আইয়্যামে জাহেলিয়া এবং ইসলাম ধর্ম বিধান....................

লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীনতা ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:২০:১৬ সকাল



প্রাক ইসলামিক আরবের সামাজিক অবস্হা কে বলা হয়- আইয়্যামে জাহেলিয়া। সাধারন ভাবে "আইয়্যামে জাহেলিয়া" বলতে বুঝায় সামাজিক অবিচার, অনাচার, পাপ, পংকিল এক অন্ধকার সমাজ। সে যুগে সমাজে বহু বিয়ের প্রচলন ছিল, পুরুষের যত খুশি তত বিয়ে করার নিয়ম ছিল। সমাজে অমানবিক ক্রীতদাসপ্রার প্রচলন ছিল, নরী ক্রীতদাসীরা ছিল পুরুষের ভোগের সামগ্রি। যুদ্ধ বিগ্রহে বিজয়ী পক্ষ পরাজিত বন্ধি পুরুষদের দাস বানিয়ে রাখত, তাদের সম্পদ লুট করত এবং বন্ধি নারীদের দখলে নিয়ে যৌননাচার ধর্ষন করত। আবার এমনও নিয়ম ছিল- অপেক্ষাকৃত দুর্বল গোত্র প্রধানরা সমাজের শক্তিশালি গোত্র প্রধান, রাজা-বাদশা কে উপহার, উপঢৌকন, সুন্দরী নারী সর্বরাহ করে খুশি রাখার চেষ্টা করত। মোটামুটি এই হছ্ছে জাহেলিয়া যুগের চাল চিত্র।

পরবর্তিতে ইসলাম ধর্মের আগমনের পর আরবের আইয়্যামের জাহেলিয়া যুগের খুব একটা পরিবর্তন হয় নি বরং জাহেল যুগের সুযোগ সুবিধা ১৬ আনা বহাল আছে। বিশেষ করে ইসলামের নবী-সাহাবীদের জীবনী এবং কোরান-হাদীসের সুস্পষ্ট বয়ান থেকে তাই প্রমানিত হয়- বিষয়টি এভাবে দেখা যেতে পারে ;

১। জাহেল যুগের বহু বিবাহ ইসলাম বহাল রেখেছে। (নবীজী মোহাম্মদ তার ব্যাক্তি জীবনে অনেক বিয়ে করেছেন এবং ইবনে কাথিরের বয়ান থেকে জানা যায় নবীজীর দৌহিত্র ইমাম হোসেন ৯১ টি বিয়ে করেছিলেন, কারো/কারো মতে আরো বেশি)

২। জাহেল যুগের ক্রীতদাস ইসলাম বহাল রেখেছে।

৩। কৃতদাসীদের সাথে পুরুষের অবাধ যৌনতার বিধান ইসলাম দিয়েছে।

৪। যুদ্ধবন্ধি পুরুষকে হয় হত্যা অথবা দাস বানিয়ে রাখা, যুদ্ধবন্ধি নারী(গনিমত) ধর্ষন/যৌন নির্যাতন এবং পরাজিত পক্ষের সম্পদ লুন্ঠন ইসলাম ধর্মে বৈধ।

৫। ইসলাম ধর্মের যখন জয়-জয়াকার(win win situation) তখন Byzantine Empire কাছ থেকে পাঠিয়ে দেয়া সুন্দরি নারী উপঢৌকন মারিয়া এবং শিরিক কে নবীজী মোহাম্মদ পুলকিত চিত্তে গ্রহন করেছেন(তিনি তা ফিরিয়ে দেন্নি, তিনি এই অত্যন্ত অমানবিক এবং অনৈতিক উপরহার/ব্রাইভ এর প্রতিবাদ করেন্নি)

আমার শেষ কথা- দেখুন ; আমি ইসলামের শত্রু না , ইসলাম ধ্বংস করা আমার কাজ না। ইহুদী-নাসারা-পৌত্তলিক ওদের আমি কেউ না। আমি র, মোসাদের এজেন্টও নই। এই ২১ শতকে স্রেফ মন এবং মানবতার তাগিদে এই কথাগুলো লিখতে হল। আশা করি অশ্লীল ভাষা পরিহার করবেন। ধন্যবাদ।

বিষয়: বিবিধ

২৬৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File