আবেগময় জয়ে মাশরাফির বিদায় :(

লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ০৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:১১:৪৭ রাত

আবেগময় সমাপ্তি সাইফ উদ্দিনের প্রথম উইকেটে শ্রীলঙ্কার শেষ। শেষ ব্যাটসম্যান ভিকুম সঞ্জয়াকে ফেরালেন নবীন পেসার। ১৮ ওভারে ১৩১ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে কার্যকর ইনিংসের পর দারুণ বোলিংয়ে ৩ উইকেট, ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সে মাশরাফিকে বিদায়ী শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলেন সাকিব আল হাসান। রঙিন পোশাকে যিনি ছিলেন মাশরাফির সহকারী, পরবর্তী অধিনায়কত্বের দৌড়ে এগিয়ে যিনি। বল হাতে অসাধারণ ছিলেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। টানা আট ম্যাচের জয় খরা কাটাল বাংলাদেশ। জয়ের তৃপ্তি নিয়ে শেষ করলেন অধিনায়ক মাশরাফি। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজের মতো সমতায় শেষ হলো টি-টোয়েন্ট সিরিজও। ইনিংস জুড়ে মাঠে জান-প্রাণ দিয়ে ফিল্ডিং করেছেন ক্রিকেটাররা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, জিততে কতটা মরিয়া তারা। ম্যাচ শেষ হতেই সবাই ছুটে গেছেন মাশরাফির দিকে। গোটা দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টিতে শেষবার! মুস্তাফিজের চার ম্যাচের প্রথম ভাগে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মালিঙ্গা। শূন্য রানে তাকে বোল্ড করেই মুস্তাফিজ নিলেন চতুর্থ উইকেট। ১৭ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ১২৪। সরল শেষ বাধাও দারুণ ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন চামারা কাপুগেদারা। কিন্তু আক্রমণে ফিরেই সেই বাধা ফেরালেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলটিতে চার পেয়েছিলেন টাইমিং ঠিকমত না হলেও। পরের বলে আর রক্ষা হলো না। কাপুগেদারা ধরা পড়লেন লং অনে। ৩৫ বলে করেছেন ৫০। ৪৩ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম অর্ধশতক! ১৬.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ১২৩। উইকেট নিয়ে মাশরাফির শেষ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ওভারে উইকেট। দলের প্রয়োজনের সময় দারুণ এক সাফল্য এনে দিলেন মাশরাফি। ফেরালেন বিপজ্জনক সিকুগে প্রসন্নকে। মাশরাফির ফুল লেংথ বলে স্লগ খেলেছিলেন প্রসন্ন। ব্যাটে-বলে হয়নি। উড়েছে বেলস। ১১ রানে ফিরলেন প্রসন্ন। ১৫.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ১১৯। ভরসা সেই সাকিব মাথাব্যথা হয়ে ওঠা জুটি ভাঙতে সাকিবকে আক্রমণে এনেছিলেন মাশরাফি। হতাশ করেননি সাকিব। ফিরিয়েছেন বাংলাদেশকে বেশ কবার হতাশ করা লঙ্কান নায়ক থিসারা পেরেরাকে। পেরেরা এগিয়ে আসছেন বুঝেই একটু জোরের ওপর বাইরে বল করেছিলেন সাকিব। পেরেরা পারেননি ব্যাটে লাগতে। বাকি কাজ সেরেছেন মুশফিক। ২৩ বলে ২৭ রানে স্টাম্পড পেরেরা। শ্রীলঙ্কা ১২.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৯৮। হাল ছাড়েনি শ্রীলঙ্কা পাওয়ার প্লের মধ্যেই নেই ৫ উইকেট। তার পরও হাল ছাড়েনি শ্রীলঙ্কা। চামারা কাপুগেদারা ও থিসারা পেরেরা লড়াইয়ে রেখেছেন শ্রীলঙ্কাকে। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। ২৪ বলে ৩৫ রানে খেলছেন অভিজ্ঞ কাপুগেদারা। ২০ বলে ২৫ পেরেরা। জুটির রান ৫৪। ১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ৯৪। জোড়া শিকারে মুস্তাফিজের শুরু অধিনায়ককে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই শ্রীলঙ্কা হারাল আরও দুটি উইকেট। বল হাতে নিয়েই মুস্তাফিজ নিলেন দুই উইকেট। প্রথম বলে কাভারে মোসাদ্দেকের হাতে ধরা পড়লেন আসেলা গুনারত্নে। পরের বলে সৌম্যর হাতে ধরা পড়লেন মিলিন্দা সিরিবর্দনা। মালিঙ্গার মতো হ্যাটট্রিক অবশ্য হলো না। হ্যাটট্রিক বলটি ঠেকালেন থিসারা পেরেরা। থারাঙ্গাও শেষ জীবন পেয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারলেন না উপুল থারাঙ্গা। ১৭ রানে জীবন পেয়েছিলেন। আউট হলেন ২৩ রানে। মাহমুদউল্লাহর বলে পুল করেছিলেন। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বল ওঠে মিড অনে। যার বলে জীবন পেয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক, সেই মিরাজ ধরলেন ক্যাচ। ৪.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে ৪০। বাঁচলেন থারাঙ্গা ক্যারিয়ার জুড়ে বরাবরই নিরাপদ ফিল্ডার ছিলেন মাশরাফি। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই তিনিই ছাড়লেন সহজ ক্যাচ। মিরাজের বলে থারাঙ্গার ড্রাইভ ভেসেছিল বাতাসে, কাভারে হাতে জমাতে পারলেন না মাশরাফি। ১৭ রানে জীবন পেলেন থারাঙ্গা। ৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেট ৩৪। সাকিব আবার সাকিবকে চার মারলেই বিপদ, এরপরই উইকেট! প্রথম ওভারে যেটির শিকার কুসল পেরেরা। পরের ওভারে দিলশান মুনাবিরা। জায়গা বানিয়ে কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন মুনাবিরা। এক বল পরই মুনাবিরা গেলেন স্লগ করতে। বল উঠল আকাশে। মিড উইকেটে ক্যাচ নিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কা তখন ২ উইকেটে ১৯। শুরুতেই শেষ কুসল আগের ম্যাচে কুসল পেরেরার কাছেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই ওপেনারকে শুরুতেই ফেরালেন সাকিব আল হাসান। দুই বাঁহাতি ওপেনারের সামনেও বাঁহাতি স্পিনে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে কুসল মেরেছিলেন চার। পরের বলটি সাকিব করলেন একটু টেনে। সামান্য টার্ন করে বল ঢুকল ভেতরে। কুসল সেই বল টেনে আনলেন স্টাম্পে! আবার শেষের হতাশা ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। শেষটাও হয়ে থাকল ইনিংসের শেষ ভাগটার প্রতীকী। আবারও শেষ দিকে পথ হারাল বাংলাদেশ। দুইশর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তুলতে পারল ২০ ওভারে ১৭৬। পাওয়ার প্লে ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ২ উইকেটে ১০১। শেষ ১০ ওভারে পড়েছে ৭ উইকেট। রান উঠেছে ৭৫। হ্যাটট্রিকসহ মালিঙ্গা ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩৪ রানে। হ্যাটট্রিক! টানা তৃতীয় স্লোয়ার বল। টানা তৃতীয় উইকেট! ফুল লেংথ স্লোয়ার বলে অভিষেকে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ মিরাজ। ওয়ানডেতে তিনটি হ্যাটট্রিক করা লাসিথ মালিঙ্গা টি-টোয়েন্টিতে করলেন প্রথম হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশ ১৮.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭০ মাশরাফির শেষ ক্যরিয়ারে শেষ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে প্রথম বলেই বোল্ড মাশরাফি। মলিঙ্গার আরেকটি স্লোয়ার। স্টাম্পে থাকা স্লোয়ার লেটকাট করতে গিয়েছিলেন মাশরাফি। ব্যাটে-বলে হয়নি। মুশফিকের ছোট্ট ঝড় নামানো হয়েছে সাত নম্বরে। মুশফিকও খেলছিলন পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। থিসারা পেরেরাকে মারলেন টানা চার ও ছক্কা। পারলেন না মালিঙ্গার সঙ্গে। দারুণ এক স্লোয়ারে মারতে গিয়ে বোল্ড। ৬ বলে মুশফিক করলেন ১৫। ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৬৯। নিখুঁত ইয়র্কারে বোল্ড মোসাদ্দেক মোসাদ্দেককে জায়গা না দিতে রাউন্ড দা উইকেটে এসেছিলেন থিসারা পেরেরা। মোসাদ্দেক তবু সরে গিয়ে জায়গা বানিয়েছিলেন। ফল হলো উল্টো। দারুণ এক ইয়র্কার করলেন পেরেরা। ব্যাট নামিয়েও ঠেকাতে পারলেন না মোসাদ্দেক। বোল্ড হলেন ১১ বলে ১৭ রানে। বাংলাদেশ ১৭.১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২। আগের ওভারেই মোসাদ্দেক খেলেছিলেন দারুণ। মালিঙ্গার স্লোয়ারে মেরেছেন ৯২ মিটার লম্বা ছক্কা। পরের বলে দারুণ স্ট্রেট ড্রাইভে চার। স্কুপে বোল্ড সাকিব রানের স্রোতে একটু ভাটার টান এসেছিল। সাকিব চাইলেন ভিন্ন কিছু করতে। কিন্তু সফল হলেন না। কুলাসেকারাকে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড। ৩১বলে ৩৮ করে ফিরলেন সাকিব। ১৬ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৩৯। জুটির পর ফিরলেন সাব্বির সাকিব-সাব্বির জুটি জমে উঠেছিল দারুণভাবে। তবে আরও এগোনোর আগেই থামালেন ভিকুম সঞ্জয়া। নতুন স্পেলের প্রথম বলটি করলেন ফুল লেংথ। শাফল করে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু লাইন মিস করেন পুরোপুরি। বলও পিচ করে শেষ মুহূর্তে একটি বেরিয়ে ছোবল দেয় অফ স্টাম্পে। ১৩.১ ওভারে বাংলাদেশ তখন ৩ উইকেটে ১২৪। ১৮ বলে ১৯ রানে ফিরেন সাব্বির। তৃতীয় উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশর সর্বোচ্চ জুটি অবশ্য এটিই, দুজনে তুলেছেন ৪৬ রান। আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন সাকিব, এনামুল হককে নিয়ে ২০১৪ সালে করেছিলেন ৪৩ রান। ঝড়ের গতিতে একশ ছাড়িয়ে দুই ওপেনারের বিদায়েও কমেনি ঝড়ের তীব্রতা। আসেলা গুনারত্নেকে বিশাল এক ছক্কা মেরেছেন সাব্বির। সিকুগে প্রসন্নর টানা দু বলে চার মেরেছেন সাকিব। ১০ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১০১। সৌম্যর পর ইমরুল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার দারুণ কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু পারলেন না এবারও। দ্রুত একটি রান নেওয়ার চেষ্টায় হলেন রান আউট। শর্ট ফাইন লেগে ঠেলেই ছুটেছিলেন সাব্বির। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে কলটি নিশ্চয়ই ইমরুলেরই ছিল। কিন্তু পারলেন না রান পুরো করতে। ফিল্ডার সরাসরি থ্রো লাগাতে পারেননি। কিপার ধরে উড়িয়েছেন বেলস। তবু রান আউট ইমরুল। ২৫ বলে করেছেন ৩৬। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশ তখেন ৭.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮। গুনারত্নের ‘গোল্ডেন আর্ম’ টেস্ট-ওয়ানডে সিরিজে যথেষ্ট ভুগিয়েছেন আসেলা গুনারত্নে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও। বাংলাদেশের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন তিনিই। মিডিয়াম পেসারের মত দৌড়ে এসে স্পিনের মত ডেলিভারি, সেটিতেই আবার বিভ্রান্ত সৌম্য। ঝুলিয়ে দেওয়া অফ কাটারে হতভম্বের মত ফিরতি ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার। ১৭ বলে ৩৪ করে ফিরলেন সৌম্য। ৬.৩ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৭১। রেকর্ড জুটি ইমরুল-সৌম্যর ঝড় থামাতে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবার মালিঙ্গার হাতে বল তুলে দেন থারাঙ্গা। লাভ হয়নি। ওই ওভার থেকে এসেছে ১২ রান। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন দুজন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলেছেন ৬৮। বাংলাদেশের আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের ৬৩, নেপালের বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইমরুল খেলছেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানে। আগের ১১ টি-টোয়েন্টিতে ইমরুলের সর্বোচ্চ ছিল ২২। সৌম্যর ব্যাট আরও বেশি খুনে। পাওয়ার প্লেতে ১৬ বলে করেছেন ৩৪ রান। শুরুতেই ঝড় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার খুব সমৃদ্ধ নয় ইমরুল কায়েসের। কিন্তু তামিম ইকবালের চোটে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠেছেন বাঁহাতি ওপেনার। আগের দুটি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ইমরুল। এবার শুরুতে সামলেছেন মালিঙ্গার সুইং। ম্যাচের চতুর্থ বলে রান নিয়ে কাটিয়েছেন ফাড়া। পরের ওভারে কুলাসেকারাকে টানা দুই বলে চার মেরেছেন একই ভাবে, জায়গা বানিয়ে কাভার ড্রাইভে। সৌম্য শুরু করেছেন প্রথম বলেই মালিঙ্গাকে বাউন্ডারি মেরে। দুই বাঁহাতির জন্য তৃতীয় ওভারেই অফ স্পিনার দিলশান মুনাবিরার আক্রমণে এনেছেন উপুল থারাঙ্গা। তাকে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন ইমরুল। পরের ওভারে ভিকুম সঞ্জয়াকে লং অফের ওপর দিয়ে উড়িয়েছেন ইমরুল। মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। চার মেরেছেন কাভারের ওপর দিয়ে। ওই ওভার থেকে এসছে ১৮ রান। বাংলাদেশের রান ৪ ওভারে বিনা উইকেট ৪২। ইমরুল খেলছেন ১৪ বলে ২২ রানে, সৌম্য ১০ বলে ১৭। মিরাজের অভিষেক বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন দুটি। একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। অভিষেক হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজের। আরেকটি পরিবর্তন অনেকটা বাধ্য হয়েই। কোমরের ব্যথার কারণে নেই তামিম ইকবাল। একাদশে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ টসটি জিতেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগের ম্যাচের মত এ দিনও আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। মাশরাফির বিদায়ী টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ২৭ বার নেমেছেন টি-টোয়েন্টিতে টস করতে। নামছেন আরও একবার, এই শেষ বার। ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ ম্যাচও এটি। টেস্ট সিরিজে ছিল ১-১ সমতা, ওয়ানডেতেও তাই। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন সিরিজটা সমতায় শেষ করতে। জয় প্রয়োজন মাশরাফিকে বিদায়ী উপহার দিতে। আগের দিন মোসাদ্দেক হোসেনের কণ্ঠে ছিল সেই চাওয়ারই প্রতিফলন। জানিয়েছেন, মাশরাফির জন্য শেষ ম্যাচটি জিততে চায় বাংলাদেশ

বিষয়: বিবিধ

৭০০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382579
০৮ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১১:০৫
হতভাগা লিখেছেন : বাউন্ডারীতে সাব্বির , মোসাদ্দেক , মাহমুদুল্লাহ ও মিরাজ দূর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে । একটা চারও বের হতে দেয় নি সামনে থেকে । তাদের ডিটারমিনেশন দেখে মনে হয়েছে যে ক্যাপ্টেনকে একটা বিদায়ী উপহার দিতে তারা চোয়ালবদ্ধ।

টি ২০ তে মাশরাফির রিটায়ারের ঘোষনা আমার কাছে ভালই মনে হয়েছে । কারণ অলরেডি সে ৩৪ এ পৌছে গেছে । মনে হয় ওডিআই থেকেও বিদায় নেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর।

নেতা হিসেবে অবিসংবাদিত হলেও মাশরাফির পারফরমেন্স কিন্তু খুব একটা ভাল না । গত ম্যাচে মালিঙ্গার হ্যাটট্রিকের মধ্যমনি সে। গ্যালারি মারতে গিয়ে মিড অফে থারাঙ্গার ইজি একটা ক্যাচ মিস করেছে । নন স্ট্রাইক এন্ডে উইকেটের আগে দাড়িয়ে কাপুগেদারার নিশ্চিত একটা রান আউট মিস করেছে । ভাগ্য ভাল যে উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাটস্‌ম্যানদ্বয় বেশী দূরে যেতে পারেন নি।

যা হোক জয়ের ফলে সেটা আর সামনে আসছে না ।

এই খেলায় আমার কাছে একটা অদ্ভুত জিনিস চোখে পড়েছে ।

মালিঙ্গা যাদেরকে আউট করে হ্যাটট্টিক করেছে তারা হলেন : মুশফিক , মাশরাফি এবং মিরাজ ।

আর মালিঙ্গাকে আউট করেছে মুস্তাফিজ

সবখানে 'ম' এর আধিক্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File