সব লাশের গন্ধ ও প্রকৃতি একই
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৫:৫৯:২৭ সকাল
সারি সারি লাশ ভাসে উপকূলে। এই ভেসে বেড়ানো লাশ নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। লাশ তো জলেই ভাসবে। আমাদের শহরে এই লাশগুলোর স্থান নেই। বিশাল সমুদ্রেই তাদের স্থান হয়েছে এবং হবে। একদিন সমুদ্রটা শহরের মাঝখানে চলে আসুক। রাজধানী থেকে এতদূরে গিয়ে লাশ দেখার কোন ইচ্ছে আমি ভদ্রলোকের নেই। আমি চাই সারি সারি লাশ ভেসে বেড়াবে শহরের জনসমুদ্রে। মানুষ বুক ভরে লাশের গন্ধ নিবে।
উপকূলে ভেসে থাকা লাশ নিয়ে চিন্তুা করার দরকার নেই। হাত পা বাধা লুঙ্গি পড়া লাশে সংবিধান, অর্থনীতি,গণতন্ত্রের কিছু যায় আসে না। আমার আমাদের সংবিধান, অর্থনীতি,গণতন্ত্রে সাগরে ভাসা লাশের কোন অধিকার রাখিনি।
কিন্তু সাগরে ভাসা লাশগুলো একদিন শহরে উঠে আসবে। যুগে যুগে নামহীন এই ভেসে বেড়ানো লাশ শহরের মানুষের মুক্তির পথ দেখায়।
হে ভেসে বেড়ানো লাশ শহরে আসো
শহরের রাস্তায় মুক্তির সুবাস ছড়িয়ে দাও।
সব লাশের গন্ধ আর প্রকৃতিতে কোন বিভেদ নেই
পাকিস্তান সেনারা ১৯৭১ সালে লাশগুলো শহরে থেকে একটু দূরে রায়ের বাজারের মিরপুরে . . . ফেলত। শুনেছি বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষায় সারি সারি লাশ ভেসে যেত। লাশে আর রক্তে ভেজা জায়গাগুলো এখন পবিত্র। মানুষ বছরের কয়েকদিন জানা - অজানা লাশের স্মরণে ভালবাসা/শ্রদ্ধা জানায়।
দেশে এখন নাকি প্রায় দিনই পত্রিকার অফিসে সন্ধ্যায় সারি সারি লাশ ভেসে আসে। ফ্যাক্স মেশিনগুলোতে ভর করে (প্রেসরিলিজ)।
আর সাত সকালে ফেরি করে সেই লাশ পৌঁছে দেওয়া হয় ঘরে ঘরে। সবগুলো প্রেসরিলিজ একই বর্ণে কালো কালিতে ছাপা। সবগুলো লাশ একই ধরণের । প্রতিটি প্রেসরিলিজ আর লাশের কি যে সুনিপুণ অদ্ভুত মিল !!!
প্রতিদিন সকালে প্রেসরিলিজে ভেসে আসা, লাশগুলো দরজার ফাঁক দিয়ে আমার ঘরে আসে। লাশের গন্ধ শুকতে শুকতে আমি চা খাই।
আর টুকে রাখি লাশের হিসাব।
কিছু লাশ পাওয়া যায়নি, কিছু লাশ পাওয়া যাবে না ! তবে সময় কালভেদে পাওয়া না পাওয়া, সকল লাশের গন্ধ আর প্রকৃতিতে কোন বিভেদ নেই।
গুম হোক ঘরে ঘরে, খুন হোক পথে পথে ! তারপরও যদি ভোঁতা অনুভূতিতে সাড়া লাগে !!!!
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগ্লো!
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়, মাননীয় স্পিকার, বিদ্যুতের
মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ আমরা ওয়াক আউট করছি,
এরপর বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদকে উদ্দেশ্য করে চিফ হুইপ বলিলেন,
-চলেন আপা আমরা ওয়াক আউট করি,
-ঘুম মাখা চোখ নিয়ে রওশন বলিলেন- চলেন যাই,
এটা সিনেমার শুটিং না, সত্য ঘটনা, সংসদের বিরোধী দল যাত্রা পার্টি স্পিকারের
কাছে বলে কয়ে আজ সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেছে,
লক্ষী একটা বিরোধীদল,, কালে কালে আরো যে কতো বিনোদন দিবে তারা!!!! — feeling ব্যাপক বিনোদিত.
মন্তব্য করতে লগইন করুন