যে স্ট্যাটাসটির কারনে ওয়াহিদুজ্জামান ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা......
লিখেছেন লিখেছেন মন্টি পাগলা ০৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:৩০:০২ রাত
দেশে নতুন একখান আইন হয়েছে, যার নাম তথ্য কুযুক্তি থুক্কু প্রযুক্তি আইন ।
আইনটি করার মূল উদ্দেশ্য ভূয়া সাউথ সাউথ এওয়ার্ড পাওয়া শেখ হাসিনা, তার ছেলে তথ্যবাবা এবং তার দলের চোর ডাকাত খুনি লুটেরা ধর্ষনকারীদের সম্মানের সুরক্ষা দেয়া ।
তার মানে চুরি, ডাকাতি, ধর্ষন, হত্যা এগুলো তারা করতে থাকবে কিন্তু আমরা তা ফেইজবুক, ব্লগের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবোনা, প্রকাশ করলেই ঐ চোর ডাকাত লুটেরা খুনিদের অবমাননা করা হবে ।
চোর ডাকাতেরও তো একটা সম্মান আছে তাইনা ।
যাই হোক, এই কালা কানুন সংসদে পাশের পর সম্ভবত এর প্রথম শিকার হলেন সুন্দরবন ইস্যুতে যিনি ফেইজবুক, ব্লগে ঝড় তুলেছেন এবং একইসাথে ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ লংমার্চে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছেন সেই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এপোলো ভাই ।
একটি হাস্যকর অভিযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের মেধাবী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ।
বিজ্ঞ মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভূইয়া কোন স্ট্যাটাসটিকে আমলে নিয়ে এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে তা কি কেউ জানেন.....?
তিনি নাকি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন,
“টিভিতে বড় বড় স্ক্রলে দেখাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও আইটি স্পেশালিস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়, এর আগে দেখাতো, প্রতিবন্ধী বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ালেখা শেষে কয়েকটা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়ে আইটি স্পেশালিস্ট, আর নিজের প্রতিবন্ধী সন্তান লালন পালন করে প্রতিবন্ধী বিশেষজ্ঞ। মায়ের আবার রয়েছে দেড় ডজন ডক্টরেট ডিগ্রি। হে হে হে পুরাই বিজ্ঞানী পরিবার। ভাগ্যিস প্রকৃত বিজ্ঞানী বাবাকে এইসব প্রতিভার বিকাশ দেখতে হচ্ছে না।”
বাদী মামলায় দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আসামির এসব অশ্লীল কটুক্তি দেশ-বিদেশের সবাই দেখেছে। ফলে দেশ-বিদেশে তার মানহানী ঘটেছে।
ভাই ও বোনেরা আপনার নিজেরাই দেখুন উপরের এই স্ট্যাটাসটিতে কোথায় শেখ হাসিনাকে বা তার চৌদ্দগুষ্ঠির বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করা হয়েছে.....?
যে নারী ভূয়া সাউথ সাউথ এওয়ার্ডের খবর প্রচার করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে, যার ছেলে আমেরিকায় তিন তিনবার গ্রেফতার হয়েছে মদ খেয়ে গাড়ী ড্রাইভ করার অপরাধে, তাদেরকে নিয়ে এই সামান্য দুটি কথা বললেই তাদের মানহানী করা হয়....?
এই হলো বাংলাদেশের বর্তমান মত প্রকাশের স্বাধীনতা ।
এদেশে রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে চটি-গল্প লিখলে পুরষ্কৃত করা হয় আর শেখ হাসিনা, জয়ের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে জেলে যেতে হয়.....!!!
তাই বলে আমাদের কলম থেমে থাকবে না ম্যডাম লেডি হিটলার, আপনি হাজার হাজার গ্রেফতার করে, হত্যা করে কি পেরেছেন আমাদের কন্ঠরোধ করতে....? পারেননি....
তাহলে কি করে ভাবলেন এবার পারবেন.....?
ম্যাডাম, ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে নিন, পালাবার সময় হলো যে..........
দিন বাকি আর কতো......????
........লেখকের আরো লেখা ফেইজবুকে পড়ুন, এই লিঙ্কে ।
বিষয়: বিবিধ
২৬৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন