আমি আল্লাহর কাছে গিয়ে সব বলে দেব

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪৫:২৯ বিকাল

স্বপ্নে আর জাগরণে একটা বাক্যই কানে বাজতেছে, ''আমি আল্লাহর কাছে সব বলে দেব।'' সিরিয়াতে বোমার আঘাতে আহত হওয়া ফটোর তিন বছর বয়সের মুসলিম শিশুটির মৃত্যুর আগে শেষ বাক্য ছিল, "আমি আল্লাহর কাছে গিয়ে সব বলে দেব।" আশ্চর্য হয়ে যাই !! এটা নাকি একটা বাচ্চার উক্তি ! অথচ আমার মনে হয়েছে এই সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী লোকটি এই কথার মর্মার্থ বুঝেছে কিনা সন্দেহ । ঐ শিশুটি বুঝে গেছে এই দুনিয়ার মানুষ অভিযোগ শুনে বিচার করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তারা কেউ জালিম, কেউ অক্ষম আর কেউবা উদাসীন। ঐ শিশু তার আসল অভিভাবক চিনে নিয়েছে। সে বুঝে ফেলেছে তার অভিযোগ ঐ আসামীদের উপর কতটা ভারী হবে একদিন। কারো কি ভয়ের অনুভুতি হচ্ছে ? নাকি আমাদের ইন্দ্রিয় অনুভূতিশূন্য হয়ে গেছে ?

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

157729
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ সন্ধ্যা ০৬:০৫
আবু সাইফ লিখেছেন : উহ্‌! কি মর্মভেদী উক্তি!!

সুবহান আল্লাহ! আল্লাহু আকবার!!!

ইয়া রব, আমাদের অক্ষমতা, অযোগ্যতা ক্ষমা করুন!! Praying Praying
০২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪১
113022
ডব্লিওজামান লিখেছেন : আল্লাহুমমা আমিন
157766
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ০৮:২১
অজানা পথিক লিখেছেন : আল্লাহু আকবার!!!
০২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
113023
ডব্লিওজামান লিখেছেন : ইয়া রব, আল্লাহু আকবার
158220
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:০৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের ক্ষমা কর।
158345
০২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
ডব্লিওজামান লিখেছেন : আমিন
158363
০২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
ডব্লিওজামান লিখেছেন : আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!
অতিথি লেখকA+ A A- Print
২০১৪-০১-০২ ১৩:০৯:৫৮
রফিকুজজামান রুমান : ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস হৃদয়ে হাহাকারের প্রতিধ্বনি তুলছে অবিরাম। মানুষ কতোটা সইতে পারে? চোখের কান্না পানি হয়ে ঝরে বলে দৃশ্যমান। কিন্তু হৃদয়ের কান্না? রক্তক্ষরণ? কোন্ শব্দ/বাক্য/প্রতিক্রিয়া দিয়ে মাপা যায় এর গভীরতা? সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সিরিয়ার তিন বছরের এক যুদ্ধাহত শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বললো- ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’ শিশুটির রক্তমাখা ছবিটির দিকে তাকালেই বুঝে নেওয়া যায় সে আল্লাহর কাছে কী বলবে।
সভ্যতার দ্বান্দ্বিক যুদ্ধ চলছে। এ দ্বন্দ্ব বিশ্বাসের, এ দ্বন্দ্ব আদর্শের। একটি আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করতে হয় আর একটি আদর্শ দিয়ে। জোরের যুক্তি দিয়ে নয়; যুক্তির জোর দিয়ে। ক্ষমতা, শক্তি, জোর দিয়ে আদর্শকে মোকাবেলা করতে গেলেই দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে ওঠে। সেই দ্বান্দ্বিক যুদ্ধে আদর্শবানরা কখনো কখনো পরাজিত হলেও তাদের বিশ্বাসের পরাজয় ঘটে না। বিশ্বাসী তো সে-ই, যে প্রয়োজনে জীবন দিয়েও প্রমাণ করতে পারে ‘আমার বিশ্বাসের প্রতি আমি অবিচল’। সিরিয়ান এই শিশুটি সভ্যতা, যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, আদর্শ- এগুলো হয়তো পরিষ্কার করে বুঝতে পারেনি। কিন্তু তার ‘বিশ্বাস’ কতো প্রবল! ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’ সে নিশ্চিত সে আল্লাহর কাছে ফিরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়; আল্লাহর কাছে সে নালিশ করবে! যারা তাকে মেরেছে, শুধুমাত্র বিশ্বাসী হওয়ার কারণে যারা তাকে রক্তাক্ত করেছে, যারা তার আদর্শকে আদর্শ দিয়ে প্রতিহত না করে বুলেট ছুড়ে মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে সে আল্লাহর কাছে নালিশ করবে। এছাড়া আর কীইবা করার আছে ছোট্ট এই শিশুটির! পৃথিবীর কারো কাছে সে অভিযোগ করেনি। কারো কাছে সে তাকে মারার বিচার চায়নি। সে জানে এবং সবাইকে জানিয়ে দিয়ে গেল- এই আদর্শহীন একচোখা বিবেকহীন বিশ্বের কাছে বিশ্বাসীদের কিছু চাইতে নেই। এ এমনই এক বিশ্ব যেখানে মানবাধিকারের ডেফিনিশনই নির্মিত হয় কিছু মানুষকে ‘অমানুষ’ বিবেচনা করে। এ এমনই এক বিশ্ব যেখানে শক্তিধররা/ক্ষমতাবানরা যা বলবে তা-ই সত্য। পূর্বতিমুরের যোদ্ধারা হয় স্বাধীনতাকামী, আর আরাকানের, কাশ্মীরের যোদ্ধারা জঙ্গী কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কালো-সাদা’র তফাত ঘোছাতে ম্যান্ডেলার ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগে মুহাম্মদ (স) কালো বেলালকে প্রথম মুয়াজ্জিন বানিয়েছিলেন। বর্ণবাদ নিয়ে কোনো আলোচনায় এই উদাহরণ দিতে পারবেন না। দিলেই আপনি ‘ব্যাকডেটেড’ কিংবা মৌলবাদী/প্রতিক্রিয়াশীল। এমন একটি ন্যায়ভ্রষ্ট পৃথিবীর কাছে বিশ্বাসীদের কিছু চাওয়ার নেই। তাদের সমস্ত চাওয়া আল্লাহর কাছে।
বাংলাদেশেও বিশ্বাসের এই দ্বন্দ্ব ক্রিয়াশীল। এখানেও আদর্শকে পরাজিত করার জন্য আরেকটি আদর্শের পরিবর্তে বেছে নেওয়া হয় বুলেট বোমা অস্ত্র। একজন বিশ্বাসী মানুষ প্রশ্নহীনভাবে মেনে চলতে চাইবে আসমানী বাণীকে। তার কাছে কুরআনকে বিশ্বাস করার মানে হলো কুরআন নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনা করা। কুরআনের বিধানসমূহ জানা এবং সেগুলো মেনে চলা। এখন কুরআন যদি সমাজ বদলের কথা বলে, কুরআন যদি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা বলে, তাহলে তো সেই কাজটিই তাকে করতে হবে। যদি কেই মনে করে কুরআন এগুলো বলেনি, তাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। আর যদি কেউ বলে, সমাজ বদলের জন্য কুরআনের চেয়েও ভালো কোনো রেসিপি তার কাছে আছে, তাহলে সে সেই আদর্শের দিকে মানুষকে ডাকবে। মানুষ যেটি মেনে নেয়। আদর্শের জবাব আদর্শ দিয়ে। কিন্তু দু:খজনক হলো, বাংলাদেশে আদর্শের এই উদারতা নেই। প্রায়ই পত্রিকায় দেখা যায়, জিহাদী বই উদ্ধার। এর মানে কী? জিহাদী বই কি কোনো নিষিদ্ধ বই? তাহলে সবার আগে তো কুরআন নিষিদ্ধ করতে হবে। কুরআনে শতাধিক জায়গায় জিহাদের কথা বলা হয়েছে। কোনো খ্রিষ্টান কিংবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে যদি নিজ ধর্মের কোনো বইসহ পাওয়া যায়, তাকে কি গ্রেফতার করা হবে?
মিডিয়া, সরকার, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এভাবে বিশ্বাসীদের উপর আঘাত হানছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়ার পরেও, শুধুমাত্র বিশ্বাসের কারণে, কোন সংগঠনকে বলা হচ্ছে জঙ্গী। তাহলে কী করা? ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’-এই হোক বিশ্বাসীদের শেষ আশ্রয়।

লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কলাম লেখক
159295
০৫ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০০
সিকদারর লিখেছেন : আমাদের ঈমানী দুর্বলতার কারনে এই শিশু আল্লাহ কাছে বলে দেবে । আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কেয়ামতের মাঠে এই শিশু আল্লাহর কাছে জালিমদের বিরুদ্ধে বিচার চাইবে না সে বিচার চাইবে আমাদের মুসলমান নামের কাপুরুষদের বিরুদ্ধে । কেন আমরা অসহায় নারীও শিশুর আর্তনাদ শুনেও জেহাদ করিনি।
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৩
114123
ডব্লিওজামান লিখেছেন : U r ra8 brother

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File