আপনি কি কুরআন-হাদীস ছাড়া অন্য কিছু মানেন না ?

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৩৫:৩৬ সকাল



সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে লেখার তৌফিক দান করেছেন । অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর ।

প্রকৃত মুমিনতো তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনে (হুজরাত, আয়াত ১)

যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে [মুহাম্মদ স] অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন (ইমরান, আয়াত ৩১)

যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর (নিসা, আয়াত ৫৯)

সে লোক ইমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে [রাসুল স] ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে (নিসা, আয়াত ৬৫)

আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রাসুলের (ইমরান, আয়াত ৩২, ১৩২; নিসা, আয়াত ৫৯; আনফাল, আয়াত ১, ২০, ৪৬; নুর, আয়াত ৫৪, ৫৬; মুহাম্মদ, আয়াত ৩৩; মুজাদালাহ, আয়াত ১৩; আততাগাবুন, আয়াত ১২)

তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তাঁর অনুসরণ করো এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অলী আওলীয়াদের অনুসরণ করো না । তোমরা অল্প সংখ্যক লোকই তা স্মরণ রাখো (আ’রাফ, আয়াত ৩)

যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদানুযায়ী ফায়সালা করে না-- তারাই কাফের (মায়েদা, আয়াত ৪৪)

--তারাই জালেম (মায়েদা, আয়াত ৪৫)

--তারাই পাপাচারী (মায়েদা, আয়াত ৪৭)

তাদেরকে যখন বলা হয় যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেইদিকে এবং রাসুলের দিকে আসো । তখন মুনাফিকদের দেখতে পাবেন যে, তারা আপনার নিকট আসতে ইতস্তত করছে ও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে (আন নিসা, আয়াত ৬২)

যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে পথে এবং রাসুলের পথে আস । তখন তারা বলে, আমরা আমদের বাপ দাদাদেরকে যার উপর পেয়েছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট । যদিও তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান রাখে না এবং হিদায়াত প্রাপ্তও না হয় তবুও কি তারা তাই করবে (মায়েদা, আয়াত ১০৪)

আর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তাহলে জানবেন তারা শুধু নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে । আল্লাহর হিদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার থেকে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে ? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না (কাসাস, আয়াত ৫০)

আর কেহ আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্য হলে এবং তাঁহার নির্ধারিত সীমা লংঘণ করলে তিনি তাহাকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করবেন । সেখানে সে চির কাল থাকবে এবং তার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে (নিসা, আয়াত ১৪)

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে বিরোধীতা করে তারা লাঞ্ছিত হবে (মুজাদালা, আয়াত ২০)

যারা রাসুলের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের সতর্ক থাকা উচিত যে তারা যে কোন বিপদের সম্মুখীণ হবে অথবা যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে (নূর, আয়াত ৬৩)

এক্ষণে যে কেহ আল্লাহ ও রাসুলের কথা অমান্য করবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে এবং তারা উহাতে চিরকাল থাকবে (জ্বীন, আয়াত ২৩)

তোমাদের নিকট যে জ্ঞান পৌঁছেছে তারপরও যদি তোমরা তাদের (কুরআন-হাদিস বহির্ভূত কারো কথা) মনের ইচ্ছা ও বাসনার (দলিল বিহীন মতবাদ) অনুসরণ কর তাহলে নিশ্চিত রুপে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে (বাক্বারা, আয়াত ১৪৫)

[আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমাণ আনা, ভালবাসা, নির্দেশ মান্য করা, অনুসরন করা ইত্যাদি বলতে আল্লাহর নাযিলকৃত, অবতীর্ণ কুরআন ও রাসুল (সাঃ) সহিহ হাদিস কে বলা হয়েছে]

[কুরআন-হাদিসের বহির্ভূত সকল আক্বীদা, আমলই শির্ক, বেদআত]

রাসুল (স) বলেন- বিদআতিদের নামায, রোযা, হজ্জ, উমরাহ, জিহাদ, যাকাত এবং ফরজ নফল কোন এবাদতই আল্লাহর নিকট কবুল হবে না তারা ইসলাম থেকে সেরুপ ভাবে খারিজ হয়ে যাবে, যেভাবে আটা থেকে চুল পৃথক হয়ে যায় (ইবনে মাযাহ ই: ফা: ১ম খন্ড হা ৪৯)

রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি ২টা জিনিষ আঁকরে ধরে থাক তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না, এ দু’টি জিনিষ হলো আল্লাহর কুরআন ও আমার সুন্নাহ (মিশকাত ১ম খন্ড হা ১৭৭)

একটু গভিরভাবে চিন্তা করুন-

এ যাবৎ যত জ্ঞানীরা, এমনকি মাযহাবের ফেকাহ শাস্ত্র সহ যত ইসলামিক কেতাব লিখেছেন সকল কেতাবেই ব্র্যাকেটে দলিল হিসাবে (কুরআন), (বুখারী), (মুসলিম)…… ইত্যাদি বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেছেন ।

সকল ক্ষেত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস মানতে হবে অন্য কিছু নয় ।

আপনার মত অনেকে এই কথা দ্বারা বুঝতে পারে যে,

সত্যের বলেছে কুরআন- হাদিস ছাড়া সাহাবী, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন, মাযহাব, ইজমা, কিয়াস এমকি কি বর্তমান সকল জ্ঞানী জনদের মানা যাবে না (ভুল ধারনা)

আমি যা বুঝি তা হল-যার কথা, লেখা কুরআন ও সহিহ হাদিসের সাথে মিলবে তা মানা যাবে এবং যা মিলবে না তা মানা যাবে না (এভাবে বুঝতে হবে)

এর মানে এটা নয় যে, কোন ব্যক্তির মিল / অমিল সব মানব । আর কোন ব্যক্তির মিল / অমিল কোনটাই মানব না (অন্ধ অনুসরণ ভুল)

আর বুঝুন এভাবে মানা কে ঐ ব্যক্তিকে মানা, না মানা বুঝায় না । বরং সকল ক্ষেত্রে কুরআন ও সহীহ হাদিসকে মানা বুঝায় (সহীহ কথা)

আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর লিখলে বিশাল গ্রন্থে পরিনত হবে । সংক্ষেপে কিছু লিঙ্ক দিলাম । পড়ে জানাবেন আপনার উত্তর পেয়েছেন কি ?

কোরআন হাদিসের অনুসরণই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন । এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন ।

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/25028 (pls click & read)

আমরা অনেকেই মুখে বলি যে আমরা কুরআন হাদিস অনুযায়ী ইবাদত করি । আসলে বাস্তবে আমরা কি তা করি । এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন ।

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/25308 (pls click & read)

অনেকে বলে কুরআন-হাদিসের দলিল ঘাটা ঘাটি করে বের করার মত সময়, জ্ঞান আমার নেই । এর জন্য দেখুন-

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/25533 (pls click & read)

আমরা কি হাদিসের গ্রন্থগুল অনুসরন করতে পারি ? আমাদের বিভিন্ন ইমাম গন এ ব্যাপারে কি বলেছেন ? দেখুন-

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/25812 (pls click & read)

আমরা যারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখি বা বক্তৃতা তথা ওয়াজ করি সকলেরই উচিৎ মুল গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ দলিল উল্লেখ করা । এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন ।

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/24763 (pls click & read)

জাযাকাল্লাহু খায়রান ।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সহিহ বুঝ দিন ।

আমীণ!

বিষয়: বিবিধ

১৯৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File