মুক্তিযোদ্ধা নাকি ভন্ডামি ! ! যে সংবিধান মহান আল্লাহর সর্বময় ক্ষমতা বিশ্বাস করেনা , ওই সংবিধানকে আমি টয়লেট পেপার মনে করি । গত বই মেলা থেকে একটা বাংলাদেশের সংবিধান কিনে ছিলাম । আজকে থেকে ওটার পৃষ্ঠা গুলো টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যাবহার করা শুরু করেছি ।ভালোই লাগছে ! আপনাদের কারো কাছেও সংবিধান থাকলে তা কাজে লাগাতে পারেন !
লিখেছেন লিখেছেন রাজনৈতিক ভূতুড়ে ডাইরি ০৭ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:১৩:০৪ রাত
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনলে সবার মাঝেই এক ধরনের গদগদ ভাব চলে আসে । ওরে বাপরে মুক্তিযোদ্ধা! কত মহান ব্যাক্তি!
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনলে আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগে !
আমরা প্রায়ই বলি পাকিস্তানি সৈন্যরা, রাজাকারেরা , আলবদরেরা , হেন করেছে , তেন করেছে, খুন করেছে ,ধর্ষন করেছে !
আচ্ছা সবই মানলাম ।মুক্তিযোদ্ধারা কি সাধু ছিল ?
কারও যদি বাবা , দাদা , বা বড় ভাই... মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে থাকেন, তাহলে তাকে একটু জিজ্ঞেস করে দেখবেন যে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কথিত মুক্তিযোদ্ধারা কি পরিমান খুন, ধর্ষন করেছে । ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ও ৭২ সালের জানুয়ারি তে এদেশে কি পরিমান খুন এবং ধর্ষন হয়েছে তা তখনকার সময়ের মানুষগুলো খুব ভাল বলতে পারবে । বিশ্বাস না হলে দাদা নানা দেরকে আজই জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন । যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হবার পর এদেশের সমস্ত মানুষজন ছিল আশ্রয়হীন, দুর্বল, এবং ভীতসন্ত্রস্ত ।
ঠিক এই সুযোগটাই গ্রহন করেছিল , তৎকালীন কথিত মুক্তিযোদ্ধারা । একেতো তারা ছিল সংগঠিত তার মধ্যে ছিল সবার হাতে অস্ত্র ! আর যায় কোথায় ! তারা অনেকেই ঐ অস্ত্রের জোরে ভীতসন্ত্রস্ত নারীদের কে সমানে ধর্ষন করেছে । অনেকেই জোর করে একজনে আরেকজনের বাড়ি দখল করে নিয়েছে । যাদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিল তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছে । ইতিহাসের পাতায় এটা " বাংলা স্বাধীন " নামে পরিচিত ।
পাকিস্তানিরা না হয় ভিনদেশী কুকুর । তারা কামড়াতেই পারে । কারন তারা আমাদের দেশী ভাই না । কিন্তু যারা এদেশকে স্বাধীন করার দাবীদার , তারা যদি এরকম কর্ম করে তাহলে তো তাদের প্রতি দ্বিগুণ ঘৃনা আসবেই । এটাই স্বাভাবিক ।
গত বছর " মেহেরজান " চলচিত্র টিতে পরিচালক অত্যান্ত সাহসিকতার সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১ পরবর্তী কুকর্ম গুলো তুলে ধরেছিলেন । আরা যায় কোথায় নাটের গুরুদের পাছা জ্বলা আরম্ভ হলো ! কয়েকদিনের ভেতরেই " মেহেরজান" চলচিত্রটা সত্য প্রকাশ করার অপরাধে নিষিদ্ধ হলো ! পরিচালক কে নাকি আর ছবি করার অনুমতি দেয়া হবে না ! ভালো তো ভাল না ? সত্য বললেও দোষ ! এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা সনদ পেলেই ১৪ গোষ্ঠি উদ্ধার ! এই ভাতা, সেই ভাতা, ছেলে মেয়ে নাতি পুতিদের এই কোটা , সেই কোটা ! বাহ ভালতো ! অথচ যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এই কথিত মুক্তিযোদ্ধারা কত মানুষকে যে ঘর ছাড়া করে অস্ত্রের জোরে তাদের বাড়ি দখল করেছে তার হিসাব নেই ।
তখন তাদের কোন বিচারও ছিলনা । কে বিচার করবে ,? তারা তো মুক্তিযোদ্ধা!!
যা হোক , আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর বিরক্ত হলেও এটা জানি , সব মানুষ সমান না । মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও ভাল মানুষ ছিল এবং আছে । যারা তাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাদের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি কুকুর গুলোর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল , তাদের প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি । কিন্তু যারা যুদ্ধের পর অস্ত্রের জোরে লুটপাট, খুন, ধর্ষন , দখলদারি করে মুক্তিযোদ্ধা নামটাকে আমার কাছে কলঙ্কিত করেছে ,এবং আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দেখিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে , তাদের প্রতি একরাশ ঘৃনা জানাই । এরপরে কথা থাকে --
৯৩% মুসলমানদের দেশে যদি শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নুরুল ইসলাম নাহিদের মত একজন নাস্তিককে বসানো হয়, তাহলে তো শিক্ষাব্যাবস্থায় নাস্তিক্যবাদেরপ্রসার ঘটবেই ।
একটি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তি গঠিত হয় তাদের প্রনীতশিক্ষা ব্যাবস্থার ভিত্তিতে ।
আমাদের দুর্ভাগ্য এই মুসলিম প্রধান দেশে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মত একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর তুলে দিয়েছেন নাস্তিকদের হাতে ।
দেেশর শিক্ষা মন্ত্রী বানি...য়েছেন এক নাস্তিককে আর
এন সি টি বির ( যাদের কাজ বই লিখা , ছাপানো , বিপনন ) মত একটি মহা গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন মোস্তফা কামাল উদ্দিন নামের এক মহা নাস্তিককে । এই দুই নাস্তিক অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে ইসলামকে উৎখাত করে চলেছেন ।
এরা ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ইসলাম শিক্ষা বইয়ের নাম দিয়েছে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা!
আরে ছাগলের বাচ্চা , ইসলাম হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নৈতিক ধর্ম । এটা অনেক ঘোর বিধর্মীরাও স্বীকার করে ।
স্বাধীনতার ৪২ বছরে আজ পর্যন্ত কোন সমস্যা হলো না , আর তোরা এবার ক্ষমতায় এসেই ইসলামের ভেতর কোন নৈতিকতা.খুজে পেলি না ? তাই ইসলামের পাশে নৈতিক শিক্ষা বসিয়ে দিলি! নাকি এটার মাধ্যমে তোরা প্রমান করতে চাস ইসলাম জঙ্গীবাদী ধর্ম এর ভেতর কোন নৈতিকতা নাই?
দেবদেবীদের নামে জবাই করা পশু খাওয়াও তোরা আজকাল ইসলাম শিক্ষা বইতে হালাল করে দিচ্ছিস !
কবে জানি তোরা ইসলাম শিক্ষা বইতে লিখে ফেলিস দেবদেবীদের নাম নিয়ে সমকাম করলে তা হালাল ! তোদের দ্বারা কিছুই বিশ্বাস নেই!
যৌন শিক্ষার মত একটা ট্যাবু ব্যাপার তোরা কচি বয়সের ছেলে মেয়েদের মাথায় সুপরিকল্পিত ভাবে ঢুকিয়ে দিচ্ছিস। কচি বয়সেই ওদেরকে এ ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলাটা কি খুবই জরুরী ছিল? । কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে যে তোরা এরকম জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস খেলায় মেতে উঠেছিস তা আল্লাহই ভাল জানেন!
শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টাকে যে তোরা সুপরিকল্পিত ভাবে উঠিয়ে দিচ্ছিস , এর পরিনতি কিন্তু ভয়াবহ হবে । এমনিতেই ইসলামী জ্ঞানের অভাবে মানুষের নৈতিক মুল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাটে ইভ টিজিং এর মত অপরাধ মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । ইসলাম শিক্ষা উঠিয়ে দিলে তখন মানুষ নৈতিক মূল্যবোধ সম্পুর্ন হারিয়ে ফেলবে তখন জাতি খুন , ধর্ষন সহ মারাত্মক সব অপরাধে জরিয়ে পরবে ।
জাতি পৌছে যাবে ধ্বংসের চূরান্ত সীমায় ।
তাই এমন জাতি বিধ্বংসী কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধ করুন ।
পোস্টটা হয়তো অনেকের কাছে বিতর্কিত মনে হতে পারে । কিন্তু যা সত্য তাই বলেছি । ভূল হলে ক্ষমা করবেন । কারো মনে আঘাত দেওয়া আমার লিখার উদ্দেশ্য না ।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন