একটি ধর্মীয় জিজ্ঞাসা :
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১৯ মার্চ, ২০১৫, ০৭:২১:৩৫ সন্ধ্যা
নানা দিক দিয়ে দেশের এ চরম পরিস্থিতির মধ্যেও বাধ্য হয়ে আপনাদের কাছে একটি ধর্মীয় জিজ্ঞাসা রাখছি , কারণ এটি আমার আভিজাত্যের ... .. . নাকের ডগার ব্যাপার !!! আসছে কোরবানীতে আমি প্রচার মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত একটি কোরবানি এবং বড় হজ্জে পরিব্রাজন করতে ইচ্ছুক ! তবে আমার একটি বিশেষ গুণ আপনাদের বলে রাখি, আমি কিন্তু প্রায় সকল বিষয়ে ব্যাপক মায়া কান্না করতে পারি । আমার কিছু প্রতিবেশী অর্ধাহারে--অনাহারে দিনাতিপাত করে । এটাকে আমি তাদের স্বভাবগত অভ্যাস মনে করে কোন রকম সহযোগিতা হতে কৌশল করে বিরত থাকি । কিন্তু তাদেরকে পরামর্শ দিতে কার্পণ্য করি না ; এ ক্ষেত্রে সেই লোক ভাবতে বাধ্য হবে যে, আমি তাঁর আত্মার আত্মীয় !!! আবার অন্য কেউ তাদেরকে সাহায্য করলে বা করতে চাইলে নিরুৎসাহিত বা বাধা দেই না । আমার এ জাতীয় খাসলত আমার সকল মুরিদগণ জানেন । এ ছাড়া যেটা করলে মুসলমানদের ; মুসলমানিত্ব পরিচয় বহন করে সেই প্রথম পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিধান ( নামাজ ) সম্পর্কে আমার কিছুটা ক্যারা আছে ; যা আমার সবচেয়ে কাছের তথা অন্দরমহলের মুরিগণ জানেন । এমতাবস্থায় দেশখ্যাত কোরবানি করা এবং বড় হজ্জে যাওয়ার ব্যাপারে আমার জন্য ধর্মীয় বিধানটা দিতে আপনারা কোন দ্বিধা বা কার্পণ্য করবেন না দয়া করে ।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ..
কিন্তু যে সকল মহান মুফতীয়ানে কিরামের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা পেশ করা হইয়াছে তাঁহারা এতদ্বিষয়ে রায়প্রদানে আগ্রহী হইবার কোন সম্ভাবনা আছে বলিয়া মনে করিবার আপাততঃ কোন কারণ দৃশ্যমান হয়না!
এখন যেহেতু শক্তি আছে তাই পদভ্রজে হজ্জে যেতে পারেন। যথা সময় পৌছুতে না পারলে ওমরা করে ফিরে আসবেন এবং পরে সুবিধা মত সময়ে বৌ বাচ্চা নিয়ে যথা নিয়মে করবেন।
নাম ফাটানর যা ছিল তাতো প্রথম বারেই ফাইট্টা গেছে তাই পরের বারে একান্তই আল্লাহকে খুশি করার জন্য করবেন আর পিছনের আকাম কু কামের জন্য তওবা তিল্লা করবেন।
পদভ্রজে এত দূরের পথ গেলে আপনার হাত থেকে স্থানীয় এবং অন্দর মহলের মুরিদেরা কিছু দিনের জন্য হলেও নিস্তার পাবে।
কই আমার হাদিয়া দেন। বিনা পয়সায় এর চেয়ে ভালো বুদ্ধি আমার কাছে নাই।
যারা কুর'আন হাদীসের সঠিক জ্ঞান রাখে তারা সঠিক পরামর্শ্ব দিবে। আমি যেহেতু আপনার মতই আজাইরা তাই কতক্ষণ আজাইরা প্যাচাল পুটলাম।
আল্লাহ তুমি মহান তাই আমাকে এবং তাকে মাফ কর।
কি বুঝাতে চাইলেন স্পষ্ট বুঝলাম না। ধর্মীয় জিজ্ঞাসাগুলো হতে হয় স্পষ্ট ভাষায়, যাতে স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়। আপনার জিজ্ঞাসাতো একে বারে অস্পষ্ট।
ধর্মীয় জিজ্ঞাসা গুলো যদি নিজের ব্যাপারে হয়, তখন মনে রাখতে হবে যে, প্রথমে নিজেকে নিজে জিজ্ঞাস করতে হবে, কেননা হাদিসে এসেছে استفتي نفسكতুমি নিজেকে জিজ্ঞাস করো। যদি আপনি নিজে উত্তর পেতে ব্যর্থ হন তাহলে ফোকাহায়ে কেরামদের নিকট স্পষ্ট ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করুন। এখানে আপনি লিখেছনঃ
আপনার স্বীকারোক্তিতে বুঝা যাচ্ছে যে আপনি নিজেই জানেন আপনার ভুল ও অ্ন্যায় দিকগুলো। আগে আপনার ভূল ও অন্যায় দিকগুলো ঠিক করেন, তারপর না হয় ধর্মীয় জিজ্ঞাসা। আপনার উপর কোরবানী ওয়াজিব হলে কুরবানী করবেন, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব করবেন, সাহায্য করার মত টাকা পয়সা থাকলে সাহায্যও করবেন, এখানে তো জিজ্ঞাসার কিছু নেই। জিজ্ঞাসা হতে পারে কতটুকু ধনসম্পদ হলে পরে হজ্জ ফরজ হয় বা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়। কিন্তু আপনার প্রশ্নের তো কোন তাল পেলাম না। লোকদেখানো কোরবানী, হজ্ব আবার অনাহার অর্ধাহার প্রতিবেশীর উপর অন্যায় আচরণ এত কিছু লিখে কি বুঝাতে চাইলেন ঠিক বুঝতে পারলাম না।
কিছু দিন আগে প্রায় একই রকম পোষ্ট লিখেছিলেন আবু সাইফ ভাই, হজ্বের নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে উত্তর ভঙ্গে গিয়ে কি কি যেন দান করেছেন। এখন দেখছি আবু সাইফ ভাই আপনার প্রখম কমেন্টার। ব্যাপারটা কেমন যেন ধোঁয়াশা হয়ে গেল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন