আজব একখান মেশিনের নাম আওয়ামিলীগ !!!!
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৩৩:২০ বিকাল
প্রবীর সিকদার। আপনি জেলে গিয়ে প্রমাণ করলেন আসলেই বাতাস ঘুরে। হাসিনার বিয়াই রাজাকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের তালে পড়ে আর্টিকেল লিখে দেশের প্রখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে বাচ্চু রাজাকার বানিয়ে ফেলছিলেন আপনি। কোনো ট্রায়াল ছাড়াই একতরফাভাবে ফাঁসির রায়ও দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। মনে কি আছে, আপনি লাফ দিয়ে বলেছিলেন, “বাচ্চু রাজাকারের তিনশ’বার ফাঁসি হতে পারে!” আপনার সেই কথিত বাচচু রাজাকার কিন্তু বিচার পায় নাই। তাকে মাসের পর মাস ঘরে বন্দী করে রেখেছিল হাসিনার পুলিশ। কিন্তু যখন জানা গেলো, আবুল কালাম আজাদ মুখ খুললে ধরা পড়ে যাবে হাসিনার বিয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিজে, তখন বিয়াই সাহেব রাতের আধারে আবুল কালাম আজাদকে দেশের বাইরে বের করে দেয়। উনি কিন্তু এখনও ভালো আছেন।
ওটা পারলেও আপনি কিন্তু পারলেন না মোশাররফ এবং নুইল্যা মুসারে রাজাকার বানাইতে। উল্টা আপনি ধরা পড়লেন হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার জালে। আপনার অপরাধ আপনি শেখ হাসিনার ২ বিয়াই'র বিরুদ্ধে লিখেছেন, তাদেরকে রাজাকার বানানোর ( চেতনা ব্যবসায়ীদের মতে ) চেষ্টা করিতেছেন ! ইহাদের একজন হইলেন হাসিনার বেটি পুতুলের শ্বশুর (মিতুর বাপ) নুরা রাজাকারের পুত বর্তমান এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। অপরজন শেখ সেলিমের বিয়াই প্রিন্স ডঃ মুসা বিন শমশের। মোশাররফ এখন আপনারে পাগল বলে। তার ক্ষমতার উৎস, তার পুতের বিছানায় হাসিনার বেটি ঘুমায়!
মিস্টার প্রবীর। ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার’ নামক একটি সস্তা আবেগে নিজেদের ভাসাইছিলেন। আপনারা বুঝতে পারেননি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের সবচেয়ে বড় আস্তানার মালিক হলো শেখ হাসিনা। উনার আঁচলের তলায় থাকে বিয়াই মোশাররফ, নুলা মুসা, মুরগি বেপারী শাহরিয়ার কবির, জামালপুরের সাবেক আওয়ামীলীগ এমপি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম, লে কর্নেল ফারুক খান, ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ইয়াহিয়ার আস্থাভাজন সাজেদা চৌধুরী (ইনি হাসিনার ফুফু লাগে), আওয়ামী লীগের প্রোসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, জামালপুর–৩ আসনের সাবেক এমপি মির্জা গোলাম কাশেম, রংপুর-৫ আসনের এফএমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান, চাদপুর-১ আসনের এফএমপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান হাওলাদার, আবদুল বারেক হাওলাদার, আজিজুল হক, মালেক দাড়িয়া, মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া, রেজাউল হাওলাদার, বাহাদুর হাজরা, আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার. হাসেম সরদার সহ আরো বহু রাজকার ও যুদ্ধাপরাধী। এরা কেউ বিএনপি জামায়াত করলে সবাইরে ফাঁসি দিত হাসিনা। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সেই অমর বাণীর কথা কি ভুলে গেছেন, “আজব একখান মেশিনের নাম আওয়ামিলীগ !!!! যার একদিকে যুদ্ধাপরাধী ঢুকাইলে আরেকদিক দিয়া মুক্তিযোদ্ধা হইয়া বাহির হইয়া অাসে….. . .. .। যারে যারে হাসিনা চাইবে সে সে যুদ্ধাপরাধী, আর সে যারে মুক্তিযোদ্ধা বলবে রাজাকারও হয়েও সে হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা !!!! হাসিনা নিজেই বলেছে, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে পুতুলের দাদা শ্বশুর নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিন যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না !!!! হা হা হা হাআআআআআআ .........................! আপনারা কি পারছেন নুরু মিয়ার নামের ফলক ভাঙতে ? পারেন নাই।
প্রবীর সিকদার, আপনারা ভুল করেছেন। হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব না। আপনার দুর্দশা দেখে এবার যদি অন্যরা শেখে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তোদের সরকার ক্ষমাতয় থাকতেই যদি এই অবস্থা হয় সরকার ক্ষমাতা থেকে গেলে কি হবে তাহা ভাবতেও পারবি না ডাবিন্ডর ঘরের ডান্ডি
সঠিক কথাগুলি লিখতে পারার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
১৭ বছর ধরে সাথে থাকা হাসিনার সাবেক এপিএস মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর বই থেকে----
'রাজাকার ছেলের সাথে বিয় দেব না।'
শেখ হাসিনা তার কন্যা পুতুলের বিয়ে ঠিক করলে ধানমণ্ডিস্থ বাড়িতে শেখ হাসিনার স্বামী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া এসে ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে বলতে লাগলেন, মেয়ে কি তোমার একার? মেয়ে কি আমার না? তুমি রাজাকারের ছেলের কাছে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছ? রাইফেল হাতে নিয়ে যে রাজাকারগিরি করেছে, মুক্তিযোদ্ধা মেরেছে, তার ছেলের সঙ্গে আমি কিছুতেই আমার মেয়ের বিয়ে দেব না। তুমি আমার মেয়েকে ওই রাজাকারের ছেলের সাথে কিছুতেই বিয়ে দিতে পারবে না।
জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমি মেয়ে বিয়ে দেব। পারলে তুমি ঠেকাও। ডঃ ওয়াজেদ বলেন, তাই বলে তুমি রাজাকারের ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেবে? বঙ্গবন্ধু কন্যা বললেন, কিসের আবার রাজাকার ফাজাকার? আমার আত্মীয় এটাই বড় কথা। সাথে মরলে আত্মীয়ই মরে। দেখনি ঐ মুক্তিযোদ্ধা ফুক্তিযোদ্ধারাই আমার বাপ-মা, ভাইদের কিভাবে মেরেছে, আমি আমার মেয়েকে এখানেই বিয়ে দেব। পারলে তুমি ঠেকাও।
ডঃ ওয়াজেদ মিয়া বললেন, তোমার সাথে তো আমি ঠেকাঠেকিতে পারব না। তবে আমি বলে দিচ্ছি আমার মেয়েকে যদি রাজাকার ছেলের সাথে বিয়ে দেও তবে আমি এই বিয়ের সাথে নেই। বিয়েতে আমি আসবো না। আমি তোমাকে অনুরোধ করছি, ঐ রাজাকারের ছেলে ছাড়া যেখানে খুশি সেখানে তুমি মেয়ে বিয়ে দাও, আমি তোমার সাথে থাকবো। কিন্তু রাজাকার বংশের কাছে মেয়ে বিয়ে দিলে আমি থাকবো না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বামী ডঃ ওয়াজেদের কথা রাখলেন না। তিনি তার ইচ্ছেমতো রাজাকারের ছেলের সঙ্গেই মেয়ে বিয়ে দিলেন। সত্যি সত্যিই ডঃ ওয়াজেদ- কথা পাকাপাকি, পান চিনি, গায়ে হলুদ এবং বিয়ে কোথাও আসলেন না। শুধু বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিনিট ৩/৪- এর জন্য এসে আবার খালেদা জিয়ার সঙ্গেই চলে গেলেন। তিনি কারো সাথে কোন কথা বললেন না। কেউ তাঁর সঙ্গে কোন কথা বললো না।
আমার ফাঁসি চাই / মতিউর রহমান রেন্টু / পৃষ্ঠা: ৭৭
অনেক হাসলাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন