বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেয়ে গলায় ওড়না দিয়ে থাকেন, বুকের ওড়না যদি গলায় থাকে তাহলে ওড়নার দরকার কি ?
লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ১০ জুন, ২০১৪, ১২:০৮:৪৩ রাত
আনাবৃত নারীদেহ একজন তরুনের কামভাব দারুন
ভাবে উত্তেজিত করে,যদি সে হিজড়া না হয়ে থাকে ।
তার পরও কি স্বার্থে একজন মেয়ে বুক না ঢেকে গলায়
ওনা পেচিয়ে রাখে ? স্কিন টাইল্স পড়ে উরুদেশ
দেখিয়ে যুবকদের বিগড়ে দিয়ে সে কি মজা পায় ?
যখন কোন দর্ঘটনা হবে সমাজ তাকে কোথায়
তুলে রাখবে ? পত্রিকার পাতায়
রগরগে করে সে ঘটনা রসিয়ে রসিয়ে উপস্থাপন করবে ।
আর সে নারীটি হবে জীবন্ত লাস
ছাড়া আর কিছু না ।
সামাজে শিক্ষার হার বেড়ছে তাহলে নৈতিক আচরন
নিম্নমুখি কেন ? আজকাল ডিশ
সংস্কৃতি আমাদের কি পিছিয়ে দিচ্ছে না এগিয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা ভারতীয়
টিভি চ্যানেলে আসক্ত। তাদের নিম্ন মানের
মেগা সিরিয়াল কে অনেকে মেয়েদের জন্য নেতিবাচক
বলে আখ্যায়িত করেন।
ভারিতয় মেয়েদের মত পোশাক পরিচ্ছদ কি আমাদের
দেশের সাথে যায় ? দেশের মেয়েরা এখন
অনেক শিক্ষিতা । তাদের চিন্তা চেতনা আধুনিক।
অনেকেই অধিকার সচেতন । আজকাল খুব
শোনা যাচ্ছে মেয়েরা সমঅধিকার চায়।
নারী বাদী লেখকদেরও জয় জয়কার । কিন্তু কেন এই ইভ
টিজিং ? পত্রিকা খুল্লেই ধর্ষণ , হত্যা নিত্ত দিন এর
খবর । একজন মেয়ে কে যখন পোশাকের
জন্য ইভ টিজিং এর স্বীকার হতে হয় , সেটা দুঃখ জনক
। হাল আমলের পোশাক আশাক আমাদের
বাংলাদেশের সামাজিক ব্যাবস্থার সাথেও সমঞ্জস্য
পূর্ণ নয়। লক্ষ করলে দেখা যায় আজকাল
স্কুল, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেয়ে গলায়
ওড়না দিয়ে থাকেন । এটা কোন
রুচি বা কি ধরনের প্রবণতা? বুকের ওড়না যদি গলায়
থাকে তাহলে ওড়নার দরকার কি ? এর পর
যদি তাকে কোন ছেলে টিজ
করে তাহলে ছেলেটাকে ইনফ্লুয়েন্স করেছে কে? পোশাক
পড়ার
দিকে যদি শালীনতা না থাকে তাহলে অন্যকে দোষ
না দেয়া সমীচীন । অনেক মেয়ে আজকাল
চুরিদার , শর্ট কামিজ , ফাতুয়া পড়েন । পোশাক গুল
যথস্ট আট শাট কিম্বা খোলা মেলা ধরনের।
কামিজ -স্যালয়ারেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন ।
নানা টাইপের কাটিং ,খাদের মত গলা কাটা-পিঠ
খোলা। নগ্নতা কি খুউব জরুরি? অবাক করা ব্যাপার
হচ্ছে মশারির মত স্বচ্ছ ওড়না আর
শাড়ি আছে কত গুলা । সেসব অধিকাংশ তরুণীর
গায়ে উঠে আসছে বিভিন্ন পার্টিতে। এম্নিতেই
শাড়ির ব্যাপারে কথা আছে বুক , তল পেট বা পীঠ
পুরা ঢাকা যায় না। এর ওপর
মশারী মার্কা শাড়ি পড়লে কি দশা । এছাড়া স্লিভ লেস
বা আরও আপত্তি কর পোশাক
চলে এসেছে। প্রতিটা মেয়ে নিরাপদ আর সুন্দর অধিকার
নিয়ে বাঁচুক । এই প্রত্যাশা থাকল ।
পাঠক ভাইদের বলব আপনার বোন স্ত্রীর দিকে ক্ষেয়াল
করবেন, পোষাক পরিচ্ছদের
কারনে তারা যেন বিপদ মূখি না হন.
বিষয়: বিবিধ
১৬৫০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পথচারীঃ আপনি রোদের ভেতরে ছাতাটা মেলে ধরছেন না কেন?
কৃপনঃ তোমার নিজের ছাতা নেই, আবার তুমি আমাকে উপদেশ দিচ্ছ।
পথচারীঃ আমার হাতে ছাতা নেই তাই কস্ট করছি। আপনি কস্ট করছেন কেন?
কৃপনঃ এই রোদের মধ্যে মেলে ধরলে ছাতাটার কাপড়ের রঙ নস্ট হয়ে যাবে।
পথচারীঃ তাহলে ওটা তো বাসায় রখে আসলেই পারতেন, সাথে নিয়ে ঘুরছেন কেন?
কৃপনঃ সাথে নিয়ে ঘুরছি বলেই আমার যে একটা ছাতা আছে সেটা তুমি জানতে পেরেছ ?
অনেক মেয়ে একই কারনে ওড়না গলায় পেচিয়ে রাখে। ওদের যে ওড়না আছে সেটা মানুষকে বোঝায়।
উনারা কিভাবে থাকবেন না থাকবেন তা উনারাই ভাল বুঝবেন । উনারা এত বড় বড় পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছেন , আপার চেয়ে কি উনারা কম বুঝে ?
পোশাক আশাক , চলন বলনের ব্যাপারে যে উনাদের ফ্রি জ্ঞান দিচ্ছেন - উনি যদি ভাল একটা হিজাব/বোরকা কিনতে আপনার কাছে টাকা চায় বা আপনাকেই কিনে দিতে বলে , তখন কি কিনে দেবেন ? বা তার টাকার দরকার হলে তাকে কি ফ্রি জ্ঞান দেবার মত ফ্রি টাকা দেবেন ?
এসব করতে তো উনাদের সমস্যা হচ্ছে না । আপনার সমস্যা হয়ে থাকলে আপনি আপনার দৃষ্টিকে অবনত করে রাখবেন , নিজেকে সংযত করবেন ।
আপনার ক্ষেত্রেও তাই । আর বাকীজনদের জ্ঞান দেবার সক্ষমতা তখনই হবে যখন তাদের তাদের অন্য রিকোয়ারমেন্টও পূরণ করার সামর্থ্য থাকে , যেমনটি মেয়ে/বোন/স্ত্রী/মা হিসেবে।
শুধু খুঁত ধরার জন্য স্বর্বস্ব জ্ঞান বিলিয়ে দেবেন আর তার বিপরীতে ভালো কিছু করার জন্য অর্থের কথা বললে পিছলিয়ে যাবেন - এটা আপনাদের খুব পুরনো টেকনিক যা আপনাদের এসব বিষয়ে লিখার মহত্ব/গুরুত্বটাকেই হালকা করে দেয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন