গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ান
লিখেছেন লিখেছেন আজব মামা ১৮ জুলাই, ২০১৩, ১১:২৪:১৩ সকাল
সংযম সাধনার রমজানে বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষুধা ও পিপাসার মধ্য দিয়ে বিত্তবান-সচ্ছল রোজাদার মানুষরা দুঃখী ও অভাবি মানুষের কষ্ট হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হন। এভাবে তাদের অন্তরে অভাবি মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার কার্যকর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এ অনুভূতির মধ্য দিয়ে রমজানে দুঃখী-অভাবি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদও ব্যাপকভাবে ধ্বনিত হয়েছে এবং পাশে দাঁড়ানোর এই চর্চা ও অনুশীলনকে অন্য এগার মাসেও ছড়িয়ে দেয়ার প্রেরণা দেয়া হয়েছে। আর এতে রয়েছে বহু ফজিলত ও কল্যাণ। হজরত সালমান ফারসি (রহ.) বর্ণিত রমজান ও রোজার ফজিলত সম্পর্কিত দীর্ঘ হাদিসের একটি বাক্যে বলা হয়েছে, রমজান হচ্ছে সহমর্মিতার মাস— ‘শাহরুল মুওয়াসাত’। ধৈর্যের মাসও বলা হয়েছে রমজানকে। আসলেও তাই। ক্ষুধার কষ্ট ও যন্ত্রণা সওয়ার প্রশিক্ষণ একজন সচ্ছল রোজাদারকে অভাবি মানুষের প্রতি সহমর্মী করে তোলে। ক্ষুধার আপন অভিজ্ঞতা তাকে ক্ষুধার্ত অপর মানুষের কষ্ট অনুধাবনে সহায়তা করে। এজন্য এ মাসে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি দান ও সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সক্ষম রোজাদারদের কর্তব্য। হজরত আয়েশার (রা.) রেওয়ায়েত থেকে জানা যায়, ‘হজরত রাসুলে করিম (সা.) রমজান মাসে দ্রুতগামী বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল ছিলেন।’ রমজানে অপর রোজাদারকে ইফতার করানোর বিনিময়ে বিস্ময়কর সওয়াব ও প্রতিদানের কথা হাদিস সূত্রে জানা যায়। যে কোনো রোজাদারকে সামান্য পরিমাণ ইফতার করালেও রোজাদারের রোজার সমতুল্য সওয়াব লাভের কথা এবং রোজাদারের নিজের সওয়াবে কোনো হ্রাস না ঘটার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। রমজান মাসে গরিব মানুষের মাঝে জাকাত বণ্টন করার সওয়াবও বেশি। অপরদিকে রমজানের শেষে সচ্ছল মানুষের ওপর সদকাতুল ফিতর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে গরিব মানুষের কল্যাণে। রমজানে কেবল নফল নামাজ, তারাবি, তিলাওয়াতের মধ্যেই ইবাদত ও পুণ্যের সব আয়োজনকে সীমিত না করে ইবাদতের মানবিক ও সামাজিক দিকগুলোর প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়ার কর্তব্যে আমরা যেন কোনোরকম অবহেলা না করি। কারণ, মানবিক ও সামাজিক ইবাদতগুলোও আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল (সা.) কর্তৃক বিধিবদ্ধ হয়েছে। ইসলামের উত্কর্ষ প্রচারে এই ইবাদতগুলোর ভূমিকা বিরাট।
বিষয়: বিবিধ
২৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন