নাস্তিকদের জন্য আমার চোখের ইশারাই যথেষ্ট: শামীম ওসমান
লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৩৪:০৬ রাত
মেধাবী ছাত্র নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির বিরুদ্ধে হেফাজত নেতার মামলা দায়েরের পর এবার রাব্বির বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। বুধবার বিকেলে শহরের মাসদাইরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের এক মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রাব্বির মতো নাস্তিকদের জন্য আমার চোখের ইশারাই যথেষ্ট। কিন্তু আমি নারায়ণগঞ্জে একটি নজির স্থাপন করতে চাই। যারা ধর্মের নামে কটূক্তি করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে আমি এক মঞ্চে প্রতিবাদ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আজকে আমি সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই এ নারায়ণগঞ্জে কেউ যদি ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করে তবে তার আর কোনো ছাড় নেই। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের কোথাও এটা হতে দেয়া হবে না। আবার যদি কেউ এরকম দুঃসাহস দেখায় তবে ওমরের মতো তরবারি নিয়ে মাথা থেকে গলাটা আলাদা করে দেয়া হবে। শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে রফিউর রাব্বি বিসমিল্লাহ নিয়ে কটূক্তি করেছেন এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের হেফাজত ইসলাম নেতা মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আগামী শুক্রবার রাব্বির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে হেফাজত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনের ডাক দেয়া হয়েছে। আর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার রাব্বি বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে সব এলাকায় মতবিনিময় সভা করছেন শামীম ওসমান। প্রথমে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে মতবিনিময় সভা করেন যাতে শুক্রবারের রাব্বির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভাটি বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। আর বুধবার শামীম ওসমান মাসদাইর কেন্দ্রীয় মসজিদে মতবিনিময় করেন এবং বন্দরে যান মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমার মা, বাবা, ভাই, বন্ধু বান্ধব সবাই কোনো কাজ শুরু করার আগেই বিসমিল্লাহ বলে শুরু করেন। আজকে সেই বিসমিল্লাহ নিয়ে রাব্বি কথা বললো এবং বলা হলো সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে জানলে নাকি মুক্তিযুদ্ধে কেউ শহীদ হতো না। আমার ধর্মকে নিয়ে এমন কথা, অবশ্যই আর কেউ প্রতিবাদ না করলেও আমি একাই এর প্রতিবাদ করবো। কারণ আমার এখানে দায় আছে, আমি আপনাদের সংসদ সদস্য। মৃত্যু পর আমাকে আমার আল্লাহ জিজ্ঞাসা করলে তখন আমাকে জবাব দিতে হবে। এ জন্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো।
বিষয়: বিবিধ
৮২৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এটা চেতনাবাজদের খুব কমন একটা বুলি হয়ে গেছে ।
মুক্তিযোদ্ধাদের ৯০%ই ছিলেন কৃষক - শ্রমিক - দিনমজুর । এবং এদেরও প্রায় ৯০% মুসলমানই ছিল । তারা কি সংবিধানে বিসমিল্লাহ বসবে আগে জানলে যুদ্ধ করতো না?
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের মুসলমান মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের পরে সংবিধানে বিসমিল্লাহ বসবে জানলে আরও আগেই জিতে যাবার চেষ্টা করতো , ৯ মাস লাগাতো না।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের কাছ থেকেই জানতে হবে । যেটা জানার চেষ্টা করেছিলেন জহির রায়হান - সেটা হল সময়ের প্রয়োজনে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্টের দেশে সংবিধান মুসলিমদের ধর্মের সাথে সামন্জস্য রেখে তৈরি হবে সেটাই স্বাভাবিক । আমেরিকার প্রেসিডেন্টও শপথ নেবার সময় নিজের আস্তিকতা ও খৃষ্টানতা জাহির করে । আমেরিকাতে খৃষ্টান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকদের এটা নিয়ে চুলকানি ওঠে না । আর ভারতে হিন্দুদের উপর কথা বললে পুড়িয়ে মারে।
এরকম কট্টর হয়েও ওরা কিন্তু অনেকেরই রোল মডেল।
আমরা বাংলাদেশী মুসলমানেরা খুব বিশ্রী/বিরক্তিকর রকমের অসাম্প্রদায়িক বলেই সবার কাছ থেকে উপদেশ শুনতে হয়। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট হয়েও আমাদেরকে সংখ্যালঘুদের ফাঁপড়বাজির উপরে থাকত হয় । সংখ্যা লঘু হয়েও ওরা নিজেদের ধর্মের গার্ডথস্ ধরে রেখেছে । আর সংখ্যা গরু হয়েও আমরা ধর্মের পথ থেকে সরে এসে পরধর্মে আনন্দে মাতি।
যারা উপরোক্ত উক্তি করে তারা হয় মুক্তিযুদ্ধে কখনই যায় নি বা শুধুই লেফট রাইট করে গেছে - এসব করতে করতে দেখে যে যুদ্ধই শেষ হয়ে গেছে ।
মুক্তিযোদ্ধা না হতে পারলেও এরা চেতনাযোদ্ধা হিসেবে ভালই যুদ্ধ করে যাচ্ছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন