আল্লাহর আকৃতি আছে, তবে তুলনীয় নয়
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ০৩ মে, ২০১৪, ০৯:৩৫:৪২ সকাল
সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ দ্বীন হিসাবে আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন, যে দ্বীনে মানুষের পক্ষ থেকে কোন সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হয় না ৷ সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ৷ তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক, যারা ছিলেন উম্মতে মুহাম্মাদীর আদর্শ ৷
কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নেই । তিনি সবকিছুই শুনেন এবং দেখেন (সুরাঃ আশ-শুরা-১১)
চেহারা
কেবলমাত্র তোমার রবের মহিয়ান ও গরিয়ান চেহারাই অবশিষ্ট থাকবে (সুরাঃ আর রহমান-২৭)
আল্লাহর চেহারা বা সত্ত্বা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হবে (সুরা আল কাসাস-৮৮)
পূর্ব ও পশ্চিম এর মালিক আল্লাহ, তোমরা যে দিকেই তোমাদের মুখমন্ডল ফিরাবে সে দিকেই আল্লাহর চেহারা থাকবে (সুরাঃ বাকারা-১১৫)
জাবির বিন আবদিল্লাহ (রাঃ) বর্ণিত তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হলোঃ “বল, সেই আল্লাহ ক্ষমতা রাখেন তোমাদের উপর আযাব নাযিল করার তোমাদের উর্ধ্ব দিক হতে” রাসুল (সাঃ) বললেন, আমি তোমার চেহারার আশ্রয় চাই (বুখারী ২য় খন্ড ৬৬৬ পৃঃ ইবনু কাসির ২য় খন্ড ১৮৯ পৃঃ)
চোখ
আল্লাহ তা’আলাকে দুনিয়ার কোন চোখ দেখতে পারে না বরং তিনিই সমস্ত চোখকে দেখতে পারেন । তিনি অতিশয় সুক্ষ্ণদর্শী এবং সর্ব বিষয়ে ওয়াকিফহাল (আনা-আম-১০৩)
তিনি সব কিছু শুনেন ও দেখেন (আশ-শুরা-১১)
আমার চোখের সামনে আমার ওয়াহি বা নির্দেশ অনুযায়ী তুমি নৌকা তৈরী কর (হুদ-৩৭)
অতঃপর আমি তাঁর (নূহের) কাছে আদেশ প্রেরণা করলাম যে, তুমি আমার চোখের সামনে এবং আমার নির্দেশে নৌকা তৈরী কর (মু’মিনুন-২৭)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমর প্রভূ অন্ধ নন (বুখারী ২য় খন্ড ১০৫৫-১০৫৬ পৃঃ)
হাত
বরকতময় ঐ সত্ত্বা যার হাতে রাজত্ব তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষোমতাবান (মুলক-১)
আল্লাহর দু’হাত তো উদার ও উন্মুক্ত । তিনি যেভাবেই ইচ্ছা খরচ করেন (আল মায়িদা-৬৪)
ক্বিয়ামতের দিন পুরো পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমুহ বাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে (আয যুমার-৬৭)
বল! নিশ্চয় অনুগ্রহ আল্লাহর হাতে । তিনি যাকে চান তাকে তা দেন । আল্লাহ প্রাচুর্যময় সর্বজ্ঞ (আল ইমরান-৭৩)
আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ (রাঃ) বর্ণিত একজন পাদ্রী রাসুল (সাঃ) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মদ (সাঃ) আমরা পাই যে, আল্লাহ (ক্বিয়ামাত দিবসে) আসমানসমুহ এক আঙ্গুলের উপর, যমীনসমুহ এক আঙ্গুলের উপর, গাছসমুহ এক আঙ্গুলের উপর পানি-কাদা এক আঙ্গুলের উপর এবং সমস্ত সৃষ্টি এক আঙ্গুলের উপর করে বলবেন, আমি বাদশাহ । একথা শুনে রাসুল (সাঃ) হেসে দিলেন অতঃপর রাসুল (সাঃ) পাঠ করলেন- “ তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বুঝেনি । ক্বিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তার হাতের মুঠোতে থাকবে” (বুখারী ২য় খন্ড ৭১১ পৃঃ, মুসলিম ২য় খন্ড ৩৭০ পৃঃ, ইবনু কাসির ৪র্থ খন্ড ৮০ পৃঃ)
পা
যেদিন পায়ের পোছা বা পিন্ডলী প্রকাশ করা হবে, সেদিন তাদেরকে সাজদাহ করতে আহবান করা হবে । অতঃপর তারা সাজদাহ করতে সক্ষম হবে না (আল ক্বালাম-৪২)
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণিত আমি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমাদের প্রভু তাঁর পায়ের পোছা বা পিন্ডলী প্রকাশ করবেন । অতঃপর তাঁর জন্য সকল মু’মিন মু’মনাহ সাজদাহ করবে এবং বাকি থাকবে ঐ সমস্ত লোক যারা দুনিয়াতে লোক দেখানো সাজদাহ করতো । তারা সাজদাহ করতে যাবে অতঃপর তাদের পিঠ এক তাবকা বা বরাবর হয়ে যাবে (বুখারী ২য় খন্ড ৭৩১ পৃঃ, ইবনু কাসির ৪র্থ খন্ড ৫২৪ পৃঃ)
আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেছেনঃ জাহান্নামের মধ্যে পাপীদের নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নাম বলবে আরও এর থেকে বেশী আছে কি ? তিনি তাঁর পা জাহান্নামের মধ্যে রাখবেন । অতঃপর জাহান্নাম বলবে যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে (বুখারী ২য় খন্ড ৭১৯ পৃঃ, ইবনু কাসির ৪র্থ খন্ড ২৮৯-২৯০ পৃঃ)
আলোচনা
আল্লাহর আকার সম্পর্কে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহর মুখমন্ডল ও দেহ আছে যেমন মহান আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেছেন ।
কুরআনের বর্ণনায় আল্লাহর চেহারা, হাত, দেহের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা আল্লাহর দৈহিক বৈশিষ্ট্য । আমরা তাঁর ঐ সকল অঙ্গের বিষোদ বিবরণ অবগত নই ।
কেউ যেন আল্লাহর হাতকে কুদরতী হাত বা তাঁর নেয়ামত না বলে । কেননা তাতে তাঁর সিফাত বা গুণাবলীকে অস্বীকার করা হয় ।
আর যারা কুদরতী হাত বলে তারা কাদরিয়াহ ও মু’আমিলাহ সম্প্রদায়ের লোক (ইমাম আবু হানীফার ফিকাহুল আকবার মোল্লাহ আলী কারী হানাফীর শরাহসহ দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ বৈরুত-৫৮-৫৯ পৃঃ)
জামিয়াহ ও শীয়াহ সপম্রদায়ের একটি অংশ যারা মনে করে আল্লাহ স্বশরিরে সর্বত্র বিরাজমান এবং তাঁর আকার নেই, নিরাকার ।
আবার এক সম্প্রদায় রয়েছে যারা মনে করে আল্লাহর মানুষের মতই সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে ।
এভাবে আল্লাহকে সর্বত্র বিরসজমান, নিরাকার ও মানুষের মতই বিশ্বাস করা কুফরী ও শির্ক ।
যারা এটা বলবে ও নেমে নিবে তারা কাফির ও মুশরিক ।
উপরোক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে,
আল্লাহর দৈহিক বিবরণের মধ্যে তাঁর চেহারা, চক্ষু, হাত, দুই হাত, ডান হাত, হাতের মুঠো, আঙ্গুল, পাঁচ আঙ্গুল, পা রয়েছে ।
যে এগুলোকে অস্বিকার করে সে কাফের ।
আরো দেখা যায় এগুলোকে কুদরতীও বলা যাবে না এবং সৃষ্টির কোন কিছুর সাথে তুলনাও করা যাবে না ।
এরূপ কুদরতী বা তুলনা করলে শির্ক হবে ।
মহান আল্লাহর আকার রয়েছে । তাঁর আকার কেমন, তাঁর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেমন, এটা তিনি আমাদেরকে বলে দেননি ।
আমাদের বিশ্বাস তাঁর আকৃতি, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাঁর শান অনুযায়ী হবে ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর সৃষ্টিকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে-
কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নেই (সুরাঃ আশ-শুরা-১১)
বিষয়: বিবিধ
৬৬২৫ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
এখন কথা হল, যার শুরু এবং শেষ নেই তার শেপ বা আকৃতি নিয়ে তথ্য প্রমানের কি দরকার ?
এখানে আপনার উল্লেখিত প্রত্যেকটি তথ্যই রূপক। আমরা মানুষ,সীমাবদ্ধ। আমাদের সীমাবদ্ধ চিন্তার জন্যে আল কুরআন এবং সুন্নাহ আমাদের মত করে কিছু বিষয়ে বুঝিয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ের সম্পর্কে আমাদের ধারনা তৈরী হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যে এসব বিষয়ে আলোচনা করলে অনর্থক প্যাচের সৃষ্টি হয়। আল্লাহর অস্তিত্ব রয়েছে। তিনি কোথা থেকেও জন্ম নেননি,তার শেষ নেই,শুরু নেই। তিনি সর্বদা ছিলেন। তার আগে পরে কিছু নেই। তার সাদৃশ্য কোথাও নেই। এসব তার বৈশিষ্ট্য এবং এর একটি বৈশিষ্ট্যও মানুষ তার হাটু না নামক মাথা দিয়ে প্রকাশ করতে পারবে না।
একদল মানুষ এভাবে বলেছে-যেহেতু আল্লাহ বলেন-আমি দেখী,তার মানে তার চোখ রয়েছে। তিনি কুরসীতে বসেন,তার মানে বসার মত একটি অবস্থা আছে। তার হাত আছে...এভাবে তাকে মানুষের আকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এটা আর কিছু নয়,এটা হল অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির ফসল। যার যে বিষয়ে জ্ঞান নেই এবং প্রকাশ করার দরকারও নেই, সে বিষয়ে অতিরিক্ত বললে বিষয় এমন দাড়ায়।
আল্লাহর চোখ আছে বলে একজন দাবী করল,তখন বলেছিলাম দেখার কাচটি কি শুধু চোখ দিয়ে করা যায় ? বাদুড় তো আল্ট্রাসনিক সাউন্ড দ্বারা দেখে। তাহলে তিনি দেখেন এর ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে কিভাবে আসেন যে,তার চোখ রয়েছে ?
অঅমি এও বলছি না যে আল্লাহর চোখ নেই। আসলে বোঝাতে চাচ্ছি কিছু বিষয়ে কথা না বললেও চলে। হাদীসে এসেচে জ্জান্নাতিরা আল্লাহকে দেখবে, .....সেদির পর্যন্ত এ জাতীয় লেখাটা অফ রাখেন। অনুরোধ করছি। তকদীর নিয়েও কিন্তু বেশী আলোচনা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আপনার সাথে আমার শত্রুতা নেই। কিন্তু এভাবে ভেবে দেখেন,বিনা কারনে কেউ আল্লাহর সম্পর্কে উল্টা পাল্টা ধারনা তৈরী করে বসলে তা কি ভাল হবে ? আর এই বিষয়টি প্রমান/প্রকাশ করার তো কোনো ফজিলতও দেখছি না। আল্লাহ আপনার কল্যান করুক
২) আল্লাহ'র কোন আকার নেই । অর্থাৎ নিরাকার।
আপনার আক্বিদা বা বিশ্বাস ১ না ২ ।
আল্লাহর চেহারা, হাত পা, চেয়ার টেবিল, কলম, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা না করাই ভাল, কারন এই গুলো যতই আলোচনা করবেন ততই শয়তান বিভিন্ন দিকে মোড় নিতে সাহার্য্য করবে,
আপনি কোন কিছুতেই সমাধান খুজে পাবেন না,
একমাত্র কমিনিউজমরাই আল্লার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন,
আর যারা ভ্রান্ত আকিদার লোক তারা আল্লাহর হাত পা চেয়ার কলম নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ করেন,
উক্ত সব গুলোই রুপক অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে সাহার্য্য, তুমি যেদিকে তাকাও সেদিকে আল্লাহর চেহারা দেখতে পাবে এর অর্থ হলো তুমি যেদিকে তাকাও সেদিকে তুমি তার সাহার্য্য এবং ক্ষমতা দেখতে পাবে,
আল্লাহর কুরসি মানে ক্ষমতার সিংহাসন,
কলম মানে তার একটা নিয়ম নীতির ধারা,
চেহারা, হাত ইত্যাদি মানে সাহার্য্য,
যেমন কোরানে বলেন "লাকাদ খলাকনাল ইনসানা ফি আহ সাহনি তাকভিম"
অর্থ্যাত আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর আকৃতি দিয়ে
এখানে খলাকনা অর্থ আমরা সৃষ্টি করেছি
তাহলে আল্লাহ কি তাহলে অনেক গুলো?
না যদিও খলাকনা বহু বচন ব্যবহার করা হয়েছে উক্ত আয়াতে
তথাপি আমাদের ধরে নিতে হবে একবচন কিংবা
বহু বচনটি এখানে অর্থ তুলতে হবে আমি ও ফেরাস্তাসহ মিলে মানুষকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি, এখানে ফেরাস্ত হবে আল্লাহ হুকুমদার গোলাম হিসেবে সাহার্য্যকারী
আমি বুঝাতে চেয়েছি যে কোরান মজিদ বুঝতে হলে তাফসির বুঝতে হবে, উপরের অর্থ দিয়ে কখনোই কুরান বুঝতে পারবেন না, নতুবা ঈমানের খতরের আশংকা আছে,
দেয়ানবাগীদের ধারনা আল্লাহ নুরের নয়, আল্লাহর আকার আছে, তাদের যুক্তি দিতে গিয়ে উক্ত আয়াত গুলো পেশ করে,
২) আল্লাহ'র কোন আকার নেই । অর্থাৎ নিরাকার।
আপনার আক্বিদা বা বিশ্বাস ১ না ২ ।
সূরা শুরার ১১ নং আয়াত ও সূরা ইখলাস আমার দলিল। সংক্ণিপ্ত কথা হলো, বিভিন্ন অঙ্গ বা অংশ মিলিত হয়ে যে অস্তিত্ব লাভ করে সে মুরাক্কাব বা যৌগিক। আমরা আল্লাহ তায়ালাকে একক বলে বিশ্বাস করি। তার কোন অংশ নেই, তার সমতুল্য কিছু নেই। বিভিন্ন অংশ বা অঙ্গ নিয়ে যে যৌগিক গঠন হয়, সেটি মাখলুক বা সৃষ্ট। এধরনের যৌগিক সত্বা আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।
যদি শাব্দিক অর্থই নেন তবে এটার কি বিশ্লেষন করবেন ?
সূরা কাসাসের ৮৮ নংআয়াতের অংশবিশেষের প্রতিএকটু খেয়াল করুন- لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ
এখানে শাব্দিক অর্থ করলে অর্থটা হয় এরকম- "তিনি(আল্লাহ) ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তাঁর চেহারা ব্যতিত সবকিছুই ধ্বংস হবে।" এখন যদি বলা হয় আল্লাহর হাত, চোখ, চেহারা ইত্যাদি আছে তাহলে এই আয়াতের
অর্থ কী এরকম দাঁড়ায় না যে- আল্লাহ তাআলার হাত পা ইত্যাদি সবকিছই ধ্বংস হবে শুধু তাঁর চেহারা ব্যতিত(নাউযুবিল্লাহ)।
আপনি নিজেও জানেন না নিজের অজান্তে মানুষকে আপনি কাদের আক্বীদা শিখাচ্ছেন !
পড়ুন
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6461/asksumon/41624
" target="_blank" target="_blank" rel="nofollow">স্রষ্টাকে সৃষ্টির সঙ্গে সাদৃশ্য প্রদানে ইহুদী ধর্ম
[[অর্থ কী এরকম দাঁড়ায় না যে- আল্লাহ তাআলার হাত পা ইত্যাদি সবকিছই ধ্বংস হবে শুধু তাঁর চেহারা ব্যতিত(নাউযুবিল্লাহ)।]]
কথাটি কোথায় পেলেন ?
আযাজিল ও যুক্তি দিয়ে ইবলিশ হয়েছে.।.।.।.।.।
(যদি জবাব জানা না থাকে তবে বুঝে নিন আপনার এই পোষ্ট ভ্রান্ত আক্বীদার লোকদের, সহীহ আক্বীদার নয়।)
১)আল্লাহ'র আকার আছে । তা কি রুপ তা আমাদের জানা নেই ।
২) আল্লাহ'র কোন আকার নেই । অর্থাৎ নিরাকার।
আপনার আক্বিদা বা বিশ্বাস ১ না ২ ।
এবার আপনি বলুন আল্লাহ হাত কতগুলো?
সাথে এটা পড়ার আমন্ত্রন
তথাকথিত সালাফী আলেমদের আকিদাগত মতবিরোধ
আল্লাহ'র আকার আছে তার স্বরুপ জানা নেই,
অংগ কয়টি,কেমন কেমন.।.।.।.।.।
তা জানা নেই ।
আপনি সরাসরি বলুন ১ না ২
"কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। (Nothing Like To Him)" (আল-কুরআন, ৪২:১১)।
And there is none like unto Him. (আল-কুরআন, ১১২:৪)
অর্থাৎ আল্লাহপাক আকার, সাকার দুই গুন থেকেই পবিত্র। কারণ এই দুই গুণই সৃষ্টির গুন। সুতরাং এর থেকে বেশী ভাবা আমাদের উচিত নয়। (মন্তব্যটি সংগৃহীত)
মন্তব্য করতে লগইন করুন