তথাকথিত বাইবেল বিশ্বাসীদের প্রতি একটি খোলা চিঠি।
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ_২ ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:০৩:৩৭ বিকাল
“মিথ্যা ত্যাগ করে সত্যের দিকে আসো”
সকল সত্যবাদী ও সত্যান্বেষকদের প্রতি, এক মহাসত্যের অনুসারির আবেদন।
জনাব নিবারণ দাস,
বিশপ,ঢাকা মেথিডিস্ট চার্চ,
২৫০/১ দ্বিতীয় কলোনী, মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
প্রিয় প্রতিবেশি,
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন।
আপনি ও আমি প্রতিবেশি। আমাদের দৈহিক অবস্থানের মাঝে মাত্র একটি ছ’ইঞ্চি দেয়ালের দুরত্ব। আমারই ৬ ফুট দেয়ালের উপর আরো তিন ফুট ইট গেথে আপনার দেয়াল। যেমন হযরত ঈসা রুহুল্লাহ স: এর আনীত অসম্পন্ন রিসালাতের উপর হয়রত মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ (সআল্লাহর দ্বীনের অবশিষ্ট ইট গেঁথে সকল নবীদের আনীত আল্লাহর একমাত্র ধর্মকে পূর্ণ করেছেন।
কি আশ্চর্য মিল দেখুনতো! ভাবুনতো!
প্রথম মানুষ, বাবা হযরত আদম থেকে শেষনবী মুহাম্মাদ সঃ সবাই আল্লাহর রাসুল। তাঁরা সবাই “একমাত্র ধর্মের” প্রবর্তক। সবার একমাত্র ধর্ম ও বাণী, “এক আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই।এ ব্যাপারে নবীদের মধ্যে কোন বিরোধ ছিলোনা।
শয়তান মানব সৃষ্টির বিরোধী ছিল। তাই শয়তান মানুষের জাতশত্রু । শয়তানের কাজ মানুষকে ধর্ম, বর্ণ,গোত্র ও রাষ্ট্রে বিভক্ত করা। আল্লাহ তার প্রিয়তম সৃষ্টি মানব জাতীকে তাঁর একমাত্র সত্য সনাতন ধর্মে ঐক্যবদ্ধ করা ও রাখার জন্য তাঁর নবীদের পাঠান।
নবীদের মধ্যে নূহ, ইব্রাহীম,মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণ কে আল্লাহ বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে হযরত ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ দু’জন পিঠাপিঠি। হযরত ঈসা বলেছেন,“ আমার পর হযরত মুহাম্মদ সঃ আসবেন”। হযরত মুহাম্মদ সঃ বলেছেন,“ আমার পর হযরত হযরত ঈসা আসবেন”। কেমন মিল দেখেছেন? একে অপরের সম্পূরক!
হযরত ঈসার পর মুহাম্মদ সঃ কেন আসলেন এবং পুনঃ মুহাম্মদ সঃ এর পর ঈসা আঃ কেন আসবেন? তা পত্যেক মানুষের ভাববার বিষয় নিশ্চয়।
আল্লাহর নবীদেও মধ্যে হযরত ইব্রাহীম আল্লাহর প্রিয় বন্ধু “খলিল”। তারই বংশ হতে হযরত মূসা,ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণ নবীরূপে প্রেরিত হয়েছেন।
হযরত ইব্রাহীম আঃ বেবিলোনিয়ার বর্ণবাদী পৌত্তলিক সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দেশ ত্যাগ করে আল্লাহর নিদের্শে তাঁর বড় ছেলে হযরত ঈসমাঈল কে নিয়ে মক্কায় বিশ্বমানব সাম্যবাদের কেন্দ্র মক্কা নির্মাণ করেন। হযরত ইব্রাহীম আঃ এর প্রথমা স্ত্রী সারা ঈমানদার হওয়া সত্বেও নারীসুলভ স্বভাবের ফলে জাত্যাভিমানিনী ছিলেন। আল্লাহ সারার অমূলক জাত্যাভিমান দূর করার জন্য সত্বীনের ঘর করান এবং তার পূর্বে তার সত্বীন বিবি হাজেরার গর্ভে ইব্রাহীম আঃ এর প্রথম সন্তান হযরত ঈসমাইল আঃ কে দান করেন। বিবি হাজেরা ও বিবি সারা উভয়ই আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ তার প্রিয় ইব্রাহীম খলিল আঃ দুই পত্নীর সন্তানের দ্বারা দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও জেরুজালেমের পত্তন করেন।
হযরত ইব্রাহীমের মৃত্যুর পর মানব জাতীর শত্র তাঁর নাতি ইয়াকুব, যাঁর অপর নাম “ঈসরাইল” তাঁর সন্তানদের মধ্যে ঢুকে পড়ে বর্ণবাদী ইয়াহুদীবাদের জন্ম দেয়।
সর্ব প্রথম শয়তান তাদেও মধ্যে এ ধারণা সৃষ্টি করে যে প্রত্যেক পুরুষের একমাত্র স্ত্রী হতে হবে। যেমন বাবা আদমের এক স্ত্রী ছিল। হযরত ইব্রাহীম সন্তান কামনায় অধীর হয়ে তার স্ত্রীর কথায় সারার দাসী হাজেরার সাথে ব্যভিচার করে ঈসমাইলের জন্ম দেন। কত জঘন্য মিথ্যা কথা!
অথচ বিবি হাজেরা ও বিবি সারার দাসী ছিলেননা। মা হাজেরা মা সারার চেয়েও পরীক্ষীত অসাধারন মহিয়সী নারী ছিলেন। মিসরীয় র্দুবৃত্ত রাজা কতৃক অপহৃত হওয়ার পর বন্দী হয়ে কয়েদ খানায় নিক্ষিপ্ত হলে সেখানে গিয়ে দেখতে পান মিসরীয় র্দুবৃত্ত রাজা কতৃক অপহৃত হয়ে আরেক অপরূপা নারী বন্দি হয়ে আছে। র্দুবৃত্ত রাজা শত চেষ্টা করেও তার সতীত্ব হরণ করতে পারেনি। স্বয়ং আল্লাহ র্দুবৃত্ত রাজার পা মোচড়ে ও প্রসাদে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে সে মহিয়সীর সতীত্ব রক্ষা করেন।পরে দুর্বৃত্তরা তাকে জেলখানায় নিক্ষেপ করে।
তার পর সারাকে অপহরণ করার পরও আল্লাহ তার খলিল ইব্রাহীম আঃ এর স্ত্রী রূপে উক্ত মহিলার মতো অলৌকিকভাবে সারার সতীত্ব রক্ষা করেন।পরে বিবি সারা ও উক্ত মহিলার মধ্যে বন্দি দশায় নিক্ষিপ্ত হন। বন্দীশালায় আল্লাহতায়ালা তাঁর দুই মহিয়সী দাসী কে একত্রিত করেন। প্রথম মহিয়সী মা হাজেরা, যাঁর সান্নিধ্যে বিবি সারা আশ্রয় ও প্রবোধ পান।
দুবৃত্ত রাজা আযাবে নিপতিত হয়ে উভয় মহিলাকেই মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তখন বিবি সারা অনুনয় করে বিবি হজেরাকে সঙ্গে করে নিয়ে তাঁর স্বামী হযরত ইব্রাহীমকে তাঁকেও বিবাহ করার প্রস্তাব দেন।হযরত ইব্রাহীম সে প্রস্তাব গ্রহন করে মা হাজেরা কে বিবাহ করেন। এভাবে আল্লাহ তাঁর প্রিয় খলিলের ঘরে নারীকুলের দুই মহিয়সী দিকপালকে একত্রিত করেন।
শয়তানের প্ররোচনায় নিপতিত হয়ে ইহুদীরা তাদের পূর্ব পুরুষ হযরত ইব্রাহিমের আদর্শ ত্যাগ করে কাফের ও অভিশপ্ত হয়ে নবুওত ও রিসালাত হতে বহিস্কৃত হয়। তারপর তারা
তারপর ইহুদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষররূপী শয়তান হয়ে মানব জাতির সর্বনাশে লিপ্ত হয়। নবীদের অমান্য করে তারা বহু নবীদের হত্যা করে। ব্যভিচার, সমকামিতা, সুদ ও দাস প্রথা এ ইহুদীরা সর্বপ্রথম পৃথিবীতে চালু করে।
আলাহর খেলাফত ত্যাগ করে শয়তানের শিষ্যত্ব গ্রহন করে ইহুদীরা যখন মানবতার সকল সীমা লঙ্ঘন করে তখন তাদেও পুনঃ সৎপথে ফেরৎ আনার জন্য আলাহ দ্বিতীয় আদম হযরত ঈসাকে পিতা ছাড়া মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করে পাঠান। হযরত ঈসা আঃ ইহুদী বংশোদ্ভুত ইহুদী ছিলেন না কারন, পিতা থেকে বংশের উৎপত্তি হয়্ মা থেকে নয়। এ ব্যবস্থা আলাহ এ জন্য করেন য়ে বর্ণ ও গোত্রবাদী ইহুদীরা যাতে বর্ণবাদ ত্যাগ করে পুনঃ এক ও অবিভাজ্য মানব ধর্মে ফেরত আসে।
কিন্তু যে জাতি ও স¤প্রদায় এক্বার আলাহকে ত্যাগ করে শয়তানকে তাদেও প্রভু ও অভিভাবক বানায়, শয়তান তাদের ফেরত আসার সকল পথ বন্ধ করে দেয়।
ইহুদীদের ব্যাপারেও তাই ঘটলো। তারা হযরত ঈসা রুহুলাহ কে মেনে সৎপথে ফেরৎ না এসে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শয়তানের প্ররোচনায় একদল তাঁর পিত্রমাধ্যমহীন জন্মের জন্য তাঁকে জারজ সন্তান হওয়ার অপবাদে প্রত্যাখান করলো।এবং অপর ভাগ তাঁকে আলাহর সন্তান এবং স্বয়ং ঈশ্বর বা আলাহই বানিয়ে ফেললো।
ক্ষমতাশালী শক্তিধর ইহুদীরা ঈসা আঃ কে অবৈধ সন্তান ও ধর্মদ্রোহী বলে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যা করা প্রয়াস নিলে আলাহ জুডাসনামক একজন বিশ্বাসঘাতক ইহুদীকে হযরত ঈসায রূপান্তরিত করে হযরত ঈসাকে জীবন্ত ও অক্ষত আকাশে উঠিয়ে নিয়ে যানএবং বশ্বাস ঘাতক জুডাসকে শূলী বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। কিছু নির্বোধ ও সরল মনা ইহুদীদের মঝে শয়তান জুডাসকে ঈসা বা ক্রুশবিদ্ধ যীশু রূপে প্রচারিত করে বিশ্বে আজ পর্যন্ত খৃষ্টানধর্ম নামে ইহুদীদেও পাশাপাশি আরেকটি ধর্ম চালু করে মান্ জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে। হযরত ইব্রাহীম ও হযরত মূসা যেমন ইহূদী ছিলেন না, তদ্রুপহযরত ঈসাও ইহুদী বা খৃষ্টান ছিলেন না । তাঁর একাগ্রচিত্তে আত্মসমর্পকারী বিশ্ব প্রভু আলাহর দাস ও রাসুল ছিলেন।
পরম ঈশ্বর বা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলও ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা আঃ গণের ধর্ম ত্যাগকারী ইহুদীরা আদম সৃষ্টিকালে দেয়া শয়তারের চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী মানবজাতি সর্বনাশ করার জন্য র্সপপ্রথমআলাহর নবী ও রাসুরদেও চরিত্র হননের কাজ আরম্ভ করে। তারা সর্ব প্রথ আলাহর কিতাব তাওরাতকে বিকৃত করে তাতে লিখেঃ
# নূহ মদ্যপান করে বেহূশ হয়ে উলঙ্গ হয়ে পড়ে থাকতেন।
# ইব্রাহীম তিথ্যা বলে তাঁর স্ত্রীকে বোন পরিচয় দিয়ে অন্যকে দান করে তার বিনিময়ে মেষ, উট, গর্দভ ও সম্পদ গ্রহন করে।
# লুত তার দুইকণার সাধে ব্যভিচার করে সন্তান উৎপাদন করেন।
# ইয়াকুবের বড় ছেলে সৎমায়ের সাথে ব্যভিচার করেন।
# ঐীহুদা তার পুত্রবধুর সাথে ব্যভিচার করে সন্তান উৎপাদন করেন
# দাঊদ তার সেনাপতির স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করে হযরত সুলাইমানকে জন্ম দেন।
# সুলাইমানের পুত্র ভগ্নীর সাথে ব্যভিচর করে।
# যীশু মেরির অবৈধ সন্তান।
এধরনের অসংখ্য জঘন্য মিথ্যা নিজহাতে লিখে ইহুদীরা তা তাওরা ও বাইবেলে ঢুকিয়ে দেয়। যাতে মানুষ ভাবে নবী ও রাসূলরা যখন মদ্যপান করতেন, পর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করতেন, এমন কি আপন কন্যা, মাতা ও ভগ্নীর সাথেও নির্বিচারে ব্যভিচার করতেন, তা হলে সাধারণ মানুয় কেন এসমস্ত পাপ করবেনা?
এজন্য আলাহ তাঁর দুই নবী দাউদ আঃ ও হযরত ঈসার মুখে ও ভাষায় ইহুদীদেও উপর অভিসম্পত করিয়েছেন। বিশ্বময় যে পাশব যৌনাচার এইডস নামক ঘাতক ব্যাধিতে মানব জাতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে,পারিবারিক জীবন বিধ্বস্ত এবং মানব সভ্যতা যে মহা প্রলয়ের মুখোমুখি, এ সবের পেছনে একমাত্র কারণ হলো, ইহুদীরাও আল্লাহ ও তাঁর নবীদের অবাধ্য হয়ে অভিশপ্ত শয়তানের অনুসরণে মানব সমাজে পাপাচার ও ব্যভিচারের প্রচলন।তাও পবিত্র চরিত্রের নবীদের নামে কুৎসা ও মিথ্যা সৃষ্টি করে।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন