প্লিজ, আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ান !!!
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:২৯:০৭ সকাল
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেছিল ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার জন্য। তাদের কেউ বলেনি যে তোমরা ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ ঠিক করো। তারপরেও তারা এটা করেছে। একই ভাবে শেখ হাসিনাকে কেউ বলেনি যে ২৪ অক্টোবরের পরে সংসদ ভেঙে দাও। কিন্তু তিনিই আগ বাড়িয়ে বললেন ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ ভেঙে দেবো।
এই বেশি কথার আগে পরে তিনি আরো বেশি কথা বলেছেন, ২৪ অক্টোবরের পরে আর সংসদ বসবে না। সংসদ বহাল থাকলেও এক অধিবেশনের পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেক অধিবেশনে বসার বাধ্যবাধকতা নিয়াও তাকে কেউ কিছু বলেনি। কিন্তুই তিনি বলেছেন এই সময়ের মধ্যে সংসদ বসবে না।
কেন তারা ক্ষমতার মেয়াদ কমিয়ে ফেললো, কেনো তারা বেশি কথা বললো? এখন আবার কেনো তারা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়? কেন তারা মেয়াদ শেষেও সংসদ অধিবেশন চালাতে চায়?
আমাদেরকে এই দুই প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করতে হবে। এর ঠিক জবাব পেলে বাংলাদেশের মানুষ অহেতুক টেনশন করা থেকে বাঁচতে পারবে। তারা জানবে আসলে তারা সঙ্কটে নাই, তারা আছে এক মধুর সমস্যায়। তা হলো অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রাজনীতি ও নেতৃত্ব নাই তাদের।
২.
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কেন খোদ ভারতও জানে তারা এমন কিছুই করে নাই যার বলে বাংলাদেশের উপর তারা একচেটিয়া কর্তৃত্ব পেয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে বিএনপির একচেটিয়া ক্ষমতার বিকার থেকে তারা সুবিধা নিয়েছে। খালেদা জিয়ার ছেলের সাথে তার ভাইয়ের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতি দানা বেধেছিল, তার বলেই জরুরি অবস্থা এসেছিল।
জরুরি অবস্থা জারির কাজটি করেছিলেন মাসুদ উদ্দিন। সেনাপ্রধান মইন এ ঘটনা ঠেকানোর সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি বিদেশী বন্ধু ও সুশীলদের খায়েশ পূরণে সহায়ক ব্যাপার জেনে চুপ ছিলেন। মাসুদ ও তার বন্ধুদের ভূমিকা ছিল ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের মতো। তারা ব্যক্তিগত রাগ ঝারতে রুই-কাতলা ধরা থেকে শুরু করে এখতিয়ার বহির্ভূত ক্ষমতা ভোগ করে গেছেন।
কিন্তু ২০০৭ এর এপ্রিল থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করলো। বিএনপি ও জামায়াতপন্থী সেনা কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসলেন। তারা সেনা কমান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বেশ কায়দা করে। মাসুদদের মতো করে তারাও কিছু গ্রেফতার অভিযান চালালেন। যা ছিল সুশীলদের স্বার্থ বিরোধী। এ অভিযানেই বিএনপি ভাঙার রাজনীতিটা উল্টেপাল্টে গেল। ব্যারিস্টার মওদুদ ও বাবর জেলে চলে গেলেন। অথর্ব বেকুব মান্নান ভূইয়া ভেঙে পড়লেন। এই পাল্টা সেনা তৎপরতার মাহাত্ম বুঝতে আর অসুবিধা হয়নি নেপথ্যের নায়কদের। ডাক্তার ইউনুস, মতিউর, মাহফুজ, জাফর ইকবালরা সারেন্ডার করলেন।
ব্যস, সেনা অভ্যুত্থান ও জরুরি অবস্থা জারির মতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার ঠ্যালাটা টের পেতে শুরু করলেন মইন উ। তার সামনে মৃত্যুদণ্ডের বাইরে আরেকটা উপায় ছিল। বিদেশী কোনো একটা শক্তির সাহায্যে নিজের প্রাণ বাঁচানো। এখানকার ৭৫ এর ঘটনা ও দুনিয়ার আর সব দেশের একই ঘটনা থেকে সব সেনাপতিই জানেন যে আমেরিকা আসলে অভ্যুত্থানদুষ্টুদের ব্যবহার করে, কিন্তু হেফাজত করে না। আর বাংলাদেশে আমেরিকাপন্থী কোনো বড় রাজনৈতিক শক্তি নাই যারা লোকাল সিকিউরিটির নিশ্চয়তা দিতে পারে। তো মইন উ ভারতের পোঁ ধরলো।
ভারত জাস্ট খেললো। মইনকে দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনালাে। আর আওয়ামী লীগকে দিয়ে মইনকে দায়মুক্তি দিয়ে বিদেশ চলে যেতে দিল। কিন্তু এতটুকু লেনদেনেই মইনের মুক্তি মিলেনি। তাকে সীমারের মতই বড় খারাপ কাজ করতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, বিডিআরের ঘটনা নিয়ে অনেকেই আওয়ামী লীগকে, ভারতকে দায়ী করে থাকেন। ষড়যন্ত্রে কে জড়িত ছিল জানি না। কিন্তু সবাইকে বুঝতে ঘটনাটা ঘটিয়েছিলেন মইন উ। যার ফলাফল হলো নুরুল কবির সিঙ্গাপুর গেলেন, মুন্নীসাহা বম্বে আর আমি ব্যারিস্টার মওদুদের সাথে দেখা করেও মইনের বিরুদ্ধে আর শারীরিক ও একাডেমিক ক্ষতির জন্য মামলা দায়ের করতে পারলাম না। কেউই পারেন নি, মহিউদ্দিন খান আলমগীররাও চুপ হয়ে গেছিলেন।
এখন পষ্ট কথা হলো মইনই আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে দিয়েছে। এজন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো গণমাধ্যম এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল। দৈনিক সংগ্রাম ও দিনকাল ছাড়া সব গণমাধ্যমই জড়িত ছিলো। নির্বাচন শেষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের হঠাৎ উন্নতিটা নিশ্চয় অনেকে খেয়াল করে থাকবেন। তাদের গাড়ি ও ফ্ল্যাটের ব্যাপারটি দেখার মতোই ব্যাপার
বিষয়: বিবিধ
১০১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন