ধর্মে নারী ধর্ষন......................................??
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীনতা ২২ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৪৩:৫৭ রাত
আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, যুদ্ধকালে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করা যে কোন সভ্য সমাজে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সে কারণে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যুদ্ধের আচরণবিধি সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশন প্রণয়ন করেছে। সম্প্রতি ইরাকের আবুগ্রেইব কারাগারে নারী যুদ্ধবন্দীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার বেশকিছু মার্কিন সৈন্যকে যুদ্ধের আচরণবিধি সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশন আইনের আওতায় এনে সাজা দেয়া হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বসোনিয়া যুদ্ধে নারী ধর্ষনকারী সার্বিয়ান সৈন্যদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশেও ১৯৭১ এর নারী ধর্ষকদের বিচার চলছে।
কিন্তু দুঃখজনক ভাবে পৃথিবীর ৩য় বৃহৎ ধর্ম ইসলামে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের বিষয়টি দোষের কিছু না। এটি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর হুকুম। কোরানের বিভিন্ন সুরা-আয়াতে দক্ষিহস্তের মালিকানাধীন যুদ্ধবন্ধি নারীদের দাসী বানিয়ে তাদের সাথে অতিরস্কারযোগ্য যৌনতার তাগিত দিয়েছে। সুরা ৩৩:৫০, ২৩:৬, ........... অনুরুপ আরো সুরা/আয়াত দেখা যেতে পারে।
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।
সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২
আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে যৌনাচারে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------সুরা( ৪: ২৪)।
সুরা নিসা ২৪ আয়াত এবং এই আয়াত নাজিলের পেক্ষাপট বর্ননায় ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে বুঝা যায় ইসলাম ধর্ম কোন রাখঢাক না করেই যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের অনুমতি দেয় ।
বিষয়: বিবিধ
৩৫১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন