“কোন ধরনের অপরাধে গোলাম আযমের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়নি”, তবু কেন ৯০ বছরের জেল..?

লিখেছেন লিখেছেন মন্টি পাগলা ১৫ জুলাই, ২০১৩, ০৪:১০:২২ বিকাল



“কোন ধরনের অপরাধে আযমের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়নি”---- বিচারপতি ফজলে কবির ।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। আর পৌনে ১১টায় বিচারপতিরা এজলাসে আসন নেন।

মোট ২৪৩ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে ৭৫ পৃষ্ঠা সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ে শোনানো হয়।

রায় পড়ার আগে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির রায় সম্পর্কে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যে ৫ ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রসিকিউশন তাতে তার প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ততার প্রমাণ করতে পারেনি।

রায়কে একটি ব্যতিক্রম রায় উল্লেখ করে ফজলে কবির বলেন, কিন্তু এটি একটি ব্যতিক্রম রায়। মূলত ’৭১ প্রকাশিত পত্রপত্রিকার ডকুমেন্টের ভিত্তিতে তার বিচার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যক্ষভাবে গোলাম আযম কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন, কিন্তু একটি দলের নেতা হওয়ায় ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ হিসেবে তিনি ওই সময়ে সারা দেশে তার দলের নেতাকর্মীদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না। কারণ এসব অপকর্মের জন্য তিনি তাদের নিষেধ বা শাস্তি দেননি।

নিউজ লিঙ্ক

এখন প্রশ্ন হলো, যদি মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের অপরাধের শাস্তি কেন্দ্রীয় নেতা কে পেতে হয়, তবে দেশব্যপী আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের খুন-ধর্ষন-চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজীর শাস্তি নেত্রী হিসেবে কি শেখ হাসিনার পাওয়া উচিত নয়.....?

কেউ কি দেখেছেন, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগের কোন কেন্দ্রীয় নেতা কে আসামী করা হয়েছে.....?

কিংবা সারা দেশে গত পৌনে পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ যত হত্যা-ধর্ষন-চাদাবাজী-ভাংচুর-সন্ত্রাস চালিয়েছে তার জন্য শেখ হাসিনা কে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ হিসেবে আসামী করতে..?

তাহলে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির-বিএনপির জন্য এক ধরনের আইন আর আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য অন্য ধরনের আইন ।

তাছাড়া বিচারপতি ফজলে কবির আরো বলেছেন, কেবলমাত্র ’৭১ এ প্রকাশিত পত্রপত্রিকার ডকুমেন্টের ভিত্তিতে তার বিচার করা হয়েছে । ভাবুনতো একবার কি লোমহর্ষক কথা....!

পত্রিকায় তো সত্যি মিথ্যা কতো কিছুই লেখে, যেমন জনকন্ঠ পত্রিকা প্রতিদিন পৃষ্ঠা ভরে ভরে ঠাকুরমার রূপকথা লেখে, তাই বলে কি সেই রেূপকথার ভিত্তিতে আপনি কাউকে ফাঁসিতে চড়িয়ে দেবেন...? বাহ ! বাহ ! বেশ ! বেশ !

শুধুমাত্র কিছু পেপার কাটিং দেখেই একজন বয়োঃবৃদ্ধ ভাষাসৈনিক কে ৯০ বছরের কারাদন্ড দেয়া আসলে আমাদের বিচারালয়ের চরম দেউলিয়াপনার-ই উৎকৃষ্ট উদাহরন হয়ে থাকল ।

সত্যিই যদি খুন-ধর্ষন-লুটতরাজের সাথে অধ্যাপক গোলাম আজমের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমান দেখাতে পারতো আওয়ামী লীগ তবে আমিও চলে যেতাম শাহবাগে, গোলাম আজমের ফাঁসির দাবিতে । কিন্তু আর দশটা সচেতন মানুষের মতোই আমিও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, শ্রেফ ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আওয়ামী-বামদের ইচ্ছাতেই এই সাজানো রায় দেয়া হয়েছে ।

তাহলে কি করে আমি একজন নিরপরাধ সাবেক ভাষাসৈনিকের শাস্তি দাবি করবো....?

আপনি ও কি পারবেন তার শাস্তি দাবি করতে....?

বিষয়: বিবিধ

২০১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File