন সন্ধ্যা তক্ষণাৎ ১ম চাঁদের খবর প্রচার করা হলে অন্য দেশে তখন সুবহে সাদিক হবে । রমযানের তারাবী, সেহেরী, নিয়ত ঐ দেশের লোকেরা কিভাবে করবে ?
(চলবে)
৯ম পর্ব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6753/soter/48079 (plz click & read)
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন