প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে রকেটের গতিতে আর মানবীয় চরিত্র ও ভালবাসার পতন হচ্ছে উল্কার গতিতে
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১২ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৪৯:৫৭ সন্ধ্যা
আজ প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে রকেটের গতিতে আর মানবীয় চরিত্র ও ভালবাসার পতন হচ্ছে উল্কার গতিতে । আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকা হচ্ছে কিন্তু কোন ঘরেই মানসিক প্রশান্তি নেই । মঙ্গলগ্রহের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে কিন্তু নিজের প্রতিবেশী এমনকি স্বজনদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই । তাই যেমন প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে ব্যাপকভাবে ঠিক তেমনি পাল্লা দিয়ে হতাশা, অশান্তি আর হত্যা, আত্মহত্যার হার ও বেড়েছে । এর কারণ একটাই ...... বর্তমান পৃথিবীর শাসকরা বস্তুগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রতি নজর দিলেও মন ও আত্মার উন্নয়নের দিকে তারা কোনই নজর দেয়নি । পণ্ডিতরা বলেছেন, " বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ" ............আসলে দোষটা বিজ্ঞানের নয় বরং যারা বিজ্ঞান চর্চা করছে তাদের । কারণ তারা বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের যোগ করতে পারেনি অথবা দোষটা আমাদের যারা ধর্ম পেয়েছি কিন্তু এর সঙ্গে বিজ্ঞানকে যুক্ত করিনি ।
এটা বুঝতে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকার দিকে তাকান, যেখানে প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে ১জন ধর্ষিতা, ৪৩% জারজ সন্তান এবং আত্মহত্যার হার ও সবচেয়ে বেশী । ( শ্রুতিলিখন )
বিষয়: বিবিধ
২১০০ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর তৃতীয়টার জন্য বলব, মক্কা-মদিনা আর ধর্ম বা ইসলাম এক জিনিস নয় । মক্কা-মদিনা বা আমারিকার বাহানা দিয়ে আপনি আমি কেউ রেহাই পাবো না, কারণ সৃষ্টিকর্তা আমাদের বিবেক-বুদ্ধি-ক্ষমতা দিয়েছেন, সে অনুসারে জবাবদীহিতা করবেন ! দয়া করে চিন্তা করুন ।
♦ একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বলে "যার ঘরে প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেইঘর বরকতময়"।
♦ নারী যখন যুবতী হয়, ইসলাম ঘোষনা দেয় ''যে তার মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ভালপাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।"
♦ নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে "সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম"।
♦ নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে "স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ। এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও"।
♦ নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে "গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে শহীদের মর্যাদাপায়"।
♦ নারী যখন মা, ইসলাম বলে "মায়ের পদ তলে সন্তানের বেহেশত"।
তাই যদি হয় তবে নিচের হাদীস কি ধারনা দেয়?
হযরত মায়মুনা বিন্তে আল হারিসা (Hazrat Maymuna Bint Al-Haritha.) মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ছাড়াই একজন দাসী মুক্ত করলে তিনি বলেন.....দাসী মুক্ত না করে বরং তোমার চাচা/মামা কে দিয়ে দিলেই অধিক সওয়াব পেতে। Volume 3, Book 47, Number 765: হাদীস এর সূত্র
উপরের হাদীসে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপদেশ দাস প্রথার পক্ষে না বিপক্ষে,এই হাদীস আমার কাছে অমানবিক মনে হয়।
ইয়াসিন সূরা কয় মুবিন?(এটা জিজ্ঞেস করলাম,কারন আপনি কুরআনে নাকি দেখেছেন নারী ধর্ষনের সুস্পষ্ট প্রমান।)
এখন আসি হাদীসে,আচ্ছা কোন হাদীসের ঐ বাণীটি?মূল হাদীস কয়টি?এবং আপনি যেখান থেকে ঐ হাদীসটা এনেছেন সেই হাদীসটার নাম কি?সংগ্রহকারী কে?হাদীসটি বাংলা কোন প্রকাশক অনুবাদ করেছে?
গৃহস্থের কইন্যা(FAKE FEMALE) সমস্ত উত্তর আপনাকে দিতে হবে না হয় ভেবে নেবো আপনি আপনার পিতার অবৈধ সন্তান।
ইসলাম নারীর কেমন মর্যাদা দেয় দেখা যাক –
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।
মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
১ নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে (Quran 4:34, 2:228)
২ তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক (Quran 2:282, 4:11 Sahih Bukhari 3:48:826, 1:142)
৩ নারী পুরুষের যৌন দাসী (Ibn Hisham-al-Sira al-nabawiyya, Cairo, 1963)
৪ তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি (Sahih Bukhari 5:59:524)
৫ তারা কুকুরের সমতুল্য (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486 Sahih Muslim 4:1032, 4:1034, 4:1038-39 Abu Dawud 2:704)
৬ ভালোবাসার অযোগ্য (Sahih Bukhari 7:62:17 Abu Dawud 41:5119)
৭ তাদের বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369)
৮ রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র (Quran 2:222 Al-Tabari Vol.1 p.280) হজ্ব করার অযোগ্য (Sahih Bukhari 1:6:302)
৯ তারা নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219) বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) অকৃতজ্ঞ (Sahih Bukhari 1:2:28) খেলার পুতুল (Al-Musanaf Vol.1 Part 2 p.263) হাড়ের মত বক্রতা যুক্ত (Sahih Muslim 8:3466-68 Sahih Bukhari 7:62:113, 7:62:114, 4:55:548)
১০ তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (Quran 2:223 Abu Dawud 11:2138)
১১ তারা শয়তানের রূপ (Sahih Muslim 8:3240)
১২ তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)
১৩ তারা বিশ্বাস ঘাতক (Sahih Bukhari 4:55:547)
১৪ পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক (Sahih Bukhari 7:62:33)
১৫ নেত্রিত্ব দেওয়ার অযোগ্য (Sahih Bukhari 9:88:219)
১৬ প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারন (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493)
১৭ স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368)
১৮ পুরুষ কত্রিক ধর্ষনের অনুমোদন (Quran 70:29-30 Abu Dawud 11:2153, 31:4006 Sahih Bukhari 5:59:459 Sahih Bukhari 8:77:600, 8:3432, 8:3371)
১৯ স্বামীর বাধ্য না হলে তাদের প্রার্থনা গৃহিত হবে না (Muslim Scholar Al-Suyuti while commenting on Quran 4:34 Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. ii, 60)
২০ পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে (Quran 4:3)
২১ তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Sahih Bukhari 8:4871-82 Mishkat al-Masabih, Book 1, duties of parents, Hadith No. 15)
২২ স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127) যার কারনে কোন জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142)
২৩ বেহেস্তে পুরুষের জন্যে রয়েছে বহু (Virgin) রমনী সম্ভগের ব্যাবস্থা (Quran 33:48, 44:51-54, 55:56-58, 78:31-35 Ibn Kathir Tafsir of 55:72 Sahih Muslim 40:6795, 40:6796 Sahih Bukhari 4:54:476 Al-Tirmidhi, Sunan. Vol. IV Chap. 21 Hadith: 2687 Sunan Ibn Maja, Zuhd-Book of Abstinence 39)
২৪ শুধুমাত্র নীরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি (Sahih Bukhari 9:86:100, 9:86:101, 9:85:79)
২৫ স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত অন্য পুরুষের কাছাকাছি হওয়া নিষিদ্ধ (Sahih Bukhari 4:52:250)
২৬ তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা (Mishkat al-Masabih, Book 1, Duties of Husband and Wife, Hadith Number 62 Mishkat al-Masabih, Book 1, duty towards children Hadith Number 43)
২৭ সর্বদা নিজেদের আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায় (Sahih Bukhari 5:59:462, 6:60:282)
২৮ মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্যে রয়েছে দোজখের আগুন (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 Sahih Bukhari 7:62:124, 1:2:29, 7:62:124, 2:18:161)
এর পরেও কি মনে হয় ইসলাম আপনাকে (for women) দেয় সামান্যতম সন্মান ?
আর আপনার অনুবাদগুলো সঠিক হয়নি, আমি দেখেছি ।
তাছাড়া আমিতো মূল লেখাটা ইসলামকে নিয়ে লিখিনি; ধর্মকে নিয়ে লিখেছি । সকল ধর্ম । এ ক্ষেত্রে আমি আস্তিক-নাস্তিককে ও তার বিশ্বাসের পুঁজিকে একটি ধর্ম মনে করি ।
আর ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে বিশ্বাস করি --- When the function of science ends;There/Where the function of religions starts.
তা হলে দেখা যাক আলী সত্যিকার অর্থে কেমন সাধু লোক ছিলেন, অথেন্টিক হাদিস কি বলে ;
সহিহ বুখারি, বই-৮৪, হাদিস-৫৭
ইকরিমা বর্ণিত:কতিপয় নাস্তিককে আলির নিকট আনা হলো এবং আলি তাদেরকে পুড়িয়ে মেরে ফেললেন।এ ঘটনা ইবনে আব্বাসের কাছে পৌছলে তিনি বললেন, “ যদি আমি উক্ত যায়গায় থাকতাম তাহলে আমি তাদেরকে পোড়াতাম না কারন আল্লাহর নবী এটা নিষেধ করেছেন ও বলেছেন, ‘ আল্লাহর শাস্তির দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না’ ও ‘আল্লাহর নবীর বিধান অনুযায়ী আমি শাস্তি দিতাম, ‘ যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা কর”।
আর আপনার অনুবাদগুলো সঠিক হয়নি, আমি দেখেছি ।
তাছাড়া আমিতো মূল লেখাটা ইসলামকে নিয়ে লিখিনি; ধর্মকে নিয়ে লিখেছি । সকল ধর্ম । এ ক্ষেত্রে আমি আস্তিক-নাস্তিককে ও তার বিশ্বাসের পুঁজিকে একটি ধর্ম মনে করি ।
আর ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে বিশ্বাস করি --- When the function of science ends;There/Where the function of religions starts.
আর বিজ্ঞান শুধু বস্তু জগতের জন্য। এমনকি এ নির্দেশনাও দেয়না যে, এটা ভাল ওটা মন্দ। যেমন, অস্র তৈরিই তার কাজ;কোন পথে ব্যবহার কল্যাণ আর কোন পথে অকল্যাণ সেখানে তার বক্তব্য নেই! আর এখানেই The function of religions .........
অনেক ভাল লিখা তাই বেশ ভাল লাগল
মন্তব্য করতে লগইন করুন