মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বাবা অভিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কাছে লেখা চিঠি-১।

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ_২ ০৭ মে, ২০১৫, ০৯:৩৮:০৫ সকাল

আখেরী নবী সাঃ এর ইন্তেকালের পূর্বে পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজের দুই কন্যা পুরান্দাখত ও আযরমিদাখত, দুই নারী পর পর ইরানের নেত্রী হয়। তা শুনেই রাসুল সাঃ বলেন, পারস্য সম্রাজ্য শেষ, যে জাতি নারী নেতৃত্বের অনুসারী হয়, সে জাতির আর রক্ষা নেই। রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর উমরের শাসনামলে পারস্য সাম্রাজ্য পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। খালেদা হাসিনা কি বাংলাদেশকে সেদিকে নিচ্ছে?

"রাহমাতুল্লিল আলামীন" বিশ্ব শান্তির ডাক

আল্লাহর রাষ্ট্রীয় বিধান ও শয়তানের রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি

আল্লাহর বিধানে ইহকালে বিশ্বের নেতৃত্ব ও পরকালে জান্নাতের নিশ্চয়তা

শয়তানের পথে, ইহকালে অশান্তি ও অরাজকতা, পরকালে জাহান্নাম

আল্লাহর বিধান:

হযরত আদম আল্লাহর খলিফা। আদম পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহর বিধান মতো চলে তার বন্দেগী করবে।আদমের সন্তানেরাও তাই করবে।

বাবা আদমের পাজর থেকে মা হাওয়ার সৃষ্টি। আদম স্বামী, হাওয়া স্ত্রী। স্বামী বীজ,সৃষ্টির উৎস Cosmic । স্ত্রী বীজ রোপনের ক্ষেত্রে স্ত্রী কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। শুধু বীজেকে Fertile করে তার রুপান্তর ও পরিবর্ধন ঘটাতে সক্ষম। তাই নারী Cosmic সৃষ্টি চক্রে নরের ভুমিকা মূখ্য। Cosmetic নারীর ভুমিকা গৌন। এটাই স্রষ্টা আল্লাহর বিধান। স্বীয় অবস্থানে নর ও নারী উভয়েই অনন্য।

আল্লাহর বিধান সম্পর্কে সচেতন নর নারী পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, আশরাফুল মখলুকাত। আল্লাহর বিধান অমান্যকারী নারী পুরুষ পৃথিবীতে নিকৃষ্টজীব। পরস্পরের কাম সহচরী। ব্যভিচারী ব্যভিচারিনী।

পথ হারানো মানুষকে পৃথিবীতে পুনঃ পথের সন্ধান দেয়ার জন্য আল্লাহ আদম সন্তানদের মধ্য থেকে বিশেষ প্রতিনিধি পাঠান। হযরত ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ তাঁদের দু’দিকপাল। ইব্রাহিম থেকেই হযরত মূসা ও ঈসা, এবং সর্বশেষ মুহাম্মদ (সঃ)। এরা সবাই সতর্ককারী রাসূল ।

ইব্রাহিমকে তার নিষ্ঠা, আত্মবিসর্জন ও একাগ্র সাধনার জন্য আল্লাহ “হানীফ” আখ্যা দিয়েছেন। ইব্রাহীমের অনুসরণে যারা সালাতের মাধ্যমে আল্লার সামনে দাঁড়ায়, তাদের, বলতে হয় “আমি ইব্রাহিমের মতো হানীফ হয়ে দাড়ালাম”। (হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন) “ওয়ামা মিনাল মুশরিকীন” অর্থাৎ “আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”, এ শপথ বাক্য ঘোষনা করেই সালাতে দাড়াতে হয়। নতুবা সালাত বা নামাজ হয় না। পন্ডশ্রম।

সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সঃ) ইব্রাহিম আঃ এর হজ্জ, সালাতও ইমামত, বা নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেরীত হয়েছেন। তিনি ইব্রাহীম হানীফের মতো “মুহাম্মদ হানীফ”। এঁদের ঘরে মা হাজেরা,সারা ও খাদিজারা স্ত্রী, সহধর্মিনী। নারীকুলের আদর্শ। ইব্রাহীম ও মুহাম্মদ সঃ দের অনুসারীদের ঘরে একমাত্র ঐ আদর্শেও নারীরা স্ত্রী, সহধর্মীনি। এর বহির্ভুতরা কামসহচারী, শয্যাশায়িনী স্ত্রী নয়। এদের ইউরোপ-আমেরিকানরা bitch বলে ।

এরা পরস্পর কামদেব ও কামদেবীর পূজারী ও পূজারিনী। এরা মুসলীম নয়, মুশরিক। এরা ঈমানদার নর নারীর জন্য অবৈধ, হারাম। (আল্ কুরআন)

ইব্রাহীম হানীফ ও মুহাম্মদ হানিফের আনুগত্য ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই ইবলিস্ শয়তান নর-নারীকে ক্রোধ, লোভ ও ধন লিপ্সা বানিয়ে ফেলে। তখন মানুষ নর- নারী,কুকুর-শুকরের চেয়েও নিকৃষ্ট ইতর প্রাণী হয়। যেমন, বর্তমান ইউরোপ ও আমেরিকানরা। কুকুর-শুকরেরা কী নরে-নরে, বা মাদি-মাদিতে যৌনাচার করে? ইউরোপ আমেরিকায় তো বর্তমানে পুরুষে পুরুষে ও নারী-নারীতে সমকামীতার ইতর বৃত্তির রাষ্ট্রীয় আইনের ছত্র ছায়ায় মহামারীর ন্যায় ছড়াচ্ছে।

বাংলাদেশে “বনী আদমের খেলাফতের জাতশত্রু” ইবলিস্ রাজনৈতিক ময়দানে খালেদা ও হাসিনাকে দিয়ে জাতিকে যৌন বিকার-কামদেবীর “রাধা চক্করে” নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে বাঙ্গালী জাতি ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নময় ধ্বংসের মুখোমুখি। তড়িৎ তৌবা করে জাতির “কেবলা” না পাল্টালে দেশ ও জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আখেরী নবী সঃ বলেছেন “তোমরা যখন কোরআন ও আমার সুন্নাহ ত্যাগ করবে, তখন ধন (দিনার) হবে তোমাদের ধর্ম এবং নারী হবে তোমাদের “কেবলা”। “দ্বীনুহুম্ দানানীরুহুম্ ওয়া কিবলাতুহুম্ নিসা-উহুম।

নব্য মোহাম্মদ হানিফরাও কী ধন লিপ্সা ও নারী নেতৃত্বের চক্রে রাসূল সঃ এর ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবরুপ নয়?

ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ সঃ দের খেলাফত ত্যাগ করায় শয়তান মুহাম্মদ হানিফদের দ্বারা খালেদা হাসিনাদের দেবী মূর্তি রুপে দাঁড় করিয়েছে, তারপর দেবীরা পূজারীদের বলে প্রতিমা কর নগর পালকেই অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করছে।

দেবীর উপেক্ষায় বিষন্ন হয়ে পদত্যাগ করে রক্ষা পাওয়া যাবেনা। এরা প্রতিহিংসা পরায়ন ও কোপন স্বভাবা কালীও। খোদ্ শয়তান “অসুর” হয়ে দেবীদের দোসর হয়।

শয়তানের বাহন দেব দেবীদের মূর্তি ও প্রতিমা তৈরী করে মানবকুল কুলাঙ্গার নমরুদ ও ফারাউরা মানবজাতিকে মানবদানবদের ভোগবাদের যোগানদাতা “দাসানুদাস ” বানায় ।

দাসচক্রে নিপতিত মানবজাতিকে উদ্ধার ও মুক্তির সন্ধান দিতে আল্লাহ্ ইব্রাহীম হানিফ ও মুহাম্মদ হানিফদের পাঠিয়েছিলেন।

ইব্রাহীম, নমরুদী শাসনের ভিত্ দেব-দেবীদের মূর্তি গুড়িয়ে দিয়ে মানবজাতির মুক্তির সূচনা করেন। দেবদেবীর পূজারীদের রোষানলে ইব্রাহীম অগ্নীকূন্ডে নিক্ষিপÍ হয়েও পোড়েননি। ইব্রাম-ইব্রাহীম থেকে “ইব্রাহীম হানিফ” হয়ে সকল নবীদের আদি পিতা হলেন, ও পাপাচারের মহানগরী বেবিলোনিয়া ও তার অসভ্য সভ্যতাকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য ক্বেয়ামত্ পর্যন্ত মানবমুক্তির তীর্থ মক্কা ও জেরুজালেম নগরীর পত্তন করেন।

আজ নমরুদ নেই, তার ব্যবিলোনও নেই। কুখ্যাত কুলাঙ্গারদের নামে কোন মানব সন্তানের নামকরনও হয় না। স্বশরীরে ইব্রাহীমও নেই। কিন্তু আল্লাহ্ তাকে ইব্রাহীম খলিল, ইব্রাহীম হানিফ নামে ভূষিত করে “মানবজাতির সর্বকালের আদর্শ ইমাম” বানিয়েছেন। আমরা প্রত্যহ নামাজে তার প্রতি দরুদ পড়ি ।

বিশ্বের বর্তমানে তিনটি ঐশী ধর্ম ইহুদি, খৃষ্টান ও ইসলামের দাবীদার তিনশ‘কোটি মানুষ ইব্রাহিমকে তাদের প্রার্থনা, উপাসনা ও সালাতে স্মরন করে। নমরুদ ও ফারাউদের কী কেউ কোথাও স্মরন করে ? তারাতো গালি।

ইব্রাহীম হানিফের তৌহীদের ইমামতি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থেকে বিচ্যুত করে শয়তান বিশ্বে রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং সবশেষে “শিব্-শয়তানের লিঙ্গ, আব্রাহাম লিঙ্কনের দ্বারা গণতন্ত্রের মুর্তি দাঁড় করিয়েছে। শিব যেমন প্রধানতঃ ধ্বংসের দেবতা তদরুপ,গনতন্ত্র বিশ্বের সকল ঐশী বিশ্বাস ও মূল্যবোধের মূলোৎপাটক। স্রষ্টার অমোঘ ঐশী বিধানে “সার্বভৌমত্ব একমাত্র স্রষ্টার। সৃষ্টি শুধুমাত্র স্রষ্টার আজ্ঞাবহ দাস। সৃষ্টি যার বিধান তার “আলা-লাহুল্ খালকু ওয়াল্ আমর”।

তাই আজ বিশ্বে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত প্রায়, সমাজতন্ত্র শেষ এবং গণতন্ত্র নামের ভেলকিবাজী তার নিজ আতুড় ঘরেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে। ওয়েস্ট মিনিষ্টার গনতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের বৃটিশ রাজ পরিবার গনিকালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে। বৃটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও সদস্যরা তাদের পশুর চেয়েও যৌন ইতর জাতির “জাদুঘরে” পরিনত হতে যাচ্ছে। সমকামী নারী পুরুষের নরক আজ ইউরোপ। আমেরিকার খোদ প্রেসিডেন্টের পিতৃ পরিচয় মিথ্যা তাদের আইনে ব্যভিচারিনী মায়ের দত্তক ব্যক্তির নামে বিল্ ক্লিনটন নামে পরিচিত। আনবিক মারনাস্ত্রে “শিবলিঙ্গ ও শিবশক্তি” বলে আজ আমেরিকা মানুষকে রাজনৈতিক ভাবে দাবিয়ে রাখছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি, মানবাধিকার, ফ্রী সেক্স, সেক্স ইন্ড্রাষ্টি, লিভটুগেদার প্রভৃতির ইতরামি ও ইতরবৃত্তি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার রঙ্গীন পর্দায় প্রচার করে পাশ্চত্যের পশুরা তাদের শেষ প্রহর গুনছে। অচিরেই ওরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। ওদের “আনবিক শক্তির বিরুদ্ধে “তৌহিদের” মানবিক শক্তি নিয়ে দাঁড়ালে ওরা, লবন যেমন পানিতে মিলিয়ে যায়, মিলিয়ে যাবে।

শয়তানের কল্পিত ও পরিকল্পিত “গণতন্ত্র” নামের প্রতারনায় মাথা ওজনের পরিবর্তে মাথা গণনা করা হয়। আল্লাহ আল্ কোরআনে মানব জাতিকে জিজ্ঞাসা করেন, “জ্ঞানী ও মূর্খ, বুদ্ধিমান ও নির্বোধ, চাকর ও মনিব,দৃষ্টিমান ও অন্ধরা কী সমান? শয়তানী গণতন্ত্রে এরা সব সমান। সবারই একটি করে ভোট। অপর দিকে সব মানুষের মন মানসিকতা তো সব সময় একরুপ থাকেনা। কখনো মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ, কখনো অসুস্থ। তাছাড়া মানুষ মরনশীল। এখন আছেতো, তখন নেই।

একমাত্র আল্লাহই অমর ও সর্ববিদ্যমান। নিদ্রা ও তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা। সব কিছুরই স্রষ্টা, নিয়ন্তা ও একচ্ছত্র মালিক তিনি। আয়াতুল্ কুর্সীতে তিনি তারই বর্ণনা দিয়েছেন। মুসলমান নামধারী জনগোষ্টি প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে তা আয়নায় বাধাই করে ঝুলিয়ে রাখছে। অথচ কেউ বুঝছেনা, তার যথার্থ অর্থ জানছেনা, জানলেও মানছেনা।

চলবে.........।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

318679
০৭ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
শেখের পোলা লিখেছেন : চলুক৷ সাথে আছি ইনশা আল্লাহ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File