আমি এ প্রজন্মের রাজাকার, আমার ফাঁসি চাই !!!!!
লিখেছেন লিখেছেন ডব্লিওজামান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৬:৫২:৩৭ সকাল
ওয়াহিদুজ্জামানঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ যদি হয় মেজর ডালিমের স্ত্রীকে শেখ মুজিবের ছেলে কর্তৃক ধর্ষণ করা, মুজিব পুত্র জামাল কর্তৃক ব্যাংক লুট, তালপট্রি-আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম ভারতকে দিয়ে দেয়া, যুদ্ধাস্ত্রগুলো প্রতিবেশী দেশকে দিয়ে দেয়া আর এ কাজে বাঁধাদানকারী মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারকে মেরে ফেলা, সিরাজ সিকদারকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের অভিষেক ঘটানো ও তার দলের (জাসদের) ৩০ হাজার নেতা কর্মী হত্যা করা, লুটপাটের মাধ্যমে ১৯৭৪ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে প্রায় ৪ লাখ লোক মারা, সতর ঢাকতে জাল পরিহিত বাসন্তী উপহার ও কলা পাতা দিয়ে দাফন সম্পন্ন করা, রক্ষীবাহিনী-লাল বাহিনী-নীল বাহিনী বানিয়ে দেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন এবং খুন করা , সকল দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল গঠন, পছন্দ ব্যতীত অন্য সকল পত্রিকা-প্রচার মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া, একান্ত ব্যক্তি স্বার্থে সবুজ শ্যামল সমৃদ্ধশীল দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করা, নুন্যতম খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসাকেও ব্যবসায় পরিণত করা, ছাত্রলীগ কর্তৃক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব পালন করা , ছাত্রলীগ নেতা-নেত্রী কর্তৃক ভর্তি বাণিজ্য-টেন্ডারবাজী-দখলদারিত্ত্ব-মাদক ও দেহ ব্যবসাসহ এ জাতীয় নানা ব্যবসা পরিচালনা করা , শিক্ষকদের পিটানো, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে চোর বানানো, শেয়ার বাজার ধবংস-ব্যাংক লুট-হলমার্ক-কুইকরেন্টাল-ডেসটিনি-স্কাইপি কেলেঙ্কারি, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী বিডিআর-আর্মি অফিসারদের বিদেশীদের ইন্ধনে খুন করে দেশকে নিরাপত্তাহীন করা, আল্লাহ্ ও রাসুল, কুরআন-হাদীস এবং ইসলামকে গালি দেয়া, মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অসম্মান করা, ঘরে ঘরে চাকরির বদলে লাশ পাঠানো, সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের নিরীহ মানুষকে খুন করানো, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে তিতাস-টিপাইমুখ ও নানা চুক্তির মাধ্যমে ভারতসহ অন্যান্য দেশের দালালী করা, রাজনৈতিক ও তৈলমর্দনসহ বিভিন্ন কোঠায় মেধাহীনদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা, নিজের পদ-সম্মান ও আভিজাত্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে দেশকে ধ্বংস করে দেয়া, মাদকের কবলে ফেলে আগামী প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেয়া, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের সম্ভ্রমহানী, মুরগী কবিরের লালসা অনুযায়ী নারীদের দেহ উম্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা, ভিন্ন ভিন্নমতাবলম্বীদের সহ্য না করা, যোগ্যতা থাকা সত্বেও ঘুষবিহীন চাকরি এবং ফাইল না নড়া, ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতাকে উসকে দিয়ে জাতিকে নৈতিকতা শূন্য করা, হত্যা-গুম-দখল ও গ্রেফতার বানিজ্য, গণমাধ্যম ও এর পরিচালকদের নিজের মতো নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা, সংবিধান ও বিচার বিভাগকে নিজের হুকুমে চালানো, পরিবার-সমাজ-গ্রাম-ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা-বিভাগ ও দেশের চেয়ে সংকীর্ণ ব্যক্তি স্বার্থকে বড় করে দেখা, রং হেডেড খেতাব পাওয়া বিশ্বের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী পাওয়া, সংঘর্ষ-হত্যা ও গুমের রাজনীতির প্রচলন, পানি-গ্যাস ও বিদ্যুত যা আছে তাতেও আবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণকে শিক্ষা দেয়ার জন্য লোডশেডিংয়ের ব্যবস্থা করা, রঙ্গমঞ্চের চৈতালী-ফাল্গুনী বাতাসের হুকুমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উত্থান-পতন করা, ক্রসফায়ার-গুম-হত্যা, নদী-নালা, খাল-বিল ও পছন্দমত সম্পত্তি দখল এবং যখন তখন যারে তারে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার রাষ্ট্র পাওয়া, প্রজাতন্ত্রের সৎ কর্মকর্তাদের দিগম্বরকরণ, ইতিহাস বিকৃতি, নামকরণ, সংযোজন-বিয়োজনে কোটি কোটি টাকা অপচয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের উপর নিত্য ও বিশ্বজিতের মত হাজারো মৃত উপহার দেয়া, দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর পায়তারা, বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছে তা-ই করা, মিথ্যাকে চৌকস শিল্পে পরিণত করা, দ্রব্য মূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্ব গতি যা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে, সনদধারী চোর উপহার দেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা ও নৈতিকতা বহির্ভূত কাজে অস্থির রাখা, দেশকে আস্তিক-নাস্তিক ভাগে ভাগ করা, ১৯৭২ সালে জন্ম নেয়া শিশুও ডিজিটাল যুগে এসে চেতনার কল্যাণে হয়ে যান রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা অথবা রাজাকার, ১টা লাশের বদলে ১০টা লাশ, বাবা মাকে খুনকারী (ঐশী) সন্তান, বিচারপতি কর্তৃক উচ্চ আদালতের দরজায় লাথি মারা, সীমান্ত হত্যা প্রতিনিয়ত ঘটছে; আগেও ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে, এটা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়; সব কাজ ফেলে রেখে এ দিকে দৃষ্টি নিবন্ধন সম্ভব নয় দলের এমন মহাসচিব ও এলজিআরডি মন্ত্রীর বলিষ্ঠ ঘোষণাকে বাস্তবে রূপদান, এ চেতনাকে পুঁজি করে পদগুণে বুদ্ধিমান ও পতাকাগুণে শক্তিমান হওয়া এবং একান্ত ব্যক্তি স্বার্থে দেশকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেয়া, প্রায় ৪২ বছরেও দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব না পাওয়া!!
সম্প্রতি ভারতে মুক্তিপ্রাপ্ত গুন্ডে ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। যশরাজ ফিল্মের ব্যানারে ১৪ই ফেব্রুয়ারী মুক্তি পাওয়া ছবিতে দেখানো হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ হিন্দুস্থান ও পাকিস্তানের মধ্যে ৩য় যুদ্ধ শেষ হয়েছে। ৯০ হাজার পাকিস্তানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করে হিন্দুস্তান আর্মির কাছে আর এর মধ্য দিয়েই জন্ম নেয় নতুন এক দেশ ”বাংলাদেশ”। - বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে এই জঘন্য মিথ্যাচার ভারতের সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়নি। তারমানে ভারতীয় সরকারও তাই মনে করে । তাহলে এই বাংলার তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অরজিত স্বাধীনতার মালিক ভারত। আমাদের মহান স্বাধীনতা কারো দানের ফসল নয়।
ভেবেছিলাম এবার শাহবাগ থেকে জোরালো কোন প্রতিবাদ হবে। কারন শাহবাগের ভাই-বেয়াইনদের চেয়ে আমার দেশপ্রেম কোনভাবেই বেশি হতে পারে না। ইমরান, লাকি, মুন্তাসির মামুন, জাফর ইকবাল, মুরগি কবিররা হলেন আধুনিক ডিজিটাল দেশপ্রেমের জলন্ত ঊদাহরন। কিন্তু কোন কোন ইস্যু বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের মিথ্যাচারের পরও তারা যখন কম্বলের নিচে থেকে নিরব ভুমিকা পালন করেন তখন সাধারন মানুষের কাছে এই অসাধারন মানুষগু্লোকে অন্য দেশের ভাড়া করা প্রতিনিধি বলেই মনে হয়।
তবে আফসোস নেই,,কারন,,,
এরপরেও কিছু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চেতীত লোকে বলবে
"ওরা আমাদের বন্ধু,ওরা এরকম বলার অধিকার রাখে!!
জয় হিন্দ!!
বন্দে মাতরম্!
তাহলে সে মুক্তিযুদ্ধ ও চেতনার আমি চরম বিরোধী!! আমি এ প্রজন্মের রাজাকার; আমার ফাঁসি চাই!!!!!!!!
আর লিখতে পারছিনা, বাকী চেতনাগুলো উল্লেখ করে খাঁটি রাজাকার উপাধি দিয়ে আপনারা আমার ফাঁসি শতভাগ নিশ্চিত করুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন