নারীর সম্মান মর্যাদা রক্ষার্থে করনীয় (৩য়)

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের ২২ জুলাই, ২০১৩, ০৮:২০:৩৬ সকাল

১ম অংশ- http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/22189 (pls click & read)

২য় অংশ- http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/22297 (pls click & read)

পুরুষদের জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনে মাজীদে এরশাদ করেন,

মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে । এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র । নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত (সূরা নূর আয়াত ৩০)

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চক্ষু দুটিও যেনা করে, আর চক্ষুদ্বয়ের যেনা হল দৃষ্টিপাত করা ।

নবীজী পরিশেষে বলেন: যেনার সকল স্তর পর্যায়ক্রমে অতিক্রম করত: সর্বশেষে গুপ্তাঙ্গ যেনার অতিক্রান্ত স্তরসমূহকে সত্যায়ন করে । অর্থাৎ, যৌন মিলনের মাধ্যেমে যেনার পরিসমাপ্তি ঘটে । অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, অর্থাৎ- গুপ্তাঙ্গের যেনা সংঘটিত হয় না ।

এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ [স:] বলেছেন-“প্রথম দৃষ্টির অনুমতি আছে, দ্বিতী্য দৃষ্টি নিষিদ্ধ”

হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে গেলে করণীয় কী-জিজ্ঞাসা করেছিলাম ।তিনি আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে আদেশ করলেন (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২১৫৯)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

“তোমাদের কেউ কোনো নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর তাকে দেখলে কোন গুণাহ হবে না” (মুসানদে আহমাদ)

যারা বিয়ের উদ্যোগ না নিয়ে, এমনিই দেখে তারা গুনাহগার হবে ।

পুরুষের বংশ সম্পর্কিত মাহরাম নারীগণ হলেনঃ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, কন্যা, ভগ্নী, ফুফু, খালা, ভ্রাতুষ্পুত্রী, ভাগ্নী...(সূরা নিসা আয়াত ২৩)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা ... দুধ-মা, দুধ বোন । ... (সূরা নিসা: আয়াত ২৩)

বিখ্যাত মুফাসসির আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ কুরতুবী রাহ. এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-একজন নারী যদি কোনো শিশুকে দুধ পান করায় তাহলে সে দুগ্ধ পানকারীর জন্য হারাম হয়ে যায় । কারণ সে তার মা । তেমনি দুধমার মেয়ে, বোন হওয়ার কারণে; দুধমার বোন, খালা হওয়ার কারণে; দুধমার মা, নানী হওয়ার কারণে; দুধমার স্বামীর অন্য পক্ষের কন্যা, বোন হওয়ার কারণে; স্বামীর বোন, ফুফু হওয়ার কারণে; স্বামীর মা, দাদী হওয়ার কারণে ঐ শিশুর জন্য হারাম হয়ে যায় । তেমনি দুধমার ছেলে-মেয়ের সন্তানাদিও হারাম হয়ে যায় । কারণ তারা তার ভাই-বোনের সন্তানাদি (তাফসীরে কুরতুবী ৫/৭২)

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আবুল কুয়াইসের ভাই আফলাহ (যিনি আয়েশা রা.-এর দুধ চাচা) একবার আমার নিকট আসার অনুমতি চাইলেন । আমি অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানালাম । এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে আসার পর তাঁকে ঘটনাটি জানালাম । তিনি আমাকে অনুমতি প্রদানের আদেশ করলেন । মুসলিমের রেওয়ায়েত অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার সাথে পর্দা করো না । কেননা, বংশীয় সম্পর্কের দ্বারা যা হারাম হয়, দুধ সম্পর্ক দ্বারাও তা হারাম হয় (সহীহ বুখারী ৮/৩৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৪৪; জামে তিরমিযী, হাদীস: ১১৪৭; সুনানে নাসায়ী ৬/৯৯)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, ... শাশুড়ি ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের সাথে সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে...(সূরা নিসা আয়াত ২৩)

ইমাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ কুরতুবী রাহ. বলেন-বিবাহ সম্পর্কীয় মাহরাম নারী চার প্রকার: ১. স্ত্রীর মা (শাশুড়ি) ২. স্ত্রীর কন্যা ৩. পিতার স্ত্রী (সহোদর মা, সৎ মা) ও ৪. পুত্রবধু (তাফসীরে কুরতুবী ২/৭৪)

উল্লেখ্য, শাশুড়ি বলতে স্ত্রীর মা, দাদী-নানী এভাবে উপরের দিকের সকলকে বোঝাবে । তবে স্ত্রীর খালা, ফুফু অর্থাৎ খালা শাশুড়ি, ফুফু-শাশুড়ি মাহরাম নয় । এঁদের সাথে পর্দা আছে ।

একই কথা নারীর ক্ষেত্রে । স্বামীর পিতা, দাদা ও নানার সাথে পর্দা নেই । তবে স্বামীর চাচা, মামা অর্থাৎ চাচা-শ্বশুর, মামা-শ্বশুরের সাথে পর্দা আছে ।

(৩য় চলবে ৫ম পর্যন্ত)

৪র্থ অংশ-

http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/6753/soter/22704 (pls click & read)

বিষয়: Contest_mother

২১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File