মিথ্যাবাদী আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, যমুনা টিভি ………… ………… ………কে বন্ধ করা হয়েছে !

লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:০৭:৫১ রাত



ওয়াহিদুজ্জামানঃ

মিথ্যাবাদী আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, যমুনা টিভিসহ করো অনেক প্রচার মাধ্যমকে ………… ………… ……… বন্ধ করা হয়েছে ; বাহ ! বেশ হয়েছে !!!

সত্য বলার জন্য, প্রচারের জন্য আপনারা আছেন, ভারত আছে, আছে ইন্ডিপেন্টেন্ড, সময়, ৭১ টিভি, প্রথম আলোর মত আরো কত কত কর্পোরেট মিডিয়া।

তারা আমাদের সত্য শিখায়, দেশপ্রেম শিখায়, প্রেম শিখায়, শিখায় কিভাবে সবকিছুকে পণ্য করে তুলতে হয়, পণ্য হয়ে যেতে হয়।

সত্য তো দামী জিনিস, আর দামী জিনিস এমনিতেই অনেক বেশী আধিক্য পেয়ে গেছে। আর আপনাদের নবী রবি বাবুও তো বলে গেছেন: ‘বিধাতার রাজ্যে ভালো অল্প বলেই ভালো নয়ত নিজেরই ভিড়ের ঠেলায় হয়ে যেত মাঝারী’। সুতরাং কিছু সংখ্যক মানুষ মিথ্যা বলে বরং আপনাদের সত্যের মূল্যকেই উচ্চমূল্যে রাখছে।

তবুও যা বুঝতে পারি না, তা হলো, এই সত্যবাদীরা এত অল্প সংখ্যক মিথ্যাবাদী মানুষকে এত ভয় পায় কেন? কেন রাতের আঁধারে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এক কসাইকে কবর দিতে হলো। কেন বিচারের নামে প্রহসনের আশ্রয় নিতে হয় সত্যকে।

আহারে, আপনাদের মত সত্যবাদীরা কাদের মোল্লার ফাঁসিতে উগ্র হিন্দু ভারতীয়দের উল্লাস দেখতে পান না, দেখতে পান না হাজারো নির্যাতিত মানুষের আহাজারী।

মিথ্যার গন্ধ খুঁজে পান সবখানে। দয়া করে আপনার নাকের ডগা একটু পরীক্ষা করে দেখুন। মিথ্যার চোখ দিয়ে কি কখনো সত্য দেখা যায়? নাকের ডগায় দুর্গন্ধ থাকলে কি আর সুঘ্রাণের অস্তিত্ব পাবেন কোথাও?

এখনো সময় আছে, ভাবুন, কার সাথে আপনি রোজ হাসরের ময়দানে সঙ্গী হতে চান, জালেমের নাকি মাজলুমের।

ইসলাম, আল-কোরআন, মুহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধাচরণকারীদের সঙ্গ নিন ভালো কথা, এর মধ্যে জামায়াত কে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার কি দরকার? আপনি/আপনারা তো সত্যবাদী, সত্যের ধারক/বাহক !!!

শুনুন, ইসলাম কারোর উপর নির্ভরশীল নয়, বরং আমরাই ইসলামের প্রতি নির্ভরশীল। সুতরাং ইসলামের বিরুদ্ধাচরণের জন্য ইসলামের দোহাই দেয়ার তো কোন প্রয়োজন নেই।

ইসলাম কি আমরা যারা ইসলাম অনুযায়ী জীবন-যাপন করার জন্য প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি তারা ভাল করেই জানি। ইসলামের শত্রুদের নিকট থেকে আমাদের ইসলাম শিখার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি মুসলিম হন, তাহলে ইসলাম বলতে আপনি কি বুঝেন, সে অনুযায়ী জীবন-যাপন করেই প্রমাণ করুন, আমিও তা-ই করছি। এবং পরকালে আমরা উভয়-ই আল্লাহর সম্মুখে হাজির হব, সেদিন তিনি-ই আপনি এবং আমার মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন, আমাদের মধ্যে কে সত্যিকারের মুসলিম ছিলাম আর কে ছিলাম মুনাফিক।

আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এ পৃথিবীতে কারো পক্ষেই পূর্ণ বিচার চাওয়া, পাওয়া এবং দেয়া সম্ভব নয় । আপনার সব চাওয়া সঠিক সময় চাইতে পারছেন না অথবা ভুলে গেছেন । অন্যদিকে বিচারকের পক্ষ থেকেও সে রকমটি ঘটতে পারে । আবার এমন অপরাধ আমি করেছি যা এ দুনিয়ার কেউ জানেনা, তার কি হবে ? এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী যোগানতো এখানে সম্ভবই নয় । কারণ নশ্বর এ পৃথিবীতে চাহিদারতো শেষ নেই ! সর্বোপরি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি !!! তাই সকল কিছু পূর্ণাঙ্গ করতে জন্ম - মৃত্যুদাতার মুখাপেক্ষী হতেই হবে । যিনি অতি বিন্দুমাত্র ভাল কাজের প্রতিদান এবং তিল পরিমাণ মন্দ কাজের শাস্তি দিতে সক্ষম । এটাই যদি না হয় তাহলে গরীব, দুর্বল, অসহায়, নির্যাতিত, নিপীড়িত, অপমানিত, অবহেলিত,লাঞ্ছিত, বঞ্চিত …… …… …… হলো যারা, তারা কোথায় সুবিচার পাবে ; পাবে তাদের অধিকার ?

তাই আসুন প্রিয় পাঠক, আজ থেকে, এই মুহূর্ত হতে জীবন এবং লক্ষ্যকে স্থির করি । প্রস্তুতি গ্রহণ করি সেই মহান বিচারকের মুখাপেক্ষী হতে । এটা এ মুহূর্ত থেকেই । কারণ আপনি আমি কেউ জানিনা কবে, কখন, কোথায় এবং কিভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হবে

সৃষ্টিকর্তা এবং মৃত্যুদাতা আমাদের সকলকে সত্য অনুধাবন করার সামর্থ্য দান করুন, আমীন!

বিষয়: বিবিধ

১৯২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File