রাষ্ট্র মাত্রই নিপীড়ক- এই নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে বিরোধীরা কী করছে ? মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তথা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা কী করছে- এসব নিয়েও প্রশ্ন করতে হবে।

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১৯ জুন, ২০১৬, ০৫:৪৯:৫৭ বিকাল

বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এক সময় এমনই পরিস্থিতি বিরাজ করেছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ইরানে।

এমন পরিস্থিতিতে কিছুর বলারও থাকে না, কিছু করারও থাকে না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়। একটা পর্যায়ে চোখের সামনেই দেখা যায় বড় পরিবর্তন বা বিপ্লব সংঘটিত হয়ে গেছে। সেই পরিবর্তনটা আনার জন্য কিছু করার থাকলে করা ভালো। এর বাইরে তর্ক-বিতর্ক করে কোনও লাভ হয় না।

ধরা যাক গুপ্ত হত্যা, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বা জঙ্গিবাদী হামলার কথা। যখনই কোনও রাষ্ট্র আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদের খপ্পরে পড়ে তখন এসব ঘটতে থাকে। এখানে কোনও ন্যায়-অন্যায় নেই। সবাই জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিয়ে রক্তপিপাসা মেটায়।

আর ঘটনাগুলো যেহেতু পরিকল্পিত, সেহেতু বিভিন্ন দফতরে যে সব রূপকল্পে লেখা আছে কার পরে কে খুন হবে, কোথায় কখন হবে-সেই রুপকল্প ধরেই একে একে হত্যাকাণ্ড ঘটে এবং ঘটবে বলে আগ্রহী মানুষের হাহাকার ম্যাচিউরড হতে না হতেই আরেকটা ঘটনা ঘটে যাবে।

এখানে একটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে, সেটার নাম প্রতিরোধ। কাজেই বিরোধী দল হিসেবে যারা নিজেদের দাবি করে তারা কি কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, তারা কি কোনও সংগ্রামের সূচনা করেছে, ঘোষণা করেছে আন্দোলন কর্মসূচি- এনিয়ে সমাজে প্রচুর কথা হওয়া দরকার।

ধরা যাক বিএনপির কথা। সেই জরুরি অবস্থা থেকে আজ পর্যন্ত এ দলটি কী করছে, দেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতে কী করছে ? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য কী করছে- এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে।

সাম্রাজ্যবাদী-সম্প্রসারণবাদী হস্তক্ষেপের সময় সরকারের সমালোচনা করার কোনও মানে নাই। প্রয়োজনও নাই। যারা এসব করে তারা প্রকৃত প্রস্তাবে সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ বা সরকারেরই লোক।

বরং বিরোধী পক্ষের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা, তাদের কর্মসূচি নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং জনগণের জন্য সংগ্রাম বাধ্য করাই হলো সঠিকতা, ন্যায্যতা।

রাষ্ট্র মাত্রই নিপীড়ক- এই নিপীড়ন থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে বিরোধীরা কী প্রতিরোধ করছে সেটাই বিবেচ্য। তা না করে নিপীড়নের সমালোচনা করার মাধ্যমে বিরোধী দল তার দায়িত্ব এড়িয়ে যায় মাত্র।

বিষয়: বিবিধ

১০২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372495
১৯ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
শেখের পোলা লিখেছেন : সরকারের পছন্দের বিরোধি দল হল ন-পুংষক আর প্রকৃত বিরোধিদল হল শৌচ ছাড়া। তারা চেষ্টা করেও পানির সন্ধান পাচ্ছে না। অতএব, এরা পরিত্যাজ্য। বরাদ্দ শাস্তি আল্লাহর।ভোগ করতেই হবে।। ধন্যবাদ।
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:১৩
309301
ডব্লিওজামান লিখেছেন : জী ভাই, আল্লাহর বরাদ্দ শাস্তি ভোগ করতেই হবে।।
372527
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:৪৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জন প্রতিরোধ কখনও স্বার্থবাদিরা গড়ে তুলতে পারেনা। কিন্তু যুলম কারি আপন অপরাধেই ভেঙ্গে পড়ে।
372559
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৫:১৪
ডব্লিওজামান লিখেছেন : Yes Man
372562
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৮:৫৩
হতভাগা লিখেছেন : বিরোধীদলের সব নেতাকেই তো হুলিয়া দিয়ে রেখেছে । মামলা হামলা দিয়ে দৌড়ের উপ্রে রেখেছে । জানের মায়া ওদেরও তো আছে । যে গাজীপুর আওয়ামী লীগের ২য় গোপালগন্জ সেটার মেয়রের খবর কি ?

০৬.০৫.২০১৩ তে খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষদেরকে আহবান জানিয়ে ছিলেন যে হেফাজতের লোকদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য । জনগন কি এসেছিল?

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ গুজবেই বিশ্বাস করে বেশী এবং কোন খবর বাছ বিচার না করেই বিশ্বাস করে ফেলে ।

হাওয়া ভবনের ঘটনা আর নিজামীর জামাতার কাহিনীই সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল । পরে এসব জিনিস আর সাধারণের ফোকাসে রাখে নি মিডিয়া । নির্বাচনের দিন মাত্র ঘন্টা কয়েক নিজামীর জামাতার খবর জারি রেখে আজ প্রায় ৯ বছর কাজে লাগিয়ে চলেছে।

এখন কোন ট্রেসই নেই সেই ঘটনার । কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব বিশ্বাস করেছে । বিশ্বাস করেছে ১০ টাকা/কেজি চাল ।

পাক বা না পাক - বলেছে তো ? এটাই বহুত । এটাই আমাদের সাধারণ মানুষদের (৮৭%) বুঝ ।

আপনি বা আমি যারা অনার্স বা মাস্টার ডিগ্রীধারী বা তারও উপরে তারা বাংলাদেশের টিপিক্যাল জনগন নই । আমরা শতকরা ১০ ভাগও না । আপনি বা আমি হাজারও বুঝলেও কাজ তো হবে না , কাজ হবে ঐ ৮৭% দের ভোটে যারা মিডিয়া/নেতারা যাই বোঝায় তাই বোঝে , যাদের কাছে বলাটাই মুখ্য । করেছে কি না সেটা নয় ।

তাই We get the Government we deserve
২০ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:১৭
309334
ডব্লিওজামান লিখেছেন : চূড়ান্ত পর্যায়ে/দিন যার যার কাজের, যোগ্যতার, অবস্থার জবাবদিহিতা নিজেকেই যে দিতে হবে ! কারো দোষ দিয়ে কি সেদিন পার পাওয়া যাবে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File