ইখ্ওয়ানুল মুসলিমীন ও জামাতে ইসলামী

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ_২ ১১ মে, ২০১৬, ০৯:১৪:৫১ সকাল

ইখ্ওয়ানুল মুসলিমীন ও জামাতে ইসলামীর ভোগবাদের নষ্টনেতৃত্ব বর্তমানে আন্তর্জাতিক নব্য ইয়াহুদীবাদের গলিত পচিত নর্দমার কুৎসিত কদাকার মহামারী ছড়ানো জীবানু। এদের নেতৃস্থানীয় শ্রেণীর প্রথম ও দ্বিতীয় স্তর, পৃথিবীর সম্ভাবনাময় যুবক শ্রেণীকে ইসলামের ভ্রান্ত-ধারণা দিয়ে পিতামাতা ও অভিভাবকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্বে এক দাজ্জালী জাল ছাড়ানোয় ব্যস্ত। এ জাল দেখতে খুব মজবুত হলেও মূলে মাকড়সার জালের মতো দুর্বল। তাওহীদ ও রিসালাতের ঝাড়ূ মারা আরম্ভ করলে কোথাও এদের অস্তিত্ব থাকবেনা। এক নিমিষে উধাও হয়ে যাবে ইন্শাআল্লাহ। ইউরোপ আমেরিকা সহ সকল অমুসলিম বিশ্বের ধনী ও বিজ্ঞানে উন্নত দেশ সম‚হে প্রাচুর্য্যের জোয়ারে ব্যভিচার ও মাদক আসক্ত ঘরভাঙ্গা মানুষগুলোর ইসলাম গ্রহণের পথে এ ইখওয়ানী ও জামাতী নব্য-ভোগবাদি চক্র সবচেয়ে ক্ষতিকারক বাধা। এদের নেতারা তাদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য প্রবাসীদের ঢালাও ফাতোয়া দিয়েছে যে, “ইয়াহুদী নাসারা কা-মাল, সব হালাল"। যেমনে পারো ধর্মের নামে বা অন্যান্য প্রতারণায় টেক্স ফাঁকী দিয়ে মাল কামাই করো। তার বখরা আমাদের বাইতুল মালের ফান্ডে দিলে সব শূকর দুম্বা হয়ে হালাল হয়ে যাবে। এরা এক চরম কুৎসিত ধন লিপ্সু প্রতারক। সারা বিশ্বে ছড়ানো এদের নেটওয়ার্ক সঠিক ইসলামী দাওয়াতের পথে দূর্ণামের বাধা। এদের এ আচরণের ফলে ঐ সমস্ত সমাজে ইসলাম, ইয়াহুদী নাসারা রাব্বাই ও পাদ্রীদের প্রতারণার মতো আরেকটি প্রতারণার রূপ নিয়েছে। এর ফলে জামাত ও ইখওয়ানীদের মাঝে জঘন্য অর্থলোভী এক শ্রেণীর হারামখোর চক্র লোকদেখানো নামাজী দাজ্জাল জন্ম দিয়ে এদের বংশ বিস্তার করছে। এদের অজান্তেই এদের প্রক্রিয়া ও হারামধনে এক হারামখোর প্রজন্ম মুসলিম সমাজে জন্ম নিচ্ছে। সাধারণ বেদ্বীন সমাজে কাফের, নাস্তিক ও ধর্মহীন জনগোষ্ঠি জন্মায়। তাদের চেয়ে এ শ্রেণীর হারাম ধর্মব্যবসায়ীরা জঘন্য। কারণ, এরা বিকৃত ধর্মের আবরণে জন্মানো। এরা সরল জনগণের ঈমান নষ্ট করে। এদের তওবার দরজা বন্ধ। কারণ এরা মনে করে যে এরাতো ধর্মে আছেই! তাই তওবা কিসের? সাধারণ জাহেলিয়াতে জন্মানো মানুষদের জন্য তওবা করে দ্বীনের শৃঙ্খলায় আশা সম্ভব। কারণ তারা কাঁচামাল। ভালো প্রক্রিয়ায় পড়লেই এরা ফিনিশ্ড প্রডাক্ট বা পাকামাল হয়ে মানবতার কল্যাণে আসবে। আর ওরা পঁচা মাল। ওরা পাকা মাল ও কাঁচা মালে পচন ধরায়। তাই ওদের ডিডিটি ছিটিয়ে নাশ করতে হবে। তা না হলে সমাজের সাধারণ মানুষগুলো সব পঁচে যাবে। এ পচন ঠেকানো এখন সবচেয়ে বড়ো এবং মূখ্য কাজ। বিধর্মীরা এখন ইসলাম প্রচারের পথে বড়ো বাধা নয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকার পর এরা ঈমান ক্ববুলের কাঁচামাল। মূল ক্বোরআন ও রাসূল সঃ এর শিক্ষা থেকে বিচ্যুত “আল্ আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ" এর উমাইয়া ও আব্বাসী ভোগবাদী নব্য ইয়াহুদীবাদের সর্বশেষবিকৃতি এ ইখ্ওয়ানী জামাতী নেতারা। এদের মাখন-খোর আমীর ও নেতারা মধ্য প্রাচ্যের চরিত্রহীন রাজা-বাদশা ও শেখদের আমেরিকান-ইয়াহুদী তেল কো¤পানীর ভাগিদারী সুদী ব্যবসার সুদের উচ্ছিষ্টে ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ আরব ব্যবসায়ী ধনীদের দান ও দলীয় প্রবাসীদের চাঁদায় ব্যাংক, বীমা, ঔষধ কো¤পানী ও হাসপাতাল ব্যবসা করে ক্বারুনের নব্য সংস্করণ হচ্ছে ইখওয়ানীরা। আরবী ভাষী বলে ওরা নিজেরাই প্রত্যক্ষ কম বেশী ক্বোরআন হাদীস জানে। তাই পাকিস্তানী ও বাংলাদেশী আধুনিক শিক্ষিত জামাতী নেতাদের মতো ওদের “মুফাস্সিরে ক্বোরআন" ও “মুহাদ্দিস" পুষতে হয়না। আরবরা নিজেরাই ঐকাজ চালিয়ে নিতে সক্ষম। কিন্তু, বিশেষ করে বাংলাদেশী জামাতী নেতৃত্ব মূর্খ হওয়ায় তাদের মোল্লা পুষতে হচ্ছে। কিন্তু আলেমরা যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে, সে জন্য নেতা কিছু মারওয়ান তৈরী করে তাদের অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে বসিয়ে মোল্লাদের সামনে কিছু অর্থ-স্বার্থের মূলা ঝুলিয়ে ওদের দিয়ে দেশ-বিদেশে ক্যান্ভাসে ব্যবহার করছে। মারওয়ানরা তাদের আলেম প্রচারকদের ব্যাপারে মনে মনে খুব ঈর্ষা পোষন করে, যা তারা কখনো কখনো প্রকাশও করে ফেলে। কিন্তু ওদের ছাড়া চলেনা বলে ওদের এরা পয়সা দিয়ে পুষে। ঠিক একাজটিই মুয়াবিয়া, মারওয়ান ও আব্দুল মালিক ইব্ন্ মারওয়ানরা ইব্ন্ আব্বাস, ইবন ওমর ও যুহরীদের দ্বারা করিয়েছে।

চলবে...।

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368705
১১ মে ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : আপনি হাদীস শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন ?
১১ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
306032
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : কেন করবো না?? যাচাই করবো, কুরানের সাথে মিলাবো আর মানবো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File