আব্দুল কাদের মোল্লার পরিচিতি ও তার ফাসির আদেশের নেপথ্যে..
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন ভাষী ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৫২:৪০ সন্ধ্যা
নামঃ আব্দুল কাদের মোল্লা (ওরফে কসাই কাদের!)
জন্মঃ ১৯৪৮ সালে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
* ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ।
*১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক স্কুল থেকে থেকে কৃতিত্বের সাথে সায়েন্সে প্রথম শ্রেণীতে এস এস সি পাশ।
* ১৯৬৬ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ থেকে সায়েন্সে এইচ এস সি পাশ।
* ১৯৬৮ সালে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি পাশ।
* ১৯৭০-৭৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান মাস্টার্স। শহিদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।
* ১৯৭৫ সালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তরগত শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অতিতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম হন। ফলে গোল্ড মেডেলিস্ট হিসেবে পুরুস্কৃত হন।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারঃ
* হাইস্কুল ও কলেজ জীবনে কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন।
* ১৯৭৯ সালে জামাত-ই-ইসলামী-তে যোগদান।
পেশাগত যোগ্যতাঃ
* ১৯৭৪-৭৫ পর্যন্ত (মাস্টার্স করা কালীন) আর্থিক সংকটের কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত উদয়ন স্কুলে শিক্ষকতা।
* শেখ মুজিব কর্তৃক ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর সেখানে যোগদান।
* ১৯৭৭ সালে পিলখানায় অবস্থিত বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান।
* ১৯৮১ সালে দৈনিক সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগদান। উল্লেখ্য তিনি ছাত্রজীবন থেকেই সংবাদপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লিখতেন।
* ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে পর পর দুবার অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন।
..................................................................................
খন্ডকালীন পেশাঃ
*১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র থাকাকালীন মিরপুরে খন্ডকালীন 'কসাই' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি ৩৪৪ জন মানুষকে জবাই(অবশ্য মাঝে মধ্যে জবাইয়ের আগে গুলি করতেন) করে সেই মাংশ বাজারে বিক্রি করতেন।
*এ সময়ে তিনি ১১ বছরের শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী শত শত নারীদের নিয়মিত ধর্ষণ করে 'খন্ডকালীল রেপিস্ট' হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখেন।
অপরাধঃ
* খন্ডকালীল 'কসাই' এবং খন্ডকালীন 'রেপিস্ট' হিসেবে বিশাল যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলেও তিনি তার খন্ডকালীন পেশাকে পারমানেন্ট হিসেবে অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হন। এবং পরবর্তীতে জামাত-ই-ইসলামীতে যোগদান করে নিজেকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই এই অপরাধে তাকে ফাঁসীর আদেশ দেয়া হল।
ও৺ ম শান্তি।
বিষয়: রাজনীতি
১২১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন