সেদিন থেকে লতিফ ছিদ্দিকী ঘরে আর ঢুকছেন না, খাওয়া দাওয়া, ঘুম সব বাইরেই করছেন
লিখেছেন লিখেছেন বেদনা মধুর ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৫৪:৪২ রাত
এক সাংবাদিক লতিফ ছিদ্দিকীর সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে রীতিমত থ বনে গেছেন। লতিফ সাহেব ঘরের বাইরে বাগানে হাটছিলেন। সাংবাদিক সাহেব মত বিনিময়ের পর বললেন স্যার আপনার একটা সাক্ষাতকার নিতে এসেছি। একটু যদি ঘরে বসতেন। লতিফ সাহেব বললেন, আমিতো সেদিন থেকে আর ঘরে ঢুকছিনা।
সাংবাদিক। কেন স্যার? ঘরে ঢুকছেন না কেন?
লতিফ= আর বলবেন না। নেত্রীকে খুশি করার জন্য সেদিন একটি কথা বলেছি, এখন দেখা যাচ্ছে আমার জান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে।
সাংবাদিক, একটু বিঝিয়ে বলবেন স্যার?
ঠিক আছে এখানে বাইরেই বসেন। তারপর কি যেন বলছিলাম? ও হ্যাঁ আমার বক্তব্য শুনে সেদিন কিছু মানুষ এসেছিল। আমি আজকের মত বাগানে হাঁটছিলাম। তারা বারবার আমাকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে অনুরোধ করছিল। আমার একটু সন্দেহ হলে জানতে চাইলাম ঘরে কেন? আমরাতো বাইরেও কথা বলতে পারি। তারা বল্ল, না স্যার, বাইরেতো আপনাকে হত্যা করতে পারব না। আপনি তো ঘরে ঢুকেই হত্যা করতে বলেছেন। তাহলে বাইরে কিভাবে হত্যা করব?
তাদের কথা শুনে আমিতো আশ্চার্য হয়ে গেলাম। বললাম যারা হরতাল করে তাদেরকে ঘরে ঢুকে হত্যা করতে বলেছি।
তারপর তারা কি বল্ল শুনবেন?
জি বলেন স্যার।
তারা বল্ল, আপনারা বিরোধী দলে থাকতে আরও বেশি হরতাল করেছেন। তখন কেও ঘরে ঢুকে হত্যা করতে আদেশ দেয়নি তাই আমরাও আসিনি। এখন আপনি যেহেতু আদেশ দিয়েছেন, হরতাল করলে ঘরে ঢুকে হত্যা করতে হবে, তখন ভাবলাম আগে আপনারা হরতাল দিয়েছেন, আবার হত্যার আদেশটিওও আপনি দিয়েছেন। তাই চলে আসলাম আপনার বাড়িটে। এবার ঘরে ঢুকুন।
বুঝলেন সেই থেকে আমার মাথায় ভয় ঢুকে গেছে।
এবার বুঝলেন তো কেন ঘরে ঢুকতে পারছি না?
হ্যাঁ বুঝেছি স্যার। আচ্ছা স্যার তারা কি তারপর চলে গিয়েছিল?
চলে যাচ্ছে নাকি? অনেক করে বুঝিয়ে বললাম যে আমি আমার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইব। তখন তারা চলে গেছে।
সাংবাদিক, আপনি কি ক্ষমা চেয়েছেন?
তা আর পারলাম কই? নেত্রী তাতে রাজি না। উনি বললেন মাথা গেলে আপনারটা যাবে। কিন্তু আমার সোনার ছেলেদের উতসাহিত করতে এরকম বক্তব্য দরকার আছে। আপনি তো জানেন ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়। আপনাকে জনগণ হত্যা করলেও দলের তো আপনি উপকার করে গেছেন। আপনাকে আমরা চির দিন মনে রাখব।
উনার গলা দিয়ে কান্নার আওয়াজ আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে দেখে সাংবাদিক বললেন স্যার আপনি কাঁদছেন?
কাঁদবা না? আপনি তো দেখেছেন তারেকের ব্যাপারটা। তাকে দিয়ে খুন করিয়ে আবার তাকেই শেষ করে দিয়েছে।
সাংবাদিক, আপনি কাঁদুন স্যার। আমি আসি।
বিঃ দ্রঃ এই লেখা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন