তথাকথিত বাইবেল বিশ্বাসীদের প্রতি একটি খোলা চিঠি।...শেষ।

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ_২ ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:১২:০৩ সকাল

নিবারণ বাবু, পরম ঈশ্বর , বিশ্ব বিধাতার এক ধর্ম, সনাতন ধর্ম। যা আদম, নূহ, ইব্রাহীম , মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণের ধর্ম।ক্বোরআনের পরিভাষায় তাকে “আল ইসলাম” বলা হয়েছে। আপনার ঠাকুর দাদা সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে খৃস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আপনার স্ত্রীকে একদিন জিজ্ঞাসা করে ছিলাম, কোন বা ক’পুরুষ থেকে তিনি খৃষ্টধর্মালম্বী। উত্তরে তিনি বলেছিলেন “চৌদ্দ পুরুষ থেকে”। শুনে আমি কিছুটা হতবাক হয়ে ছিলাম। বলে কি? মহিলা চৌদ্দ পুরুশ থেকে খৃষ্টান!তা হলে তো হযরত ঈসার কাছা কাছি সময়ের খৃষ্টান! উত্তরে আপনার বন্ধু, যিনি আপনার সাথে এক সঙ্গে একই স্কুলে শিক্ষকা করেছেন এবং আপনান বিয়ের ব্যপারে যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন, সে হরষিত বাবি বলরেন যে আপনার স্ত্রীর পরিবারও তার ঠাকুরতা খেকে খৃষ্টান। তাই স্বাভাবিক।এদেশে ভাত কাপড়ের অভাব পূর্বে ছিলনা যার তাড়নায় মানুশ ধর্মান্তরিত হবে! তা ছাড়া মূল সনাতন ধর্ম থেকে দেব দেবীর পূজা দ্বারা বিকৃত হিন্দু ধর্ম থেকে নিরাকার আল্লাহর পুত্র(?) যীষুর নামে প্রবর্তিত অমূলক ধর্মে পার্থক্য কোথায়?

পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, কম্যুনিজম,, রাজতন্ত্র প্রভৃতি তো প্রায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে যাচ্ঠেছ। খন্ডিত রাষ্ট্রীয সীমানাও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে মুক্তবাজার, এক বিশ্ব, এক পরিবারও ভিসাহীন বিশ্ব ইত্যাদিও দাবি উঠছে। অচীরেই বিশ্ব থেকে খন্ডিত ধর্মসত্বা বিদায় নিয়ে বিশ্ব স্রষ্টার বিশ্ব ধর্মেও সূর্য় উদিত হবে এবং তা সূর্যোদয়ের দিক, পূর্ব থেকে হবে, তাও পূর্ব বাংলা তথা, বাংলাদেশ থেকে হওয়ার ঐশি ইংগিত বইছে।

পৃথিবীর নামসর্বস্ব হলেও তিনটি ঐশি ধর্মালম্বীরা এক বিশ্ব মুক্তিদাতার অপেক্ষার প্রহর গুণছে। সে মহামানবের আর্বিভাব এমন এক ভূ খন্ড তেকে হবে, য়েখাবে তুলনামূলকভাবে বর্ণ ও গোত্র বৈষম্য কম। ইহুদী ও ব্রাম্ভান্যবাদ বিশ্বেও বর্ণ বৈষম্যেও আদি পিতা । তাই বর্ণবাদী ইসরাইল ও ব্রাহ্মন্যবাদী ভারত থেকে তাঁর আর্বিভাব ভাবা যায়না। শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর সংস্কার খেকে বিচ্যুত আরব জাতি আজ ইজুদী-খৃষ্টানদেও তাবেদার আরেক অভিশপ্ত বর্ণবাদী জাত। মধ্যপ্রাচ্যে এরা তিন জাতি পরস্পরের বিরুদ্ধে ত্রিশূল হয়ে পরস্পরের বিনাশের জন্য সুযোগের প্রহর গুণছে।

ইসলামের নামে প্রতারণা করে সৃষ্ট পাকস্তান বিজেদেও গোষ্ঠিদ্বন্দে যেনো স্বীয় মৃত্যুর প্রহর গুণছে। ইরানী-আফগানীরা আর্য-অনার্যেও দ্বন্দেও মতো শিয়াসুন্নীর সংঘাতে লিপ্ত। দূও প্রাচ্যেও মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সংখ্যাতত্বেও নামধারী মুসলমান হলেও ভুমিপুত্র ও অভূমিপুত্রের বৈষম্যে জর্জরিত্

পৃথিবীতে এক চিলতা বেলা ও পলিভুমি রয়েছে, যেখানে গোত্রবৈষম্য নাই বললেই চলে দারিদ্র আছে কিন্তু গোষ্ঠি দ্বন্দ্ব নেই। হিমালয়ের গা ধোয়া পলি হমে এ ক্ষুদে দেশটির জন্ম। দেশটির নাম বাংলাদেশ। এখানে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি অনন্য। এখানকার জনগোষ্ঠি কখনো অন্যেও উপর রাজ্য বিস্তার করে শোষণ করেনি। শুধু শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পূর্বে উপনিবশবাদীদেও দ্বারা শোষিত ও শাসিত হয়েছে। এখন উপনিবেশবাদীদের পরিত্যাক্ত আমলা, কেরাণী, খানসামা ও ধোপা মালীদের নাতী নাতনীদের দ্বারা শেষবারের প্রতারিত ও শোষিত হচ্ছে। অচীরেই এ উপেক্ষিত দারিদ্রপীড়িত দেশ থেকে ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মহাম্মদ সঃ গণের আদর্শের পতাকা বাহিদেও মিছিল শুরু ও সূচনা হবে বলে সংকেত বইছে। যেমন অনুর্ববরা ও দারিদ্রের লীলা ভূমি আরব মরু থেকে ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ স: গণের আদর্শে ও সূর্যোদয় ঘটছে।

নিবারণ বাবু ! আপনি ইহুদীদেও যে শাখার প্রতিনিধিত্ব করছেন , তা মোটেও মানবজাতীর মানবীয গুণাবলীর সহায়ক ধর্ম নয়। পশ্চিমা ইহুদী-খৃষ্টান দুষ্টচক্র তাদেও বস্তুতান্ত্রিক উন্নয়ন ও বিকৃত শিক্ষা দিয়ে মানবজাতিকে ইতরবৃত্তির চরম গহবরে নিক্ষিপ্ত করে হানাহান ও বিশ্বলুটেরা বৃত্তিতে পরিণত করেছে ও করছে। তারা মানবজাতিকে দুটি বিশ্ব মাহাযুদ্ধেও অভিশাপ দান করেছে ।

তৃতীয় মহাযুদ্ধ হতে দেয়া যায়না । ঐ নরপিশাচদেও হাতে আনবিক বোমাসহ সকল মরনাস্ত্র রয়েছে।

বিশ্বেও লুণ্ঠিত ধরণের এইড নামের সাহায্য নিয়ে আমাদেও মাঝে অনুপ্রবেশ করছে। মূলে এ সাহায্য ওদেও ভোগবাদেও উচ্ছিষ্ঠ। ওদেও এ উচ্ছিষ্ঠ দিয়ে যে সমস্ত মসজিদ, মন্দিও, সেনাগণ, গীর্জা ও চার্চ হচ্ছে তা সাহায্যেও এইডের আড়ালে এইডস জীবাণু ছড়ানো। ওদেও সাহায্যে মানুষকে পরভূক, পরজীবি ও ভোগবাদী বানিয়ে পরিনামে ঘাতক এইডস জীবাণুর খাদ্যে রূপান্তরিত করতে কালথাবা নিয়ে এগুচ্ছে।

ওরা মানবতার শত্র“, মানবতা ওদেও শত্র“।উভয়ের সহ-অবস্থান অকল্পনীয়। ওদেও আনবিক অস্ত্রেও একমাত্র প্রত্যুত্তর মানবিক অস্ত্র, বা “আণবিক বোমার প্রতিরোধক মানবিক বোমা। এ মানবিক বোমার উপাদান একমাত্র মহাপ্রভু ঈশ্বর , বা আল­াহর ধর্ম, যার রাসূল নূহ, ইব্রাহীম, মূসা , ঈসা ও মহাম্মদ সঃ গণ।

আল­াহর মহান নবীদের নামে যারা অবমাননাকর জঘন্য মিথ্যা লিখেছে, যারা পড়ছে এবং ধর্মের নামে যারা তা প্রচার করছে, তাদেও শিক্ষা ও প্রচার কেন্দ্রে কখেনো মানব সন্তানদের শিক্ষার নামে ধ্বংস যজ্ঞে তুলে দেয়া যায়না ।

জনার নিবারন দাস আসুন বর্ণবাদহীণ বাংলার মাটি , তথা ঢাকার মিরপুর থেকে হযরত ইব্রাহীম, মূসা , ঈসা, ও আখেরি নবী মুহাম্মদ সঃ গণের পুতপবিত্র আদর্শে ও বিশ্বআন্দোলনের সূচণা করি, যা আরমাগেড্ডন(Armageddon) হয়ে বিশ্বেও শয়তানী শক্তির বিলুপ্তি ঘটাবে।

জায়ানবাদী- ইহুদী খৃষ্টানরা বলে, ওড হযরত ইব্রাতহীম যেহেতু দাসীর পেটে তাঁর বড় ছেলে ইসমাঈল আঃ কে জন্ম দিয়েছেন্ এবং সে ইসামইল এর বংশ থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর জন্ম তাই মুহাম্মদ সঃ নবী হওয়ার যোগ্য ছিলেনাএ বং নবও ছিলেননা। তাঁর নুওত দাবীই মিথ্যা। কারণ তিনি নিম্ন বর্ণেও অকুলীন! নবীকুলের আদিপিতা ইব্রাহীম আঃ পিতা হওয়া ওত্বেও যদি হযরত ইসাইল ও মুহাম্মদ সঃ মায়ের কারণে অকুলীন ও নিম্ন হন তাহলে আপনি ও আপনারা কারা যারা পিতৃমাতৃ উভয় কুলেই নিম্ন বর্ণেও হিন্দু, সাঁওতাল ও অন্যান তথা কথিত নিম্ন জাত থেকে খৃষ্টান হয়েছেন ও হচ্ছেন? আপনারাতো খৃষ্টান হতে পারেননা। কারণ খৃষ্টান হবে তো উচ্চবর্ণেও রক্তের মানুষেরা।

আমার এ পত্র পেয়ে আসুন, আমরা সকল সভ্য মানুষেরা একত্র হয়ে ঘোষণা করি যে, নবী ও রাসুল গনের বিরুদ্ধে আইবেলে যা লেখা আছে তা সব মিথ্যা কথাএবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।আমরা মানব সমাজ থেকে এ অপবাদ ও অপবাদিদের উৎখাত করে বিশ্বে মানব ধর্ম পৃতিষ্ঠা করবো। আর যদি আপনি একমত না হন তা হলেআপনাকে জন সমক্ষে ঘোষণা করতে হবে যে, আপনি ও আপনারা ঐ সমস্ত জঘন্য অপবাদে বিশ্বাসী, এবং তা আপনাদেও ধর্মেও মূলনীতি ও ভিত। তখন মানব বিবেক আপনাদের বিচার করবে।

অবশেষে আমার আকুল আবেদন আসুন, আমরা বিশ্বকে এক আল­াহ ও তাঁর নবীদের আদর্শে মানবতার শিক্ষ ও দীক্ষা দিয়ে পশিচমা ঘাতক সভ্যতা থেকে বিশ্বকে রক্ষা করে শান্তি ও মুক্তির পথ প্রদর্শন করি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File