আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের মাস মাহে রমযান।
লিখেছেন লিখেছেন এমডাডুল হক পারভেজ ২৯ জুন, ২০১৪, ০৬:২৯:৫৪ সন্ধ্যা
আহলান সাহলান মাহে রমজান,
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ও শুরুহচ্ছে পবিত্র মাহে রমযান,
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সওম বা রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনভাবে তা তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার”। (সূরা বাকারা-আয়াত নং- ১৮৩) সুতরাং প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের রোজা ফরজ বা অবশ্যই পালনীয়।
আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের মাস,
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস
এবং আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন এবং নিজেকে আল্লাহ নেক বান্দা হিসেবে এবং আখিরাতে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভের জন্য পাথেয়ও অর্জন করার মাস।
মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল-কোরান অবতীর্ণ হয়েছে এই মাসে
তাই আল কোরানের সমাজ গঠন এবং আল কোরানের দেয়া আল্লাহর বিধান অনুযায়ী নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য এই মাস আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নেয়ামত,
বান্দা সারাদিন সকল প্রকার আহার থেকে বিরত শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আর সেই জন্য আল্লাহ এই মাসের প্রতিদান নিজ হাতে দিবেন তার বান্দা দেরকে,
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “রোজা একমাত্র আমারই জন্য রাখা হয় এবং আমিই তার বিনিময় দিব”। রোজা পালন অবস্থায় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয়না। রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ একটা ইফতারের সময় আরেকটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। রোজা কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।
এই মাসের মধ্যে হাজার মাসের চাইতেও উত্তম একটি রাত আছে। রমযানে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়। পক্ষান্তরে জাহান্নামের দরজা গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। রমজান মাসের রোজা অন্য দশ মাসের রোজার সমান। যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় সিয়াম পালন করে তার পূর্বের গুনাহ মাপ করে দেয়া হয়। আল্লাহপাক আমাদের প্রত্যেককে সঠিকভাবে সিয়াম ও কিয়াম সাধন করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)
বিষয়: বিবিধ
১০৬১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খাইরান...
মন্তব্য করতে লগইন করুন