ইসলামী রাজনীতি

লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসলিম ১৫ জুলাই, ২০১৩, ০৫:১৮:৩৬ সকাল

Kamruzzaman Khan

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধেয়র

মানবতাবিরোধী ইসলামবিদ্বেষী পৃথিবীতে বিপর্যয়

সৃষ্টিকারী আদর্শহীন সেকুলার সাম্প্রদায়িক

গোষ্ঠী ইসলামী রাজনীতি বন্ধ ও সেকুলার রাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠার পক্ষে যে সব যুক্তি প্রদর্শন

করে থাকে সেগুলো হলো :

সেকুলারদের দাবি হলো আমাদের মহান

মুক্তিযোদ্ধারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার

জন্য যুদ্ধ করেছেন অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের

চেতনা হলো ধর্মহীন চেতনা। তাই মুক্তিযুদ্ধের

প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য

দাবি হচ্ছে ধর্মহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা

প্রতিষ্ঠা করা বিশেষ করে ইসলামমুক্ত রাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠা করা। সেকুলাররা যে কত বড়

মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ ও প্রতারক এটা তাদের

উপরোক্ত যুক্তি থেকেই প্রমাণিত হয়। ১৯৬৬

সালে শেখ মুজিবুর রহমান

ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং এই কর্মসূচির

ভিত্তিতে ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ

করেন। ৬ দফার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের

কথা ছিল না। শুধু তাই নয়, নির্বাচন

উপলক্ষে প্রচারিত কিংবা দলীয় প্রধানের রেডিও-

টিভির ভাষণের কোথাও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল না। ১৯৭০ সালে জনগণ

আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে পাকিস্তানি জালেম

শাসকদের থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির

আশায় ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের প্রত্যাশায়।

জনগণের কাছে কখনোই ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য ভোট

চাওয়া হয়নি এমনকি মহান

মুক্তিযোদ্ধারা ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য

শাহাদত বরণ করেননি। যারা বলেন

মুক্তিযোদ্ধারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার

জন্য লড়াই করেছেন তাদের কাছ থেকে জানতে চাই

’৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের কয়জন

সেকুলারিজম বুঝতো এবং শেখ মুজিব কি ৭ মাচের্র

ভাষণে ধর্মনিরপেক্ষ মতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য

জনগণকে আহবান জানিয়েছেন? জিয়াউর রহমান

কি তার স্বাধীনতার ঘোষণায় সেকুলারিজম

প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন? সেকুলারিজমের

কথা তারাই বলেন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ

না করে কলকাতায় হোটেলে রাত কাটিয়েছেন

এবং নর্তকীদের অশ্লীল নৃত্য আর মদ

সেবনে নিয়োজিত ছিলেন।

সেকুলারদের দ্বিতীয় যুক্তি হলো ধর্মভিত্তিক

রাজনীতি সন্ত্রাসী রাজনীতির জন্ম দেয়। কাজেই

সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সেকুলার রাষ্ট্র

গড়তে হবে। অর্থাৎ সেকুলারদের দাবি হলো সেকুলার

রাষ্ট্রব্যবস্থাই সন্ত্রাসমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থার

নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে। কিন্তু

বাস্তবে আমরা কী দেখতে পাই?

বাস্তবে আমরা দেখতে পাই সেকুলারব্যবস্থা

বিশ্বে কম বেশি গত দুই শত বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত

আছে। এতে মানবজাতির অকল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ

ঘটিত হয়নি। সেকুলারিজমের কুসন্তান

হলো কমিউনিজম ও ফ্যাসিবাদ এবং উগ্র-পুঁজিবাদ।

এই উগ্র-পুঁজিবাদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সম্পদ

লুট করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়

নিয়ে যাওয়া হয়। সেকুলার শাসকরাই

বিশ্বে দেশে দেশে উপনিবেশ বানিয়েছে।

এমনকি আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করেন তারাও

সাম্রাজ্যবাদী সেকুলারদের দাস। কেউ আমেরিকার

দাস, কেউ চীনের দাস, কেউ রাশিয়ার দাস, কেউ

ভারতের দাস। সেকুলার শাসকদের কারণেই

বিশ্বে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে।

ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান,

ইরাক এসব দেশে সেকুলার সাম্রাজ্যবাদী ও

ধর্মহীন-ধর্মবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই রক্তপাত

ঘটেছে। ফ্রান্স ও ব্রিটিশ সেকুলার

অপশক্তি এবং তাদের উম্মত কামাল আতাতুর্ক

মুসলিমদের ঐক্যের প্রতীক

উসমানি খিলাফতকে ধ্বংস করে তুরস্কে কুফর মতবাদ

সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করে গোটা মুসলিম

উম্মাহকে খ- বিখ- করে তথাকথিত সেকুলার

জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের জন্ম দেন। মূলত যখন

থেকে ইসলামের পবিত্র ভূমিগুলোতে কুফর সেকুলারইজম

প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে তখন থেকে পবিত্র

ভূমিগুলোতে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, দুর্নীতিসহ

হাজারও অপরাধ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর

বাংলাদেশের কথা যদি বলতে হয়

বাংলাদেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির জন্ম দেন চারু

মজুমদার প্রমুখের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একদল উগ্র

বামপন্থী গোষ্ঠী। বিশ্বে এমন কোনো নজির নেই

যেখান

থেকে আমরা জানতে পারবো যে কোনো ইসলামপন্থী ছা

কর্তৃক শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে,

মহিলা পুলিশের সাথে যৌনকর্ম করার

প্রচেষ্টা করা হয়েছে, শিক্ষিকার সাথে অশ্লীল

আচরণ করা হয়েছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্

ববিদ্যালয়ে ভিন্ন

আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্রকে জোরপূর্বক

মিছিলে নেয়া হয়েছে। সে দিন জানতে পারলাম

কলেজের এক ছাত্রকে জোরপূবর্ক মিছিলে নিয়ে যায়

ছাত্রলীগ নেতারা। সাধারণত ছাত্রলীগ তাদের

মিছিলে জয় বাংলা স্লোগান ব্যবহার করে কিন্তু

যে ছেলেটিকে জোরপূর্বক মিছিলে নেয়া হয়

সে ছেলেটি ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী তাই তার মুখ

থেকে জয় বাংলার পরিবর্তে নারায়ে তাকবির

আল্লাহ্ আকবার মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়।

পরে ছাত্রটিকে তার এই অপরাধের কারণে বেদম

প্রহার করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে সশস্ত্র সংগঠন

সৃষ্টির পেছনে উগ্র সেকুলাররাই দায়ী।

সারা বিশ্বে মুসলমানদের ওপর বর্ণনাতীত জুলুম

নির্যাতনের প্রতিবাদেই এই সমস্ত সশস্ত্র সংগঠনের

জন্ম হয়েছে। ফিলিস্তিনে সশস্ত্র সংগঠন

সৃষ্টি হয়েছে ইসরাইলের জুলুম প্রতিহত করার জন্য।

ইরাকে, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে সশস্ত্র সংগঠন

সৃষ্টি হয়েছে দেশকে মার্কিন আধিপত্য থেকে মুক্ত

করার জন্য। মালিতে সশস্ত্র সংগঠন

সৃষ্টি হয়েছে ফ্রান্সের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার

বিরুদ্ধে। মুসলমানদেরকে অস্ত্রমুক্ত করার

পূর্বে আগে আমেরিকা, ইসরাইল ও ভারতকে অস্ত্রমুক্ত

হতে হবে। ইসলামী রাজনীতি সন্ত্রাস

সৃষ্টি করে না বরং সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ করে।

তারপরও যারা ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের লেভেল

এঁটে দিতে চায় তারা মূলত

বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী নব্য

উপনিবেশবাদী শক্তির লেজুড় ছাড়া আর কিছু নয়।

কারণ এ লেভেল লাগানোর কাজটি সাবেক মার্কিন

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের

নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদী শক্তির মাধ্যমেই শুরু হয়

এবং এখনও চলছে।

সেকুলারইজমের পক্ষে তৃতীয় যুক্তি হলো ধর্মভিত্তিক

রাজনীতি বা ইসলামী রাজনীতি সাস্প্রদায়িক

রাজনীতি জন্ম দেয়। কাজেই সাম্প্রদায়িকতামুক্ত

বাংলাদেশ গড়তে হলে ইসলামী রাজনীতি বন্ধ

করতে হবে। সেকুলারদের বুদ্ধি যে কতটুকু ভ্রষ্ট

হয়ে পড়েছে তা উপরোক্ত যুক্তি থেকে প্রমাণিত।

সেকুলারদের প্রথমত যেটা বোঝা দরকার

তা হলো পৃথিবীতে মাত্র দু’টি সম্প্রদায়

আছে একটি হলো মুসলিম আর অপরটি হলো অমুসলিম।

সেকুলাররা অমুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

দ্বিতীয়ত যে জিনিসটি বোঝা দরকার

তা হলো সাম্প্রদায়িকতা বলতে কী বোঝানো হয়?

সাম্প্রদায়িকতা মানে হচ্ছে কোন সম্প্রদায় যখন

অন্য কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোন

প্রচার প্রপাগান্ডা চালায়, তাদের ন্যায়সঙ্গত

স্বার্থের অন্যায়ভাবে বিরোধিতা করে। ইসলাম

কোনভাবেই এটাকে সমর্থন করে না। বরং ধর্মহীন

রাজনীতিই সাম্প্রদায়িকতার উৎস। ভারত আর

মিয়ানমারতো সাংবিধানিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ

রাষ্ট্র তাই বলে কি ভারতকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র

বলা যায়? বরং আমরা দেখতে পাই ভারত

একটি ধর্মহীন রাষ্ট্র আর সেই

সাথে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রও বটে। ভারতের

মতো বাংলাদেশকেও ধর্মহীন ও সাম্প্রদায়িক

রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে যেমন নাস্তিক

ব্লগার রাজিবের হত্যাকারী কে তা তদন্তে উদঘাটন

না করেই জামায়াতকে দায়ী করা হয়

এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়

অথচ বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের হত্যাকারীদের ভিডিও

ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এ কথা বলা হয়নি ছাত্রলীগ

ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক খুন করেছে এ জন্য

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। কাজেই

আমরা বলতে পারি মূলত সেকুলাররাই সাম্প্রদায়িক

রাজনীতি চর্চা করে। আর ইসলাম গোটা মানবজাতির

কল্যাণ ও হিদায়তের জন্য আল্লাহ্প্রদত্ত

জীবনব্যবস্থা। আরেকটি মজার বিষয়

হলো যারা ইসলামী রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িক

বলে মন্তব্য করে থাকে তারাই আবার ইসলামের

একটি অন্যতম পরিভাষা ‘শহীদ’ শব্দটি নাস্তিক

সেকুলারদের জন্য ব্যবহার করে থাকে।

আমি তীব্রভাবে দাবি জানাচ্ছি কোন নাস্তিক

বা সেকুলারের ক্ষেত্রে যেন ইসলামের শহীদ

পরিভাষাটি ব্যবহার করা না হয়। শহীদতো একমাত্র

তিনি যিনি আল্লাহর জমিনে আল্লাহ্প্রদত্ত দ্বীন

ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা ও সকল প্রকার জুলুম নির্মূল

করে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার

খেলাফতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু বরণ

করেন। সুতরাং নাস্তিক ও সেকুলারদের শহীদ হওয়ার

কোন সুযোগ নেই।

ধর্মহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে চতুর্থ

যুক্তি হলো মানুষের শুধু ব্যক্তিগত জীবনের সাথেই

আল্লাহ্ তায়ালা ও ধর্মের সম্পর্ক থাকবে,

রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধর্মের সম্পর্ক থাকবে না কারণ

ধর্ম ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রের জন্য নয়। এ

দর্শনটি নির্ঘাত এমন অর্থহীন দর্শন যার

সাথে বুদ্ধির কোনোরূপ সম্পর্কই নেই। আল্লাহ্

তায়ালা এবং মানুষের মধ্যকার ব্যপারটি কেবলমাত্র

দু’টি অবস্থা ছাড়া কিছুই হতে পারে না। আল্লাহ্

তায়ালাকে মানুষ হয় একমাত্র ইলাহ্ (বিধানদাতা)

হিসেবে গ্রহণ করবে না হয় প্রত্যাখ্যান করবে।

যদি আল্লাহ্কে ইলাহ হিসেবে স্বীকার করা হয়

তাহলে জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর আইন

মেনে চলতে হবে এখানে ব্যক্তিজীবন আর রাষ্ট্রীয়

জীবনের মধ্যে পার্থক্য করার কোন সুযোগ নেই।

বাস্তবিকই যদি আল্লাহকে মালিক ও ইলাহ (শাসক)

হিসেবে স্বীকার করা হয় তাহলে এটা কেমন

করে এটা সম্ভব যে আল্লাহর ভূমিকা (লঁৎরংফরপঃরড়হ)

শুধু এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের

সীমারেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে আর যেখান

হতেই এক এক ব্যক্তির- দুই লোকের সামাজিক সম্পর্ক

আরম্ভ হয়, সেখান থেকেই আল্লাহর হুকুম উধাও

হয়ে যাবে? সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন,

আন্তর্জাতিক জীবন থেকে আল্লাহর বিধান

প্রত্যাখ্যান করা আল্লাহর

বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ বৈ আর কী? এ বিদ্রোহের

সাথে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত

জীবনে আল্লাহকে এবং তার দ্বীনকে মেনে থাকি এ

দাবি শুধু ঐ ব্যক্তিরাই করতে পারে যারা বুদ্ধির

মাথা খেয়েছে। এক

ব্যক্তি একা একা আলাদা আলাদা আল্লাহর

বান্দা হবে, কিন্তু আলাদা আলাদা বান্দাগণ যখন

মিলিত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরি করে নেবে তখন

আর তারা তার বান্দা থাকবে না এর চেয়ে অর্থহীন

কথা আর কিই বা হতে পারে? পারিবারিক জীবনে,

মহল্লার জীবনে, স্কুল, কলেজ, হাটবাজারে,

পার্লামেন্টে, হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে,

সেনাবাহিনীতে, পুলিশ লাইনে, যুদ্ধের ময়দানে,

সন্ধি চুক্তিতে যদি আল্লাহর হিদায়াতের প্রয়োজন

না থাকে তবে শেষ পর্যন্ত তার প্রয়োজন

থাকে কোথায়?

মানুষের ব্যক্তিগত জীবন (ঢ়বৎংড়হধষ ষরভব)

আসলে কোন বস্তুর নাম নয়। মানুষ একটি সামাজিক

জীব। এই পার্থিব জগতে আসার সাথে সাথেই

সে একটি পরিবারে চক্ষু উন্মীলিত করে থাকে।

বুদ্ধি-বিবেচনা হওয়ার সাথে সাথেই তার

একটি সমাজের সাথে, জাতির সাথে, শাসনব্যবস্থার

সাথে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার

সাথে সম্পর্ক জুড়ে নেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়।

তিনিই হলেন একমাত্র আল্লাহ যিনি মানুষকে এ সকল

সম্পর্কের সঠিক সুবিচারী ও চিরন্তনী নীতি ও

সীমারেখা অঙ্কিত করে দিয়ে থাকেন। যেখানেই

মানুষ আল্লাহর হেদায়াত ও নির্দেশ হতে মুখ

ফিরিয়ে নিয়েছে সেখানেই দেখা দিয়েছে জঞ্জাল,

সেখানে যেমন থাকে না কোন নীতির বালাই

তেমনি থাকে না ইনসাফ, ন্যায়নীতি ও সততা।

অতএব আজ মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব

হলো সেকুলারইজমকে প্রত্যাখ্যান

করে পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করা। আর

হাদিসে রাসূল (সা) বলেছেন জালিম শাসনের পর

আবার ইসলামের খেলাফতের শাসন ফিরে আসবে। তাই

পুনরায় তাওহিদের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার এখনই

সময়।

বিষয়: রাজনীতি

৮৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File