শিরক উচ্ছেদকারী সাধকের কবর শিরক-ওরসের কেন্দ্র হতে পারে না

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ ২৯ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫১:৪১ সকাল

একথা সর্বজনবিদিত যে, আমাদের এই ভূখন্ডে ইসলামের প্রচার হয়েছে ওলী-দরবেশদের মাধ্যমে। তাঁরা মানুষকে ইসলামের দিকে ডেকেছেন এবং তাঁদের নির্মোহ জীবনযাপন মানুষকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করেছে। তাঁদের অনেকের নাম ইতিহাসে সংরক্ষিত আছে, অনেকের নাম সংরক্ষিত নেই।

আমাদের এ অঞ্চল যেসব বুযুর্গানে দ্বীনের মেহনত ও মুজাহাদার দ্বারা ঋণী তাদের মধ্যে হযরত শাহজালাল রাহ.-এর নাম উল্লেখযোগ্য। সুদূর ইয়েমেন থেকে তিনি এদেশে এসেছিলেন এবং জীবনভর ইসলাম প্রচার করে এখানেই শেষ শয্যা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় এই যে, সারাটি জীবন তিনি যে শিরক ও পৌত্তলিকতা পরিহার করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণের দাওয়াত দিয়েছেন তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর কবরকে কেন্দ্র করে সেই শিরকী কর্মাকান্ডই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ অবস্থায় হযরত শাহজালাল রাহ.-এর প্রকৃত ভক্ত ও তাওহীদপন্থী মুসলমানদের কর্তব্য হচ্ছে এসব শিরকী কর্মকান্ড নির্মূল করার চেষ্টা করা। আমাদের পূর্ববর্তী আলিমগণ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন, আমাদেরও কর্তব্য নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করা।

১৯৬৭ সালের মে মাসের এগারো তারিখে শাহজালাল রাহ.-এর মাযার প্রাঙ্গণে একটি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ সম্মেলনের প্রস্তাবনায় বহু নামজাদা আলেম স্বাক্ষর করেছিলেন।

এখানে ঐ প্রস্তাবনাটি উদ্ধৃত করছি :

বেরাদরানে ইসলাম! দ্বীনী শিক্ষাদীক্ষায় উদাসীনতার দরুণ অনেক মুসলমানের আকাইদ ও আমলে ভুল-ত্রুটি এমনভাবে শামিল হইয়া গিয়াছে যে, তাহারা ধর্মের নামে অধর্ম ও ঈমানদারির নামে নাফরমানী বেপরোয়াভাবে করিয়া যাইতেছেন। ইহার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। তাই আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ কয়েকটি মৌলিক বিষয় ও জরুরি আহকাম (যাহা কোরআন ও হাদীসে নির্দেশিত রহিয়াছে) প্রকাশ করিয়া মুসলমান ভাইগণকে সাবধান করিয়া দিতেছি যে, তাহারা যেন এইগুলোকে হৃদয়ঙ্গম করিয়া এর মোতাবিক নিজের আকীদা ও আমলকে শোধরাইয়া লন। নচেৎ কিয়ামতে আল্লাহ পাকের রহমত ও নাজাত হইতে বঞ্চিত থাকিবেন।

১ম. হযরত শাহজালাল মুজাররাদ ইয়ামানী রাহ. ও তাঁহার সঙ্গীয় ওলীগণ, যাঁহারা কুফর ও শিরকের দুর্ভেদ্য প্রাচীরকে ধুলিস্মাৎ করিয়া ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলিত করিবার মহান উদ্দেশ্য নিয়া তিন হাজার মাইল পথ অতিক্রম করিয়া জালালাবাদে পদার্পণ করেন এবং ঈমানী নূরে সারা পূর্ব অঞ্চলকে আলোকিত করার গৌরবময় ভূমিকা পালন করিয়া আজ সিলেট শহরে ও অন্যান্য অঞ্চলে অন্তিম শয্যায় শায়িত, আজ সেই হযরত শাহজালাল রাহ.-এর মাজারে উরুসের নামে নাচ, গান-বাজনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, হিন্দুদের অনুকরণে গরু সাজাইয়া শোভাযাত্রা করা, মাজারে আসিয়া মুসলমানরা কবরকে সেজদা, রুকু, তাওয়াফ, তাহার নামে শিরনী, মান্নত, বাতি প্রজ্জ্বলিত করা ইত্যাদি যেসব অনৈসলামিক ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ অনুষ্ঠিত হইতেছে এবং দিন দিন যাহা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়াই চলিতেছে ইহাতে সিলেট জেলার উলামাবৃন্দ, নেতৃস্থানীয় সুধীবৃন্দ ও জনসাধারণের এই সম্মেলন গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করিতেছে।

হযরত শাহজালাল রাহ. ও তাঁহার সাথী আউলিয়াগণ ও অন্যান্য মাজারকে কেন্দ্র করিয়া এইসব ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ গোটা মুসলিম জাতির পক্ষে এবং বিশেষত ধর্মপ্রাণ বলিয়া সুপরিচিত সিলেট জেলার মুসলমানদের পক্ষে কলঙ্ক ও লজ্জাজনক ব্যাপার। তাই অবিলম্বে এইসব কার্যকলাপ যাহাতে বন্ধ হয় তাহার আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই সম্মেলন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, দরগাহ কর্তৃপক্ষ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে জোর দাবি জানাইতেছে।

২য়. আল্লাহ রাববুল আলামীন সারা বিশ্বজগতের সংরক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের সর্ববিধ ক্ষমতা ও অধিকার নিজ হাতেই কেন্দ্রীভূত করিয়া রাখিয়াছেন। ইহার কোনো একাংশও কোনো মাখলুকের এখতিয়ারে ন্যস্ত করিয়া দেন নাই। সারা জাহান তাঁহারই ইলম ও কুদরতের ভিতরে। তিনি কাহারও মোহতাজ নহেন, সমস্ত মখলুকাত সদা সর্বদা তাঁহার মোহতাজ ও মুখাপেক্ষী। তিনি যাহা চাহেন তাহাই করেন, কেহই তাঁহার মোকাবেলায় প্রতিদ্বন্দী নাই।

৩য়. মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ পাক যুগে যুগে বহু নবী ও রসূল পাঠাইয়াছেন। আমাদের নবী সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁহার পর আর কোনো নবী আসিবেন না। তাঁহার নবুয়তের উপর ঈমান আনিয়া তাঁহার দ্বীন ও তরিকাকে গ্রহণ করা ব্যতিত মানুষের নাজাতের আর কোনো পথ বা তরিকা নাই, মারিফত বলিয়া আলাদা কিছু নাই; বরং মারিফত শরিয়তেরই অংশবিশেষ।

৪র্থ. নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সত্যিকার অনুসারী পরহেজগার মুত্তাকি বান্দাই আল্লাহর ওলি। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনের প্রচার ও সেবাই হয় ওলিজীবনের প্রধান কাজ। কোনো বেদ্বীনী কাজ সমর্থন করিয়া কোনো বন্দা ওলি হইতে পারেন না। আর এরূপ করিলে তিনি ওলি থাকিতেও পারেন না।

৫ম. দরগাহ শরীফকে কেন্দ্র করিয়া যেইসব অনৈসলামিক কার্যকলাপ অনুষ্ঠিত হয় তাহা বন্ধ করার আহবানে সাড়া দিয়া এবং ইহাতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিয়া দরগাহর মুতাওয়াল্লী জনাব আবু জাফর আবদুল্লাহ সাহেব যে ইসলাম দরদের পরিচয় দিয়াছেন এই সভা সেই জন্য তাহাকে শুকরিয়া জ্ঞাপন ও আন্তরিক মোবারকবাদ জানাইতেছে এবং এই আশা প্রকাশ করিতেছে যে, তাঁহার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এইসব কাজ অদূর ভবিষ্যতে বন্ধ হইয়া যাইবে। সম্মেলন এই ব্যাপারে তাহাকে সকল প্রকার সম্ভাব্য সাহায্য ও সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস দিতেছে।

বর্তমানে কবর ও মাজার উপলক্ষ করিয়া বহুবিধ বিভ্রান্তিকর ধারণা ও কার্যকলাপ সংঘটিত হইতেছে। তাই এই সম্বন্ধে শরীয়তের কতিপয় নির্দেশ ও আহকাম সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নে প্রদত্ত হইলঃ

১. কবর পাকা করা। ২. অতিরিক্ত চেরাগ বাতি জ্বালানো। ৩. কবরে শামিয়ানা ও ফুলের ঝাড় ইত্যাদি চড়ানো। ৪. কবরে সেজদা করা। ৫. চুমা দেওয়া। ৬. তওয়াফ করা।৭. কোনো ওলীর নামে মান্নত করা। ৮. আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কাহারও দোহাই বা কসম করা। ৯. নির্ধারিত তারিখে জমায়েত হইয়া তথায় উরুস বা উৎসব করা। ১০. কোনো মাজার বা ওলী সম্পর্কিত কোনো হালাল জিনিসকে হারাম মনে করা বা কোনো হারাম জিনিসকে হালাল ধারণা করা। ১১. আল্লাহর মসজিদ অপেক্ষা কোনো মাজারের ধারে বসিয়া বন্দেগী করাকে উত্তম মনে করা। ১২. মাজারে গিয়া হাজত চাওয়া। ১৩. মেয়ে লোকদের মাজারে যাওয়া। ১৪. গরু, ছাগল ইত্যাদি সাজাইয়া মাজারে পাঠানা বা ওলীর নামে জবাই করা ইত্যাদি। উপরোল্লেখিত কাজসমূহ শরিয়তে নিষিদ্ধ। ইহার কোনো কোনোটি শেরক এবং কোনো কোনোটি বেদআতের পর্যায়ভুক্ত। এমতাবস্থায় কোনো মাজারকে বাদশাহের দরবার ধারণা করিয়া তথায় নাচ-গান, মেয়ে-পুরষের অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি বেশরা কাজ বেপরোয়াভাবে করা এবং এইখানে এইসব দোষণীয় নয় মনে করা বা ঐসব কাজে এই ওলীর সন্তুষ্টি বা সমর্থন রহিয়াছে মনে করা অত্যন্ত গর্হিত ও জঘণ্য ইসলাম বিরোধী কাজ। শুধু তাহাই নহে; বরং এই সমস্ত কাজ দ্বারা ওলীকে অপমানও করা হয়।

অধিকন্তু সুন্নত মোতাবেক জিয়ারত করা, সদকা-খয়রাত করিয়া ছওয়াব রেসানী হইল শরীয়তসম্মত কাজ। অতএব উপরোল্লেখিত আকিদাতে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করিয়া বর্ণিত নিষিদ্ধ কাজগুলো হইতে বিরত থাকার জন্য আমরা মুসলমান ভাইগণকে আকুল আবেদন জানাইতেছি। আল্লাহ পাক যেন সবাইকে তাওফীক দান করেন। আমীন।

স্বাক্ষরকারীগণের নাম :

১. মাওলানা মোহাম্মাদ মুশাহিদ বায়মপুরী রাহ. ২. মাওলানা কাজী মোহাম্মাদ ইবরাহীম রাহ., সাবেক ইমাম জামে মসজিদ সিলেট। ৩. কাইদুল উলামা মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল করিম রাহ. (শায়খে কৌড়িয়া)। ৪. মাওলানা মোহাম্মাদ বশির আহমদ (শেখে বাঘা) রাহ. ৫. মাওলানা মোহাম্মদ হরমুজ উল্লাহ (তুড়খলা) রাহ. ৬. মাওলানা শামসুল ইসলাম (শেরপুরী) রাহ. ৭. মাওলানা মোহাম্মাদ আকবর আলী রাহ. সাবেক ইমাম, দরগাহ শাহজালাল রাহ. জামে মসজিদ ৮. মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক (বিশ্বনাথী) রাহ. ৯. মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুর রব রাহ. সাবেক মুহতামিম, কানাইঘাট মনসুরিয়া মাদরাসা। ১০. মাওলানা খলিলুর রহমান (সোনাতলা) রাহ. ১১. মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দীন (হাজিপুরী) রাহ. ১২. আবদুল হক চৌধুরী রাহ. সাবেক হেড মাওলানা গঙ্গাজল মাদরাসা ১৩. মাওলানা রিয়াসত আলী রাহ. সাবেক মোহাদ্দিস, রানাপিং মাদরাসা ও শাগরিদ, সাইয়্যেদ শাহ আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রাহ.। ১৪. মাওলানা মোহাম্মাদ ওয়াছিফ উল্লাহ (লাউয়াই) রাহ.। ১৫. মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল সালাম রাহ. সাবেক ইমাম, রিকাবী বাজার মসজিদ। ১৬. মাওলানা মোহাম্মাদ মাহমুদ রাহ., প্রেসিডেন্ট, ইমাম কমিটি সিলেট। ১৭. মাওলানা মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান রাহ. সাবেক ইমাম ভার্থখলা মসজিদ। ১৮. মাওলানা মোহাম্মাদ আলাউদ্দীন রাহ. সাবেক ইমাম, লামা বাজার জামে মসজিদ। ১৯. মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল খালিক রাহ. সাবেক ইমাম, ঝালপাড়া মসজিদ। ২০. মাওলানা মোহাম্মাদ ইবরাহীম রাহ. (চতুলী) শাগরিদে রশীদ, শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমুদ হাসান রাহ. (দেওবন্দী রাহ.) ২১. মাওলানা মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান রাহ. হাজিপুর মাদরাসা। ২২. মাওলানা মোহাম্মাদ নূরুল মোত্তাকিন রাহ. জাফরপুর। ২৩. মাওলানা মোহাম্মাদ ইখলাছুল মোমেনিন রাহ., জাফরপুর। ২৪. মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল বারি রাহ. লামা কাজি মাদরাসা। ২৫. মাওলানা আমীন উদ্দীন (শেখে কাতিয়া) কাতিয়া মাদরাসা। ২৬. মাওলানা মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান রাহ. সাবেক মোহাদ্দিস, সশুপুর মাদরাসা। ২৭. মাওলানা মোহাম্মাদ মতিউর রহমান রাহ. সাবেক মোহতামিম, ইছামতী মাদরাসা। ২৮. মাওলানা মোহাম্মাদ সমসুদ্দিন আহমদ রাহ. (ছাতক)। ২৯. মাওলানা মোহাম্মাদ আজিজুল বারী রাহ. সাবেক মোদাররিস, দরগাহ মাদরাসা। ৩০. মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল করিম রাহ. (নবিগঞ্জী) ৩১. মাওলানা মোহাম্মাদ শফিকুল হক (বুলবুল) রাহ. সাবেক মোহাদ্দিস, গাছবাড়ি মাদরাসা। ৩২. মাওলানা মোহাম্মাদ নূর উদ্দীন রাহ. (গহরপুরী)। ৩৩. মাওলানা মোহাম্মাদ শফিকুল হক আকুলী রাহ. (গাছবাড়ি)। ৩৪. মাওলানা মোহাম্মাদ লুৎফুর রহমান (খলিফায়ে শায়খুল ইসলাম রাহ.) বরুনী রাহ.। ৩৫. মাওলানা মোহাম্মাদ বদরুল আলম (শাইখে রেঙ্গা) রাহ.। ৩৬. শেরে জৈন্তা আল্লামা নাজীব আলী শ্রীপুরী রাহ.। ৩৭. আলহাজ্ব মাওলানা আবদুল লতীফ ফুলতলী রাহ.।

এছাড়াও আরও বহু আলেম ছাহেবান দস্তখত করেছেন। স্থানাভাবে নাম দেওয়া গেল না।

[তথ্য নির্দেশিকা : ১। ১১/৫/১৯৬৭ ইং তারিখে হযরত শাহজালাল রাহ.-এর দরগাহ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ মহাসম্মেলনের প্রস্তাবনামা।

২। সিলেটের উলামা-মাশাইখ আবেদনপত্র।]

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ জাতীয় মাযারের সাথে সাধারণ অজ্ঞ মুসলমানদের ভক্তির সম্পর্ক থাকলেও মাযার-পরিচালকদের জন্য তা অনেক বড় আয়ের উপায়। এর সাথে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অনেক মহলই জড়িত। সুতরাং এসব কর্মকান্ড প্রতিরোধ করলে অনেকের স্বার্থে আঘাত আসা ও তার প্রতিক্রিয়াও অনিবার্য। তবে বৃহত্তর সিলেট জেলার সকল আলিম যদি একসাথে এই অপকর্মসমূহ বন্ধ করতে আগ্রহী হন তাহলে তা অসম্ভব হবে না বলেই আমরা মনে করি। এই মিশনকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করে সাধারণ মানুষের ও মাযার সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা গঠন এবং প্রশাসন ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গের কাছে ইসলামের সঠিক শিক্ষা তুলে ধরে এসব অন্যায়-অনাচার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস চালানো যায়। এটি আমাদের দ্বীনী দায়িত্ব। আমর বিলমা’রুফ এবং নাহি আনিল মুনকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল তাওহীদের প্রচার এবং শিরক ও বিদআত বন্ধ করার প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে অবহেলা ও উদাসীনতার কোনো অবকাশ নেই। আমরা যদি হিম্মত করি এবং অগ্রসর হই তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আমাদের নুসরত করবেন।

আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিন আমীন।

তথ্যসূত্র- http://www.alkawsar.com/article/449

বিষয়: বিবিধ

১৩২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File