পুড়ছে গাজা, মরছে নারী- শিশু !
লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ১৪ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৫৩:২৭ রাত
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭২-এ
দাঁড়িয়েছে৷
নিহতের মধ্যে ৩০ ভাগই নারী ও শিশু৷ গাজার স্বাস্থ্য
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাতদিনের এই সহিংসতা বন্ধ
হওয়ার
কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা৷
ইসরায়েলের বিমান এবং নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ গাজার
২০৪টি স্থান
লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে৷ রোববার রাতভর এই অভিযান
চলেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷
গত দুই বছরের মধ্যে দু'পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ
সহিংসতা বলা হচ্ছে এটাকে ৷ অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের হামাস
গোষ্ঠী ইসরায়েলে ২০টি রকেট হামলা চালালেও
এতে কেউ হতাহত হয়নি৷
হামাস নেতা ইজ্জত আল-রেসিক স্থানীয় এক
টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
‘‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু
করেছেন এবং তারই উচিত এটা শেষ করা৷''
ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার একটি ড্রোন তারা ভূপাতিত
করেছে৷ রোববার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায়
তিন বছর বয়েসি একটি মেয়েশিশু মারা গেছে৷ এরও কয়েক
ঘণ্টা আগে গাজার পুলিশ প্রধানের বাসভবন লক্ষ্য
করে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়
বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ নিহতদের
বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
এরই মধ্যে গাজায় কমান্ডো অভিযানও শুরু
করেছে ইসরায়েল৷ হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে রোববার
সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরায়েলের নৌ কমান্ডোরা৷ গাজায়
ইসরায়েলের ছয় দিনব্যাপী বিমান হামলার মধ্যে এটিই
সেখানে প্রথম স্থল হামলা বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরব লিগের বৈঠক
এই সংকট নিরসনে সোমবার রাতে কায়রোতে বৈঠকে বসার
কথা আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের৷ আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের ক্রমাগত চাপের
কারণে সহিংসতা বন্ধে আলোচনায় বসতে সম্মত
হয়েছেন এই নেতারা৷
পালাচ্ছে মানুষ
জাতিসংঘ জানিয়েছে, দু'পক্ষের সংঘর্ষ শুরুর পর অন্তত ৭০
হাজার মানুষ গাজা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে৷
সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১,২৩০ জন৷ গাজাভিত্তিক
একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গাজার
৮৬৯টি বাড়ি ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে৷
ঘটনার শুরু তিন ইসরায়েলি কিশোরকে অপহরণ ও নিহতের
ঘটনার জের ধরে৷ ঐ তিন কিশোরকে অপহরণ ও নিহতের
জন্য হামাসকে দায়ী করে ইসরায়েল৷
পরে সন্দেহভাজনদের ধরতে গাজায় সাঁড়াশি অভিযান চালায়
ইসরায়েলি পুলিশ৷ হামাস যোদ্ধা সন্দেহে গাজার শতাধিক
বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে এক
ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর
পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ গাজা থেকে রকেট
হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে সেখানে বিমান
হামলা শুরু করে ইসরায়েল৷
বিষয়: বিবিধ
১২৭১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ তাহলে বাকী ৭০ ভাগ কারা ? ওদের মৃত্যু কি নারী ও শিশুদের মৃত্যুর চেয়ে কম আবেদনমূলক ?
যুদ্ধের ব্যাপারেও আপনারা এই ধরনের সস্তা পাবলিসিটি করে সিমপ্যাথী থেকে বের হয়ে আসতে পারলেন না ?
পুরুষের সেভিং ক্রিম , স্পে , রেজরের এডে মহিলা , গাড়ির এডে মহিলা - সবখানেই নারীদের এনে প্রেজেন্ট করা হয় ফেস ভ্যালুর সুবিধা নিয়ে ব্যবসা করার , সিমপ্যাথী পাবার ।
যে ৭০% পুরুষ মারা গেল তারা কি মানুষ ছিল না ? নাকি পুরুষদের মারা যাওয়াটা কোন খবরই না ?
প্রত্যেকটি জীবনই মূল্যবান - সেটা নারী বা পুরুষ বা শিশু যেই হোক না কেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন