কাজী নজরুল ইসলাম'র "আমি সৈনিক" প্রবন্ধ থেকে
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ০৮ মে, ২০১৪, ০৭:৫৪:১৬ সন্ধ্যা
দেশকে যে নারীর করুণা নিয়ে সেবা করে, সে পুরুষ নয় ; হয়তো মহাপুরুষ । কিন্তু দেশ এখন মহাপুরুষ চায় না । দেশ চায়, সেই পুরুষ যার ভালবাসায় আঘাত আছে, বিদ্রোহ আছে । যে দেশকে ভালবেসে শুধু চোখের জলই ফেলবে না, সে দরকার হলে আঘাত ও করবে, প্রতিঘাতও বুক পেতে নেবে, বিদ্রোহ করবে । বিদ্রোহ করা আঘাত করার পশুত্ব বা পৈশাচিকতাকে যে অনুভূতি নিষ্ঠুরতা বলে দোষ দেয় বা সহ্য করতে পারে না, সেই অনুভূতিই হচ্ছে নারীর অনুভূতি, মানুষের ঐটুকুই হচ্ছে দেবত্ব । যারা পুরুষ হবে, যারা দেশ - সৈনিক হবে, তাদের বাইরে ঐ পশুত্বের বা অসুরত্ত্বের বদনামটুকু সহ্য করে নিতে হবে । যে ছেলের মনে সেবা করবার, বুকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার ইচ্ছাটা জন্মগত প্রবল, তার সৈনিক না হওয়াই উচিত । ..................... .................. ............ দেশের দুঃখ - আর্ত - পীড়িতদের সেবার ভার এই সব ছেলেরা খুব ভাল করেই করতে পারে । আমরা এদের পূজা করি কিন্তু এতে তো দেশের মুক্তি স্বাধীনতা আনবে না। রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ, প্রফুল্ল বাংলার দেবতা, তাঁদের পূজার জন্য বাংলার চোখের জল চির নিবেদিত থাকবে । কিন্তু সেনাপতি কই ? সৈনিক কোথায় ? কোথায় আঘাতের দেবতা, প্রলয়ের মহারুদ্র ? সে - পুরুষ এসেছিল বিবেকানন্দ, সে - সেনাপতির পৌরুষ হুঙ্কার গর্জে উঠেছিল বিবেকানন্দের কণ্ঠে ............................................................................................. কাজী নজরুল ইসলাম ( আমি সৈনিক )
বিষয়: বিবিধ
৩৩৯৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিই হবো সেই সেনাপতি। আমিই নেতৃত্ব দিবো দেশকে।
সবাই এখন ভেড়া।
ভাই |
মন্তব্য করতে লগইন করুন