আমার শিবির করার পেছনে যাদের অবদান আছে তাদের মধ্যে একজন মাহফুজ ভাই(ছদ্মনাম)।
লিখেছেন লিখেছেন কাজী শোভন ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:২৪:০৩ সকাল
মাহফুজ ভাই ছাত্রইউনিয়ন করতেন।সবাই অবাক হবেন ছাত্র ইউনিয়নেয় কেউ শিবিরের হয়ে দাওয়াতী কাজ করল কিভাবে।নিচের লেখাটুকু দেখলেই
বুঝতে পারবেন।
৩ বছর আগে একদিন এক
অনুষ্ঠানে গেছিলাম।অনুষ্ঠানটি ছিল তিনদিনের।সেখানে অনেক গন্যমান্য সমাজ সংস্কারক এবং বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিরা উপস্হিত ছিলেন।আমিও ছিলাম এক সংগঠনের পক্ষ থেকে(যদিও আমারে গন্যমান্য মনে করার দরকার নাই আর আমিই ছিলাম সবার মধ্যে ছোট মাত্র ১৫বছর)।
রাত্রেবেলা আমরা বসেবসে এটিএন
বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার,ইন্ডি
পেন্ডেন্টের মেয়ে রিপোর্টার এবং আরো অনেকে গল্প করতেছিলাম।
রাত ১২টা স্বভাবতই ভৌতিক গল্প শুরু হয়ে গেল।তো এটিএন বাংলার রিপোর্টার মাহফুজ ভাই দেখাল তার গলায় ব্লেড দিয়ে কাটা কয়েকটা দাগ।এইটা নাকি ভুতে কাটছে।পরে আমরা সবাই জিগ্যাসা করার পর বললেন এইটা নাকি শিবির করছে।(বলে রাখা দরকার তখন আমি শিবিরের
সামান্য সমর্থক ছিলাম।এই কথা শুনার পর শিবিরের প্রতি খারাপ
ধারনা তৈরি হল)তখন শুরু হল
শিবিরকে নিয়ে আলোচনা। শিবিরের সম্পর্কে মাহফুজ ভাইয়ের
কথাগুলো আপনাদের কাছে উপস্হাপন করছি
শিবির চায় মেয়েদের প্যাকেট
কইরা ঘরে বসায়া রাখতে(তখন
বুঝতে পারলাম উনি একটা নাস্তিক)।ওরা ইসলামী আইন মানে হাতকাটা,চাবুক মারা এইসব চালু
করতে চায়।শিবিরের পতিতালয়, মদের ব্যাবসা এইসব খারাপ প্রতিষ্ঠান বাদে সব প্রতিষ্ঠানই আছে।এদের কোচিং সেন্টার আছে।সেখান থেকে প্রশ্ন ফাস করে বিভিন্ন জায়গায় তাদের ঢুকায়। ফলে কৃতগ্গতা স্বরুপ তারা শিবির করে।ওরা বিভিন্ন কলেজ দখল নিয়া তাদের সমর্থক বাড়ায়।
ছাত্রলীগ, বিএনপি যৌথভাবে আক্রমন করেও কলেজ থেকে তাড়ানো যায়না।ওরা ইসলামের
কথা বইলা সবাইরে দলে আনে। ওরা হইল জঙ্গি।তা না হলে কিভাবে তারা হাতকাটা ব
দেয়।
এরপর আমি শিবিরকে আরো ভালভাবে বুঝতে পারলাম।
উনি শিবিরের দুর্নাম করতে গিয়ে আসলে গুনগুলো ফুটায়ে তুলছে।
২০১৩সালে শিবির জীবন
দিয়ে প্রমান করল তারাই আসলে যোগ্য নেতা।আমি ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন