জান্নাত পেতে হলে মাকে খুশি রাখতে হবে
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন ভাষী ১৫ মে, ২০১৪, ০২:১৫:৪৬ দুপুর
মহানবী (সা.) এক দিন 'জান্নাতুল বাকী' কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কবরের দিকে নজর পড়ে গেল। কবরে ভীষণ আজাব চলছিল। কবরবাসী ছিল এক যুবক। আল্লাহর রাসূল (সা.) সাহাবিদের গ্রামের ভেতর পাঠালেন এবং নবী করীম (সা.)-এর কাছে আসতে বললেন। সাহাবীরা কবরস্থানের চারপাশের গ্রামবাসীকে দ্রুত কবরস্থানে আসার জন্য আহ্বান করলেন। এলাকাবাসী একের পর এক আসতে শুরু করল। নবী করীম (সা.) জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলেন।
এ কবরবাসী কে তোমরা চিন? উত্তরে বললেন, না, আমরা চিনি না। এভাবে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন; কিন্তু পরিচয় পাওয়া যায় না। হঠাৎ নজর করে দেখে এক বৃদ্ধা লাঠিতে ভর করে আসছেন। নবী করীম (সা.)-এর কাছে এসে সালাম দিলেন। নবী করীম (সা.) বুড়িকে বললেন, কবরবাসী কে চিনেন। বুড়ি উত্তর দিলেন যে, কবরবাসী আমার ছেলে। নবী করীম (সা.) বললেন, ছেলে কি নামাজ-রোজা করত না? বুড়ি উত্তর দিল যে, হ্যাঁ নামাজ-রোজা করত। তাহলে, বলুন আপনার সঙ্গে কেমন আচরণ করত। বুড়ি উত্তর দিল, আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি। ছেলে থাকত দেশের বাইরে। বাড়িতে এলে আমি দৌড়ে ছেলের কাছে আসলাম। কিন্তু বউমা ছেলের কানে কানে কী যেন বলল, আমি দরজার কাছে গেলাম। ছেলে আমাকে ধাক্কা দিল। আমি দরজার সিঁড়ির ওপর পড়ে যাই।
হুজুর, আমার কোমরে ব্যথা। আমি হাঁটতে পারি না, লাঠিতে ভর করে হাঁটি। নবী করীম (সা.) তাকে বললেন, আপনি আপনার ছেলেকে মাফ করে দেন। বুড়ি বললেন, না, আমি মাফ করব না। নবী করীম (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। আল্লাহ বুড়ির অন্তরের চোখ কবরের দিকে ফিরিয়ে দাও। দোয়ার পরে বুড়ির অন্তরের চোখ খুলে গেল। বুড়ি বলল, হুজুর আমার ছেলের কবরে আজাব চলছে। আমি ছেলেকে মাফ করে দিলাম। আমার ছেলেকে আল্লাহ যেন মাফ করে দেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব এলো, তোমার ছেলেকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং জান্নাতের ফরাস বিছানা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব জান্নাত পেতে হলে মায়ের খুশি থাকা দরকার। [সূত্র : নুজহাতুল বাসাতিন]
বিষয়: বিবিধ
১২৬৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর মাকে খুশি রাখতে গেলে বউ হবে বেজার
বউ বেজার হওয়া মানে তার কাছে উত্তম না হওয়া
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম
পুরাই টেনশন
মন্তব্য করতে লগইন করুন