খোলা চিঠি !!!
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৪৮:৩২ সন্ধ্যা
প্রিয় রাজনীতিবিদগণ-
আশাকরি সকলে সুখেই আছেন। অবশ্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই কিভাবেই বা সুখে থাকবেন? যাহোক, যে জন্য লেখা- আমরা বাংলাদেশীরা নিতান্তই অকৃতজ্ঞ ও মূর্খ । আমরা আপনাদের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী। দেশ ও জাতির কল্যাণে আপনাদের যে অবদান, অকৃতজ্ঞ না হলে কিভাবে আমরা তা অস্বীকার করতে পারি?
দেশপ্রেম ও জনগণের মঙ্গল কামনায় আপনারা যে জীবন বাজি রেখেছেন তা কে-ই বা না জানে? আপনাদের জীবন-যৌবন সবই গেল দেশের মানুষের জন্য! তারপরও ৫ বছর যেতে না যেতেই আমরা আপনাদেরকেই আবার দেশের দায়িত্ব দিয়ে দেই। একবার ও চিন্তা করি না আপনাদের কথা। দেশের জন্য, এই আমাদের জন্য, আপনারা কত শত অত্যাচার সহ্য করছেন, পুলিশ ও বখাটেদের লাঠির আঘাতে আপনাদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে, জেল-জরিমানা হয়েছে, মাথা কাজ না করলেও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আঁকড়ে পড়ে আছেন, দেশের জন্য বাড়িতে না থেকে আকাশে কাটিয়েছেন কত সময়, নিজ প্রিয় এলাকায় আসার সময় নেই আপনাদের জাতীয় স্বার্থের কারণে, আরো কত কি !!!
আপনাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুখও আমরা কেড়ে নিয়েছি, দেশের মানুষের কল্যাণে নির্বিঘ্নে কাজের জন্য নিজ সন্তানদের পর্যন্ত দূরে- দেশের বাইরে রেখেছেন, কত বিনিদ্র রাত কেটে গেছে টেনশনে, কাজের চাপে নিজ সম্পদের হিসাব রাখার সময়ও আমরা দেইনি। সত্যি আমরা আজ লজ্জিত।
প্রিয় নেতৃবৃন্দ, আমরা জনগণ না হয় মূর্খ আর অকৃতজ্ঞ ; কিন্তু আপনারা তো আর বেকুব নন !! আপনারা তো বুদ্ধিমান, দূরদর্শী। তবে কেন আপনারা ধৈর্য ধরে আজীবন দেশসেবার ব্রত নিয়েছেন ??? এ অকৃতজ্ঞ জাতি কখনোই আপনাদের মূল্যায়ন করবে না।
সুতরাং, সময় থাকতেই আপনারা নিজেদের চিন্তা করুন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনাদের ব্যস্ত রেখে আমরা আর ঋণ বাড়াতে চাই না। এবার আপনারা বিশ্রাম নেন, অবসর গ্রহণ করুন; জাতিকে তার মূর্খ লোকদের হাতেই ছেড়ে দিন। আমরাও দায়মুক্ত হই ।
ইতি,
বাংলার জনগণ
মন্তব্যঃ বহুদিন আগে আবুল মনসুর আহমেদ তাঁর "জনসেবা ইউনিভার্সিটি" গল্পে জনসেবার নতুন এক অর্থ তুলে ধরেছিলেন। আবারো সময় এসেছে, দেশপ্রেম আর জনকল্যাণের অর্থও নতুনভাবে, নতুনমাত্রায় সংজ্ঞায়িত করার। ব্যবহারিক ভাবে তো বটেই আভিধানিক ভাবেও ।।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনারা যতই আকুতি কাকুতি করেন না কেন উনারা দেশের সেবা করেই যাবেন , কারণ দেশ সেবার চেয়ে লাভজনক ব্যবসা দুনিয়াতে দ্বিতীয়টি আর নেই ।
দেশ সেবা করতে এসে সেবকের সম্পদ ১০ গুন থেকে কয়েক সহস্রগুন বেড়ে যায় ।
- স্যার,ন্যাশনাল আইডি নাই,তয় ফেসবুক আইডি আছে।
-শালা আমার লগে মশকরা করস? কানের নিচে দিমু।
-স্যার,, স্যার…
- ওই এত স্যা স্যার করস ক্যা?এই রুস্তম, ওরে চেক কর।
-স্যার স্যার,আমার সাথে কিছু নাই।
- স্যার পাইছি,হালায় বোতলে পেট্রোল লইয়া যাইতেছে।
-স্যার বিশ্বাস করেন,এইটা পেট্রোল না,এইটা আমার মুত।
-আমারে বোকা পাইছস শালা?মুত লইয়া মানুষ হাটে?
-স্যার বিশ্বাস না হইলে খাইয়া দেখেন।
- ওই রুস্তম, হালার পাছায় এক বারি দে,কত্ত বড় সাহস! আমারে মুত খাইতে কয়।
-স্যার স্যার,আমার কি দোষ?আপনে বিশ্বাস করেন না,তাই কইলাম।
- তোর মুখে দাড়ি দেখতেছি,তুই শিবির করস না?
- তওবা তওবা স্যার,এইটা কি কইলেন? আমি তরিকত ফেডারেশন করি,পিউর ভান্ডারি।
-হালা আমারে বোকচোদ পাইছস? তুই ভান্ডারি হইলে তোর মাথায় জটের চুল কই?
-স্যার আমার কি দোষ? আর্মি নামছেনা?
-ওই রুস্তম হালারে আবার চেক কর।
-স্যার পাইছি পাইছি,মারত্নক অস্র,হালায় পলিথিনে গু লইয়া যাইতেছে।
-স্যার এইডা কি কইলেন?বাপের জনমেও হুনি নাই গুরে অস্র কইতে।
-ওই বেটা আমাগোরে আবুল পাইছস?তুই গু লইয়া যাইতেছস ভোট কেন্দ্রে হামলা করতে।
-স্যার বিশ্বাস করেন,আমি এই গুলা ল্যাবে লইয়া যাইতেছি পরিক্ষা করার জন্য।স্যার সত্যি কইতেসি।
- আগে হালায় থানায় চল,তারপর সব হুনমু।
-স্যার বঙ্গবন্ধু দেশে স্বাধীন করছে কি এই জন্য?
আমার গু আমি নিমু
যেথায় খুশি সেথায় নিমু।
গনতন্ত্রের মানস কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের বেতন দেয় নাই কেউ গু লইয়া ল্যাবে গেলে আটক করবেন।এই কি ছিলো জাতির পিতার স্বপ্ন?
-স্যার,মালডারে বেশি সুবিধা মনে হয় না,ছাইড়া দেন।
- ওই সোজা চইলা যা,ডানে বামে তাকাবিনা।
-স্যার,যাওয়ার আগে একটা কথা কই?
-ক
- স্যার আপনার বাড়ি কোথায়?গোপালি?
-আরে শালা গেলি?দিলাম কিন্তু…
মন্তব্য করতে লগইন করুন