মুসলমানরা একটা হিজড়া , নপুংসক ও মেরুদন্ডহীন জাতিতে পরিনত হয়ে গেছে !

লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ০৯ জুলাই, ২০১৪, ১১:৫৭:২৩ রাত

বর্তমানে "মুসলিম জাতি" বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব

নেই বরং পৃথিবীর সবচেয়ে স্বার্থবাদী কিছু লোকই

নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দিচ্ছে ।

সমগ্র বিশ্বব্যাপি মুসলমানদের উপর অত্যাচারের

তান্ডবলীলা চলছে আর এই জাতি আছে ভোগ-

বিলাসে উন্মত্ত ।

সৌদীর এক তেল সম্পদ-ই ইহুদীবাদী ইসরাঈলকে ধ্বংস

করার জন্য যথেস্ট ছিলো কিন্তু ক্ষমতালোভে অন্ধ ,

অবিবেচক ও ব্যাক্তিস্বার্থে নিমজ্জিত সৌদীর

রাজতান্ত্রিক সরকারগুলো আমেরিকার কাছে পোষ্য

কুকুরের মতো আত্মসমর্পন করে বিশ্বের

বিষফোঁড়া ইসরাঈলকে ফিলিস্তিনের ভুমিতে বসার

সুযোগ করে দিয়েছে যার ফল ভোগ করছে ফিলিস্তিনের

নিরীহ মুসলমানরা ।

দুবাইয়ে বিশ্বের বড় বড় সব হোটেল আর শপিং মল

তৈরী হচ্ছে আর ইয়ামনে নিরবে চলছে মুসলিম নিধন ।

আমেরিকার ড্রোন হামলায় কত নারীপুরুষ বেঘোরে প্রান

দিচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই ।

পরমানু শক্তিধর একমাত্র "মুসলিম" রাস্ট্র পাকিস্তানের

সহযোগীতায়-ই আফগানে চলছে মুসলিম গনহত্যা । এই

হারমজাদারা তাদের অস্তিত্ব থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত

মুসলমানদের উপর-ই গুলি চালিয়ে আসছে যদিও

তারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে ।

ওআইসি , আরবলীগের মতো কিছু ছাগলদের সংগঠন

আছে যারা শুধু কফেরদের গোলামীর প্রতিযোগীতাই

করে যাচ্ছে । মিয়ানমার , ইরাক , লিবিয়া , কাশ্মীর ,

চীন ,বসনিয়া , নাইজেরিয়া , সুদান , সোমালিয়া , মধ্য

আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বেই মুসলমানরা নির্যাতীত ,

অসহায় জাতিতে পরিনত হয়েছে কিন্তু মুসলিম উম্মাহর

"কল্যান" এর জন্য গঠিত এই সংগঠনগুলিই

কি ভুমিকা রাখছে ?

নির্যাতীত এই মুসলমানরা যখন অস্ত্র হাতে তুলে নেয়

তখন এইসমস্ত সংগঠনগুলিও কাফেরদের জাতিসংঘের

সাথে তাল মিলিয়ে জঙ্গীবাদ আর মৌলবাদের জিকির

তুলে কিন্তু মুসলমানরা যখন মার খায় তখন

তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে ।

মুসলিম জাতিকে সত্যিকার অর্থে "জাতি" হিসাবে গঠন

করতে ও বর্তমান দুর্দশা লাঘব করতে আগে মুসলমান

নামধারী এই মুনাফেকগুলোকে শেষ করতে হবে ।

মুসলমানদেরকে এদের পাতানো ফাঁদ থেকে বের

করে আনতে হলে মুনাফিকদের নিঃশেষ করার বিকল্প নেই

বিষয়: বিবিধ

১৪৪২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

243255
১০ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২১
ঈগল লিখেছেন : ওদের জন্য গণতান্ত্রিক (ইসলামিক) নেতারা ত্রান পাঠায়, । বাদশাহরা চুপ থাকে, মাঝে গর্জন তর্জন করে। অন্যদিকে ঐ ইসরাঈলকে যারা যুগের পর যুগ রক্ষা করে আসছে সেই আমেরিকানদের সাথে গণতান্ত্রিক (ইসলামিক) নেতাদের ও বাদশাহদের মাখামাখি দেখার মত। শয়তানী, কাপুরুষতা, দ্বিমুখীতা আর কাকে বলে!!
=====
অন্যদিকে ঠিকই আল ক্বায়েদার কিছু মুজাহিদ 'আযযাম বিগ্রেড' বা অন্যকোন নামে ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালাতে চেষ্টা করে। আল ক্বায়েদা বা অন্য যেকোন মুজাহিদ গ্রুপ শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য নয়, সারা দুনিয়ার মুসলিমদের জন্য শারিরিক যুদ্ধে অংশ নিতে চেষ্টা করে। এটাই হচ্ছে সত্যিকার মুসলিম ও গণতান্ত্রিক মুসলিমদের পার্থক্য।
রিপোর্ট করুন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File