কুরআনময় ফজর কুরআনী মহিমায় উদ্ভাসিত হোক মু’মিনের পুরোটা জীবন
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ_২ ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:১৪:৩৫ রাত
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَى غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآَنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآَنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا
আক্বিমিছ্ ছলাতা লিদুলুকিশ্ শামছি ইলা গছাক্বিল্ লাইলি ওয়া ক্বুরআনাল ফাজরি; ইন্না ক্বুরআনাল ফাজরি কানা মাশহুদা।- সূরা বনী ইসরাইল (১৭:৭৮)
“সালাত কায়েম করো সূর্য হেলে পড়া থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত, আর ফজরের কুরআন-পাঠ। নিঃসন্দেহে ফজরের কুরআন-পাঠ পরিলক্ষিত হয়।“
সূরা নূরে ‘সালাতিল ফাজর’-এর (২৪:৫৮) উল্লেখ আল্লাহ তা’য়ালা করেছেন। সূরা বনী ইসরাইলের আলোচ্য এই আয়াতও সালাতের উল্লেখের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে, কিন্তু বাক্যের দ্বিতীয় অংশে গিয়ে ‘সালাতুল ফাজর’ বুঝাতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন সেটিকে ‘কুরআনাল ফাজর’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন- তা নিয়ে গভীরভাবে ভাববার অবকাশ আছে বৈকি। শুধু তাই নয়, আয়াত শেষ হয়েছে সেই একই শব্দগুচ্ছের দ্বৈত ব্যবহারের মাধ্যমে একথা জোর দিয়ে বুঝাতে যে, ফজরের ওয়াক্তে মুসলিম উম্মাহ্ সম্মিলিতভাবে কুরআন-চর্চা করে কিনা তা লক্ষ্য করা হয়- তার সাক্ষ্য রাখা হয়।
মূলতঃ কুরআনই হচ্ছে সালাতের প্রাণ- ক্বিয়াম, রুকু, সিজদা তার কাঠামো বা অস্থি-কঙ্কাল মাত্র। আমরা প্রায় সবাই সূরা মা’উনের “ফাঅই লুল্লিল মুছল্লিন, আল্লাজিনা হুম ‘আন ছলাতিহিম ছহুন”-সহ হরহামেশা সালাত আদায় করে থাকি। পরিহাস এই যে, তার মর্ম অনুধাবনে চেষ্টা করি ক’জন?
বিষয়: বিবিধ
১২৩৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন