যুবলীগ নেতার ধর্ষণের শিকার ৪র্থশ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্য

লিখেছেন লিখেছেন দুখু মিঞা ১৩ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৫৩:২১ সকাল

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে চট্টগ্রাম শহরে বেড়াতে নিয়ে হোটেল কক্ষে আটকিয়ে ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রশি টনাটানির জের সইতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে অবুঝ ওই শিশু ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। চাঞ্চল্যকর অথচ নিষ্টুরতম এ ঘটনাটি ঘটেছে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামে।

সুত্রে জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ভুলিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বেড়াতে নিয়ে যান নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রমজান মিয়া ।এরপর চট্টগ্রামের একটি হোটেল কক্ষে আটকিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ওই ধর্ষক যুবলীগ নেতা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেবার জন্য ধর্ষক যুবলীগ নেতা পরবর্তীতে বিয়ে করার কথা বলে।

এ ঘটনায় বিভিন্ন জনের নানা কথা সইতে না পেরে ধর্ষিত ৪র্থ ছাত্রী গত ১১ জুলাই বাড়ীতেই বিষ পান করেছটপট করলে তাকে প্রথমে রামু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কক্সবাজারের রামুর পার্শ্বস্থ এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামে ঘটেছে হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাবেকুন্নাহারকেস্থানীয় ঘিলাতলী গ্রামের বেদার মিয়ার স্ত্রী শহরে বেড়ানোর কথাবলে ৪ জুলাই ঘর থেকে বের করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে হোটেলে উঠে রাতে বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রমজান মিয়াকে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে শিশু ছাত্রী সাবেকুন্নাহার (১১)। ওই হোটেলে ৩দিন ধরে রমজান মিয়া ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ৭ জুলাই বাড়িতে ফিরে আসলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়ে। সমাজপতিরা ধর্ষণে সহযোগিতা প্রদানকারী বেদার মিয়ার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করলে সে অকপটে ধর্ষণ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়। ধর্ষক যুবলীগ নেতা রমজান মিয়া ধর্ষণ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে শিশু ছাত্রীকে ৫লক্ষ টাকার কাবিন ও ৩ ভরি স্বর্ণ ধার্য করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হলে ধর্ষিত শিশু অপমান সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিষ পান করে। স্বজনরা তাকে তড়িৎ রামু হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থাআশঙ্কাজনকহওয়ায় ডাক্তাররা তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওইছাত্রী মারা যান। শুক্রবার লাশেরময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকালেস্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করাহয় ।

শিশু ছাত্রীর পিতা আবু তালেব জানান, আমার অবুঝ কন্যার মৃত্যুর জন্য রমজান মিয়াই দায়ী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

((collected by "Diganta Tv" page))

বিষয়: বিবিধ

১২৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File