জামায়াত কে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও রাজনৈতিক বিচার
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন ভাষী ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৩:৩৫:২৬ দুপুর
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের প্রধান টা ের্গট জামায়াতে ইসলামী। তাদের আচরণটা এমন যেন ক্ষমতায় যখন এসেছ তখন আর জামায়াতকে বাংলার মাটিতে রাখব না।
সে কারণেই একের পর পর জামায়াতের উপর চলছে জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন। তারই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। মুক্তিযুদ্ধের দোহায় দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একের পর এক জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা ও সাজা দেয়ার আশায় সরকারীভাবে তৈরী করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। বিচার করা হচ্ছে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে।
ইতিমধ্যেই জামায়াতের শীর্ষ নেতা কয়েকজনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাল আরেকটি রায় দেয়া হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
সরকার একের পর এক জামায়াত নেতাদের হত্যা করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা মনে করেছে যে, জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সাজা দিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দমন করা যাবে। কিছুতেই তা সম্ভব নয়। জামায়াত ও ছাত্রশিবির ঈমানী শক্তির বলে বলীয়ান। যত বড় ঝড়, ঝঞ্জা আসুক না কেন। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রিশিবিরকে দমন তো দূরের কথা, বরং আওয়ামী লীগকেই এই বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করে দেয়া হবে।
তাই জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত বাদ দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাববার আহ্বান জানাচ্ছি। আর বেশি দিন নেই। তার পর কোথায় থাকে তোদের এ পুলিশ বাহিনী, কোথায় থাকে তোদের ক্ষমতা সেটা জামায়াত-শিবির ও দেশের সাধারণ জনগণ দেখবে এবং দেখাবে।
নিির্বচারে গুলিকরে হত্যা, জুলুম, নিপীড়নের দাত ভাঙ্গা জবাব দেবে দেশের তৌহিদী জনতা। সেদিনের জন্য আওয়ামীলীগকে অপেক্ষা করতে বলবো।
দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। একটা পুরনো রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আওয়ামীলীগের বোঝা উচিত। ইতি মধ্যেই ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ সেটা আওয়ামী লীগকে বুঝিয়ে দিয়েছে। শত কারচুপি করেও যেমন আওয়ামী লীগ সিটি হোয়াইট হোয়াস হয়েছে, তেমন শত চক্রান্ত করেও আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসার দু:স্বপ্ন জনগণ ধুলিস্মাৎ করে দেবে।
এর পরও যদি আওয়ামী লীগের শিক্ষা না নয়, তারা যদি উপলব্ধি না করতে পারে তাহলে আওয়ামীলীগকে হয়তো ইতিহাসের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়া আওয়ামীলীগের একান্ত প্রয়োজন। তা হলে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন